অবরোধের পর আবারও কর্মসূচি দেবে বিএনপি ক্রাইম পেট্রোল ক্রাইম পেট্রোল News প্রকাশিত: ১১:৫১ অপরাহ্ণ, নভেম্বর ৫, ২০২৩ নিজস্ব প্রতিনিধি অবরোধ কর্মসূচি চলছে। এই অবরোধ কর্মসূচির পর আবারও কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে বলে জানিয়েছেন বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবীর রিজভী। রবিবার (৫ নভেম্বর) সন্ধ্যায় এক ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন। দলীয় নেতাকর্মীদের সতর্ক থাকার আহ্বান জানিয়ে রুহুল কবীর রিজভী বলেন, ‘সরকার নানা ধরনের নাশকতা সৃষ্টি করে বিএনপির ওপর দায় চাপাবে। আমাদের নেতাকর্মীরা, সহযোগী-অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা আপনারা প্রত্যেকে সজাগ থেকে শুধু জনগণকে উদ্ধুদ্ধ করে রাস্তায় নামবেন। অবরোধ কর্মসূচি যেটা চলছে সেটা শান্তিপূর্ণভাবে পালন করে যাবেন।’ রিজভী জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় সারা দেশে পুলিশ ২৬১ জনের অধিক নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করেছে, ৯টি মামলায় আসামি করা হয়েছে এক হাজার ৬০ জনের অধিক নেতাকর্মীকে। ২৮ অক্টোবর থেকে এই পর্যন্ত সাত হাজার ৯৭৪ জন নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে, মোট ৫১৫টির অধিক মামলায় আসামির সংখ্যা ৩৯ হাজার ৬২০ জনের অধিক নেতাকর্মী। এই সময়ে মৃত্যু ১০ জন এবং আহত পাঁচ হাজার ৭৯১ জনের অধিক নেতাকর্মী। দলীয় সূত্র জানায়, আন্দোলন কর্মসূচিতে কিভাবে এবং কী ধরনের বৈচিত্র্য আনা যায় তা নিয়ে ভাবছে বিএনপির শীর্ষ নেতৃত্ব। টানা অবরোধ বা হরতাল পালন করলে মানুষের মধ্যে একঘেয়েমি তৈরি হতে পারে। কর্মীদের মধ্যে আসতে পারে শৈথিল্য। আবার জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার আগে-পরে কর্মসূচি তীব্রতর করতে চায় দলটি। তাই এসব কর্মসূচির পাশাপাশি আর কী করা যায়, তা নিয়ে ভাবতে বলা হয়েছে বর্তমানে সক্রিয় আছেন এমন নেতাদের। নাম প্রকাশ না করার শর্তে দলের শীর্ষ পর্যায়ের একাধিক নেতা এ তথ্য জানিয়েছেন। গত সপ্তাহে হরতাল-অবরোধের পর আজ রবিবার ভোর থেকে বিএনপি ও তাদের সমমনা দলগুলোর ৪৮ ঘণ্টার অবরোধ শুরু হয়েছে। এরপর এক দিন বিরতি দিয়ে বুধ ও বৃহস্পতিবার হরতাল কিংবা অবরোধ দিতে পারে দলটি। এর পরের সপ্তাহে কী কর্মসূচি দেওয়া যায়, তা নিয়ে ভাবছেন নীতিনির্ধারকরা। তবে অবরোধে মিছিলের পাশাপাশি পিকেটিং বাড়াতে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে বলে একাধিক সূত্র জানিয়েছে। নতুন কর্মসূচির বিষয়ে গত দুই দিন বিএনপির শীর্ষ নেতৃত্ব দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য ও সাংগঠনিক সম্পাদকদের সঙ্গে বৈঠক করেছে। সেখানে অবরোধ রেখে রাজধানীর গুরুত্বপূর্ণ ভবন ঘেরাও, অবস্থান ও অসহযোগ আন্দোলনের মতো বিষয়ে প্রস্তাব এসেছে। তবে বেশির ভাগ নেতা অসহযোগের মতো কর্মসূচিকে উপযুক্ত মনে করছেন না বলে মত দিয়েছেন। SHARES রাজনীতি বিষয়: #রিজভী
অবরোধ কর্মসূচি চলছে। এই অবরোধ কর্মসূচির পর আবারও কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে বলে জানিয়েছেন বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবীর রিজভী। রবিবার (৫ নভেম্বর) সন্ধ্যায় এক ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন। দলীয় নেতাকর্মীদের সতর্ক থাকার আহ্বান জানিয়ে রুহুল কবীর রিজভী বলেন, ‘সরকার নানা ধরনের নাশকতা সৃষ্টি করে বিএনপির ওপর দায় চাপাবে।
আমাদের নেতাকর্মীরা, সহযোগী-অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা আপনারা প্রত্যেকে সজাগ থেকে শুধু জনগণকে উদ্ধুদ্ধ করে রাস্তায় নামবেন। অবরোধ কর্মসূচি যেটা চলছে সেটা শান্তিপূর্ণভাবে পালন করে যাবেন।’ রিজভী জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় সারা দেশে পুলিশ ২৬১ জনের অধিক নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করেছে, ৯টি মামলায় আসামি করা হয়েছে এক হাজার ৬০ জনের অধিক নেতাকর্মীকে। ২৮ অক্টোবর থেকে এই পর্যন্ত সাত হাজার ৯৭৪ জন নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে, মোট ৫১৫টির অধিক মামলায় আসামির সংখ্যা ৩৯ হাজার ৬২০ জনের অধিক নেতাকর্মী।
এই সময়ে মৃত্যু ১০ জন এবং আহত পাঁচ হাজার ৭৯১ জনের অধিক নেতাকর্মী। দলীয় সূত্র জানায়, আন্দোলন কর্মসূচিতে কিভাবে এবং কী ধরনের বৈচিত্র্য আনা যায় তা নিয়ে ভাবছে বিএনপির শীর্ষ নেতৃত্ব। টানা অবরোধ বা হরতাল পালন করলে মানুষের মধ্যে একঘেয়েমি তৈরি হতে পারে। কর্মীদের মধ্যে আসতে পারে শৈথিল্য।
আবার জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার আগে-পরে কর্মসূচি তীব্রতর করতে চায় দলটি। তাই এসব কর্মসূচির পাশাপাশি আর কী করা যায়, তা নিয়ে ভাবতে বলা হয়েছে বর্তমানে সক্রিয় আছেন এমন নেতাদের। নাম প্রকাশ না করার শর্তে দলের শীর্ষ পর্যায়ের একাধিক নেতা এ তথ্য জানিয়েছেন। গত সপ্তাহে হরতাল-অবরোধের পর আজ রবিবার ভোর থেকে বিএনপি ও তাদের সমমনা দলগুলোর ৪৮ ঘণ্টার অবরোধ শুরু হয়েছে। এরপর এক দিন বিরতি দিয়ে বুধ ও বৃহস্পতিবার হরতাল কিংবা অবরোধ দিতে পারে দলটি।
এর পরের সপ্তাহে কী কর্মসূচি দেওয়া যায়, তা নিয়ে ভাবছেন নীতিনির্ধারকরা। তবে অবরোধে মিছিলের পাশাপাশি পিকেটিং বাড়াতে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে বলে একাধিক সূত্র জানিয়েছে। নতুন কর্মসূচির বিষয়ে গত দুই দিন বিএনপির শীর্ষ নেতৃত্ব দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য ও সাংগঠনিক সম্পাদকদের সঙ্গে বৈঠক করেছে। সেখানে অবরোধ রেখে রাজধানীর গুরুত্বপূর্ণ ভবন ঘেরাও, অবস্থান ও অসহযোগ আন্দোলনের মতো বিষয়ে প্রস্তাব এসেছে। তবে বেশির ভাগ নেতা অসহযোগের মতো কর্মসূচিকে উপযুক্ত মনে করছেন না বলে মত দিয়েছেন।