তিন দিন ধরে ঘন ধোঁয়াশার চাদরে ঢাকা নয়াদিল্লি, উদ্বিগ্ন চিকিৎসকরা ক্রাইম পেট্রোল ক্রাইম পেট্রোল News প্রকাশিত: ৭:১৩ অপরাহ্ণ, নভেম্বর ৪, ২০২৩ নিজস্ব প্রতিনিধি টানা তিন দিন ধরে ‘মারাত্মক’ পর্যায়েই ঘোরাফেরা করছে ভারতের রাজধানী নয়াদিল্লির বাতাসের গুণগত মান। শনিবারও সেই ছবির কোনো পরিবর্তন হলো না। ঘন ধোঁয়াশার চাদরে ঢাকা পড়ল রাজধানী। কেন্দ্রীয় দূষণ নিয়ন্ত্রণ বোর্ডের (সিপিসিবি) তথ্য অনুযায়ী, শনিবার সকালে নয়াদিল্লির বাতাসের গুণগত মান (একিউআই) ছিল ৫০৪। তবে বাতাসের গতি একটু বাড়ায় দূষণের মাত্রা আগের দিনের তুলনায় সামান্য উন্নতি হয়েছে বলে দাবি করা হয়েছে। এদিকে নয়াদিল্লির এই পরিস্থিতি দেখে চিকিৎসকরা উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। অনেক চিকিৎসকেরই আশঙ্কা, এই পরিস্থিতি বজায় থাকলে বয়স্ক ও শিশুদের মধ্যে শ্বাসকষ্ট এবং চোখের সমস্যা বাড়বে। তাই এই সময়ে বিভিন্ন সতর্কতামূলক পদক্ষেপ নেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে রাজধানীবাসীকে। দিল্লির পরিবেশমন্ত্রী গোপাল রাই জানিয়েছেন, গোটা উত্তর ভারত বায়ুদূষণের সমস্যায় ভুগছে। দিল্লির বায়ুদূষণ নিয়ন্ত্রণে যথাযথ পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য কেন্দ্রীয় পরিবেশমন্ত্রী ভূপেন্দ্র যাদবের কাছে আরজিও জানিয়েছেন তিনি। সেন্টার ফর সায়েন্স অ্যান্ড এনভায়রনমেন্টের তথ্য তুলে ধরে মন্ত্রী গোপাল রাই দাবি করেছেন, দিল্লির দূষণের জন্য ৬৯ শতাংশ দায়ী প্রতিবেশী রাজ্যগুলো। তিনি বলেন, ‘এই সমস্যা থেকে বেরিয়ে আসার জন্য আমরা সব রকম পদক্ষেপ নিয়েছি। কিন্তু উত্তর প্রদেশ ও হরিয়ানার পরিবেশমন্ত্রীরা এ বিষয়ে কী পদক্ষেপ নিচ্ছেন, সে বিষয়ে কেউ কিছুই জানেন না।’ বায়ুদূষণ ঠেকাতে ‘উইন্টার অ্যাকশন প্ল্যান’-এর আওতায় বেশ কিছু পদক্ষেপ নিয়েছে দিল্লি পৌরসভা। দূষণ প্রতিরোধের জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে এবং নজরদারি চালাতে ৫২টি দল গঠন করে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় মোতায়েন করেছে তারা। অন্যদিকে পূর্ত দপ্তর ৬০টি ধোঁয়াশা প্রতিরোধী কামান (অ্যান্টি স্মগ গান) ব্যবহার করছে দূষণের ‘হটস্পট’গুলোতে। রাজধানীর এই দূষণ পরিস্থিতি নিয়ে ইতিমধ্যে দোষারোপের পালা শুরু হয়েছে। সংবাদ সম্মেলন ডেকে মন্ত্রী গোপাল রাই অভিযোগ তোলেন, কেন্দ্রীয় পরিবেশমন্ত্রীর এই দূষণ নিয়ে আরো সক্রিয় হওয়া উচিত। এটি শুধু নয়াদিল্লির সমস্যা নয়, এই সমস্যা গোটা উত্তর ভারতের। সূত্র : আনন্দবাজার পত্রিকা SHARES আন্তর্জাতিক বিষয়: #নয়াদিল্লি
টানা তিন দিন ধরে ‘মারাত্মক’ পর্যায়েই ঘোরাফেরা করছে ভারতের রাজধানী নয়াদিল্লির বাতাসের গুণগত মান। শনিবারও সেই ছবির কোনো পরিবর্তন হলো না। ঘন ধোঁয়াশার চাদরে ঢাকা পড়ল রাজধানী। কেন্দ্রীয় দূষণ নিয়ন্ত্রণ বোর্ডের (সিপিসিবি) তথ্য অনুযায়ী, শনিবার সকালে নয়াদিল্লির বাতাসের গুণগত মান (একিউআই) ছিল ৫০৪।
তবে বাতাসের গতি একটু বাড়ায় দূষণের মাত্রা আগের দিনের তুলনায় সামান্য উন্নতি হয়েছে বলে দাবি করা হয়েছে। এদিকে নয়াদিল্লির এই পরিস্থিতি দেখে চিকিৎসকরা উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। অনেক চিকিৎসকেরই আশঙ্কা, এই পরিস্থিতি বজায় থাকলে বয়স্ক ও শিশুদের মধ্যে শ্বাসকষ্ট এবং চোখের সমস্যা বাড়বে। তাই এই সময়ে বিভিন্ন সতর্কতামূলক পদক্ষেপ নেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে রাজধানীবাসীকে।
দিল্লির পরিবেশমন্ত্রী গোপাল রাই জানিয়েছেন, গোটা উত্তর ভারত বায়ুদূষণের সমস্যায় ভুগছে। দিল্লির বায়ুদূষণ নিয়ন্ত্রণে যথাযথ পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য কেন্দ্রীয় পরিবেশমন্ত্রী ভূপেন্দ্র যাদবের কাছে আরজিও জানিয়েছেন তিনি। সেন্টার ফর সায়েন্স অ্যান্ড এনভায়রনমেন্টের তথ্য তুলে ধরে মন্ত্রী গোপাল রাই দাবি করেছেন, দিল্লির দূষণের জন্য ৬৯ শতাংশ দায়ী প্রতিবেশী রাজ্যগুলো। তিনি বলেন, ‘এই সমস্যা থেকে বেরিয়ে আসার জন্য আমরা সব রকম পদক্ষেপ নিয়েছি।
কিন্তু উত্তর প্রদেশ ও হরিয়ানার পরিবেশমন্ত্রীরা এ বিষয়ে কী পদক্ষেপ নিচ্ছেন, সে বিষয়ে কেউ কিছুই জানেন না।’ বায়ুদূষণ ঠেকাতে ‘উইন্টার অ্যাকশন প্ল্যান’-এর আওতায় বেশ কিছু পদক্ষেপ নিয়েছে দিল্লি পৌরসভা। দূষণ প্রতিরোধের জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে এবং নজরদারি চালাতে ৫২টি দল গঠন করে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় মোতায়েন করেছে তারা। অন্যদিকে পূর্ত দপ্তর ৬০টি ধোঁয়াশা প্রতিরোধী কামান (অ্যান্টি স্মগ গান) ব্যবহার করছে দূষণের ‘হটস্পট’গুলোতে। রাজধানীর এই দূষণ পরিস্থিতি নিয়ে ইতিমধ্যে দোষারোপের পালা শুরু হয়েছে।
সংবাদ সম্মেলন ডেকে মন্ত্রী গোপাল রাই অভিযোগ তোলেন, কেন্দ্রীয় পরিবেশমন্ত্রীর এই দূষণ নিয়ে আরো সক্রিয় হওয়া উচিত। এটি শুধু নয়াদিল্লির সমস্যা নয়, এই সমস্যা গোটা উত্তর ভারতের। সূত্র : আনন্দবাজার পত্রিকা