বাসে আগুন দিলে ‘বোনাস’ পাঠাতেন ছাত্রদল নেতা : সিটিটিসি ক্রাইম পেট্রোল ক্রাইম পেট্রোল News প্রকাশিত: ৮:৩৩ অপরাহ্ণ, নভেম্বর ৬, ২০২৩ নিজস্ব প্রতিনিধি রাজধানীর মুগদা এলাকায় যাত্রীবাহী বাসে অগ্নিসংযোগের নির্দেশদাতা ও তার সহযোগীকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের কাউন্টার টেররিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম (সিটিটিসি)। গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সূত্রাপুর থানা ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক আমির হোসেন রকি ও তার সহযোগী সাকিব ওরফে আরোহান (২১)। তাদের কাছ থেকে বোতলভর্তি পেট্রল উদ্ধার করা হয়। বাসে আগুন দেওয়ার পর ছাত্রদল নেতা আগুনদাতাদের বিকাশে ‘বোনাস’ পাঠাতেন বলে জানিয়েছে সিটিটিসি। গতকাল রবিবার (৫ নভেম্বর) রাতে কেরানীগঞ্জের ঢাকা সেন্ট্রাল জেলগেট এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। আজ সোমবার দুপুরে ডিএমপির মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান সংস্থাটির প্রধান অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার মো. আসাদুজ্জামান। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ছাত্রদল নেতা রকি গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দিয়েছেন বলে জানিয়েছেন সিটিটিসি প্রধান। রকির বরাত দিয়ে তিনি বলেন, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির শীর্ষ এক নেতার প্রত্যক্ষ নির্দেশনা ও আর্থিক সহযোগিতায় রকি যাত্রীবাহী বাসে আগুন দেওয়ার কার্যক্রম চলমান রেখেছেন। ওই নেতার নির্দেশে বিএনপিকর্মী মিজানকে টাকা ও পেট্রল সরবরাহ করেন তিনি। এসব পেয়ে মিজান, আল আমিন ও তাদের অপর দুই সহযোগী মুগদা বিশ্বরোডের আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজের সামনে যাত্রীবাহী বাসে আগুন দেন। সিটিটিসি প্রধান আরো বলেন, আগুন দেওয়ার বিষয়টি মিজান ফোন দিয়ে নিশ্চিত করেন। এরপর মিজানের বিকাশের তিন হাজার টাকা বোসান পাঠান রকি। পরে দ্বিতীয় দফা অবরোধে বাসে আগুন দেওয়ার জন্য ডাবল বোনাস ঘোষণা করেন রকি। সিটিটিসি প্রধান বলেন, গত ১ নভেম্বর রাজধানীর মুগদাপাড়া আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজের সামনে মিডলাইন বাসে রাজনৈতিক দুর্বৃত্তরা যাত্রীবেশে আগুন দিয়ে পালানোর সময় আল আমিন নামে একজনকে হাতেনাতে আটক করা হয়। আল আমিন পুলিশের কাছে কার নেতৃত্বে কিভাবে বাসে আগুন দিয়েছেন তা স্বীকার করেছেন। এ ঘটনায় সিটিটিসির গোয়েন্দা দল আল আমিনকে জিজ্ঞাসাবাদ করে। পরে তিনি বেশ কিছু তথ্য দেন। সিটিটিসির প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেপ্তার আল আমিন জানান, তার নেতা বিএনপিকর্মী মিজানুর রহমান। এই মিজানের নেতৃত্বে আরো দুজন কমলাপুর টিটিপাড়া থেকে বাসে উঠে পেছনের সিটে গিয়ে বসেন। এরপর সঙ্গে থাকা পেট্রল ঢেলে বাসে আগুন দিয়ে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন। মিজানসহ তিনজন পালিয়ে যেতে পারলেও স্থানীয়রা আল আমিনকে ধরে ফেলে। পরে মিজানকে গাজীপুর থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। মিজানকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হলে তিনি সিটিটিসিকে জানান, আমির হোসেন রকি নামের মহানগর ছাত্রদলের এক নেতার নেতৃত্বে মিজান রাজনীতি করেন। এই রকির নির্দেশনায় ও তত্ত্বাবধানে প্রথম দফায় মিডলাইন বাসসহ বেশ কয়েকটি বাসে আগুন দেওয়া হয়। এই নেতার কাছ থেকে সকল রসদ পেয়ে চারজন বাসে আগুন দেওয়া শুরু করেন। এর বাইরেও আরো বেশ কয়েকটি বাসে আগুন দিয়েছেন তারা। পুরস্কারের অর্থদাতা কারা জানতে চাইলে সিটিটিসি প্রধান আসাদুজ্জামান বলেন, ‘আমরা সবার তথ্য পেয়েছি। কিন্তু তদন্তের স্বার্থে কারো নাম প্রকাশ করছি না। তবে একে একে সবাইকে আইনের আওতায় আনা হবে এবং গণমাধ্যমের সামনে হাজির করা হবে।’ SHARES জাতীয় বিষয়: #সিটিটিসি
রাজধানীর মুগদা এলাকায় যাত্রীবাহী বাসে অগ্নিসংযোগের নির্দেশদাতা ও তার সহযোগীকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের কাউন্টার টেররিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম (সিটিটিসি)। গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সূত্রাপুর থানা ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক আমির হোসেন রকি ও তার সহযোগী সাকিব ওরফে আরোহান (২১)। তাদের কাছ থেকে বোতলভর্তি পেট্রল উদ্ধার করা হয়। বাসে আগুন দেওয়ার পর ছাত্রদল নেতা আগুনদাতাদের বিকাশে ‘বোনাস’ পাঠাতেন বলে জানিয়েছে সিটিটিসি।
গতকাল রবিবার (৫ নভেম্বর) রাতে কেরানীগঞ্জের ঢাকা সেন্ট্রাল জেলগেট এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। আজ সোমবার দুপুরে ডিএমপির মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান সংস্থাটির প্রধান অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার মো. আসাদুজ্জামান। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ছাত্রদল নেতা রকি গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দিয়েছেন বলে জানিয়েছেন সিটিটিসি প্রধান। রকির বরাত দিয়ে তিনি বলেন, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির শীর্ষ এক নেতার প্রত্যক্ষ নির্দেশনা ও আর্থিক সহযোগিতায় রকি যাত্রীবাহী বাসে আগুন দেওয়ার কার্যক্রম চলমান রেখেছেন।
ওই নেতার নির্দেশে বিএনপিকর্মী মিজানকে টাকা ও পেট্রল সরবরাহ করেন তিনি। এসব পেয়ে মিজান, আল আমিন ও তাদের অপর দুই সহযোগী মুগদা বিশ্বরোডের আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজের সামনে যাত্রীবাহী বাসে আগুন দেন। সিটিটিসি প্রধান আরো বলেন, আগুন দেওয়ার বিষয়টি মিজান ফোন দিয়ে নিশ্চিত করেন। এরপর মিজানের বিকাশের তিন হাজার টাকা বোসান পাঠান রকি।
পরে দ্বিতীয় দফা অবরোধে বাসে আগুন দেওয়ার জন্য ডাবল বোনাস ঘোষণা করেন রকি। সিটিটিসি প্রধান বলেন, গত ১ নভেম্বর রাজধানীর মুগদাপাড়া আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজের সামনে মিডলাইন বাসে রাজনৈতিক দুর্বৃত্তরা যাত্রীবেশে আগুন দিয়ে পালানোর সময় আল আমিন নামে একজনকে হাতেনাতে আটক করা হয়। আল আমিন পুলিশের কাছে কার নেতৃত্বে কিভাবে বাসে আগুন দিয়েছেন তা স্বীকার করেছেন। এ ঘটনায় সিটিটিসির গোয়েন্দা দল আল আমিনকে জিজ্ঞাসাবাদ করে। পরে তিনি বেশ কিছু তথ্য দেন।
সিটিটিসির প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেপ্তার আল আমিন জানান, তার নেতা বিএনপিকর্মী মিজানুর রহমান। এই মিজানের নেতৃত্বে আরো দুজন কমলাপুর টিটিপাড়া থেকে বাসে উঠে পেছনের সিটে গিয়ে বসেন। এরপর সঙ্গে থাকা পেট্রল ঢেলে বাসে আগুন দিয়ে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন। মিজানসহ তিনজন পালিয়ে যেতে পারলেও স্থানীয়রা আল আমিনকে ধরে ফেলে। পরে মিজানকে গাজীপুর থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। মিজানকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হলে তিনি সিটিটিসিকে জানান, আমির হোসেন রকি নামের মহানগর ছাত্রদলের এক নেতার নেতৃত্বে মিজান রাজনীতি করেন। এই রকির নির্দেশনায় ও তত্ত্বাবধানে প্রথম দফায় মিডলাইন বাসসহ বেশ কয়েকটি বাসে আগুন দেওয়া হয়। এই নেতার কাছ থেকে সকল রসদ পেয়ে চারজন বাসে আগুন দেওয়া শুরু করেন। এর বাইরেও আরো বেশ কয়েকটি বাসে আগুন দিয়েছেন তারা। পুরস্কারের অর্থদাতা কারা জানতে চাইলে সিটিটিসি প্রধান আসাদুজ্জামান বলেন, ‘আমরা সবার তথ্য পেয়েছি। কিন্তু তদন্তের স্বার্থে কারো নাম প্রকাশ করছি না। তবে একে একে সবাইকে আইনের আওতায় আনা হবে এবং গণমাধ্যমের সামনে হাজির করা হবে।’