ভাঙচুর না থামলে পোশাক কারখানা বন্ধ রাখা যাবে: বিজিএমইএ ক্রাইম পেট্রোল ক্রাইম পেট্রোল News প্রকাশিত: ১১:৪৬ অপরাহ্ণ, নভেম্বর ১২, ২০২৩ চলমান পরিস্থিতির পরিপ্রেক্ষিতে সংবাদ সম্মেলন করেন বিজিএমইএর নেতারা। রবিবার দুপুরে রাজধানীর উত্তরায়। নিজস্ব প্রতিবেদক তৈরি পোশাক খাত বর্তমানে দ্বিমুখী চাপে আছে উল্লেখ করে বাংলাদেশ পোশাক প্রস্তুতকারক ও রপ্তানিকারক সমিতির (বিজিএমইএ) সভাপতি বলেছেন, ‘যত দিন না ভাঙচুর বন্ধ হচ্ছে, আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী পর্যাপ্ত নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে না পারছে, তত দিন পর্যন্ত কারখানা বন্ধ রাখা যাবে। বহিরাগতদের হাত থেকে নিজস্ব শিল্প ও সম্পদ রক্ষার সাংবিধানিক অধিকার আছে প্রতিটি উদ্যোক্তার। তারা শিল্প ও সম্পদ রক্ষার ১৩(১) ধারায় কারখানা বন্ধ রাখতে পারবেন।’ আজ রবিবার দুপুরে রাজধানীর উত্তরায় বিজিএমইএর সভাকক্ষে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন সংগঠনটির সভাপতি ফারুক হাসান। তিনি আরো বলেন, চালু কারখানার ৫ শতাংশ বর্তমানে বন্ধ আছে। আর ৯৫ শতাংশই খোলা। শ্রমিকরা চাইলে কাল থেকেই বন্ধ পোশাক কারখানা শর্তহীনভাবে খুলে দেওয়া হবে। সংবাদ সম্মেলনে বিজিএমইএর জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি এস এম মান্নান কচি, সহসভাপতি শহিদ উল্লা আজিম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। ফারুক হাসান বলেন, ‘আমরা লক্ষ করছি, মজুরি বৃদ্ধির পরও আন্দোলনের নামে বিভিন্ন কারখানায় ভাঙচুর করা হচ্ছে। মজুরি ঘোষণার পর থেকে বেশ কিছু কারখানায় অজ্ঞাতনামা কিছু লোক ব্যাপক ধ্বংসযজ্ঞ চালিয়েছে। এ শিল্পকে ঘিরে যারা চক্রান্ত করছে তাদের চিহ্নিত করে ব্যবস্থা নিতে এবং কারখানা চালানোর জন্য পর্যাপ্ত নিরাপত্তা দিতে সরকারের প্রতি অনুরোধ জানাচ্ছি।’ বিজিএমইএর সভাপতি আরো বলেন, “আমরা যখন ‘বৈশ্বিক ও আর্থিক’ এই দ্বিমুখী চাপের মধ্যে টিকে থাকার সংগ্রামে লিপ্ত, তখন এ শিল্পকে নিয়ে শুরু হয়েছে নানা অপতৎপরতা। বিশেষ করে আমাদের শান্ত শ্রমিকদের উসকানি দিয়ে অশান্ত করা হচ্ছে। কোনো কারণে এ শিল্প খাত অস্তিত্ব হারালে লাখ লাখ শ্রমিক ভাইবোন কর্মহীন হয়ে পড়বে, যা কাম্য নয়।” ফারুক হোসেন বলেন, ‘এটি মনে রাখা জরুরি যে বিশাল শ্রমগোষ্ঠী কর্মহীন হয়ে পড়লে তাদের জন্য যে অন্য খাতে কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করা হবে, এ রকম কোনো খাত এখন পর্যন্ত গড়ে ওঠেনি। সবচেয়ে বিপজ্জনক হলো, এত শ্রমিক কর্মহীন হয়ে পড়লে আর্থ-সামাজিক প্রেক্ষাপটে যে ভারসাম্যহীনতা সৃষ্টি হবে, তা মোকাবেলার সক্ষমতা নেই।’ মজুরি ৫৬.২৫ শতাংশ বাড়িয়ে ৭ নভেম্বর সাড়ে ১২ হাজার টাকা সর্বনিম্ন মজুরি নির্ধারণ করে সরকার। এই মজুরি প্রত্যাখ্যান করে ২৩ হাজার টাকা করার দাবিতে বিক্ষোভ করছে শ্রমিকদের একটি অংশ। এই প্রেক্ষাপটে বেশ কিছু কারখানার মালিক প্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দিচ্ছেন। চলমান বিক্ষোভে শুধু গাজীপুরেই ১২৩ কারখানা ভাঙচুর করা হয়েছে। এর মধ্যে পোশাক কারখানা তুসুকায় গত বৃহস্পতিবারের হামলায় পাঁচ কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে দাবি করেছে মালিকপক্ষ। এসব হামলার ঘটনায় মামলা হয়েছে ২২টি। গ্রেপ্তার করা হয়েছে ৮৮ জনকে। পুলিশ জানিয়েছে, গতকাল শনিবার পর্যন্ত আশুলিয়া, গাজীপুর ও উত্তরায় ১৩৭ পোশাক কারখানায় ‘বন্ধের’ নোটিশ দেওয়া হয়েছে। এর আগে গত বৃহস্পতিবার বিজিএমইএ কার্যালয়ে পোশাক শিল্প-মালিকদের সমন্বয়ে অনুষ্ঠিত এক সমন্বয় সভায় দেশের সব পোশাক কারখানায় সব ধরনের নিয়োগ বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় এবং কারখানার ফটকে নিয়োগ বন্ধের নোটিশ টাঙানোর নির্দেশনা দেওয়া হয়। SHARES অর্থনৈতিক বিষয়: পোশাক কারখানা বন্ধবিজিএমইএ
তৈরি পোশাক খাত বর্তমানে দ্বিমুখী চাপে আছে উল্লেখ করে বাংলাদেশ পোশাক প্রস্তুতকারক ও রপ্তানিকারক সমিতির (বিজিএমইএ) সভাপতি বলেছেন, ‘যত দিন না ভাঙচুর বন্ধ হচ্ছে, আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী পর্যাপ্ত নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে না পারছে, তত দিন পর্যন্ত কারখানা বন্ধ রাখা যাবে। বহিরাগতদের হাত থেকে নিজস্ব শিল্প ও সম্পদ রক্ষার সাংবিধানিক অধিকার আছে প্রতিটি উদ্যোক্তার। তারা শিল্প ও সম্পদ রক্ষার ১৩(১) ধারায় কারখানা বন্ধ রাখতে পারবেন।’ আজ রবিবার দুপুরে রাজধানীর উত্তরায় বিজিএমইএর সভাকক্ষে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন সংগঠনটির সভাপতি ফারুক হাসান।
তিনি আরো বলেন, চালু কারখানার ৫ শতাংশ বর্তমানে বন্ধ আছে। আর ৯৫ শতাংশই খোলা। শ্রমিকরা চাইলে কাল থেকেই বন্ধ পোশাক কারখানা শর্তহীনভাবে খুলে দেওয়া হবে। সংবাদ সম্মেলনে বিজিএমইএর জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি এস এম মান্নান কচি, সহসভাপতি শহিদ উল্লা আজিম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
ফারুক হাসান বলেন, ‘আমরা লক্ষ করছি, মজুরি বৃদ্ধির পরও আন্দোলনের নামে বিভিন্ন কারখানায় ভাঙচুর করা হচ্ছে। মজুরি ঘোষণার পর থেকে বেশ কিছু কারখানায় অজ্ঞাতনামা কিছু লোক ব্যাপক ধ্বংসযজ্ঞ চালিয়েছে। এ শিল্পকে ঘিরে যারা চক্রান্ত করছে তাদের চিহ্নিত করে ব্যবস্থা নিতে এবং কারখানা চালানোর জন্য পর্যাপ্ত নিরাপত্তা দিতে সরকারের প্রতি অনুরোধ জানাচ্ছি।’ বিজিএমইএর সভাপতি আরো বলেন, “আমরা যখন ‘বৈশ্বিক ও আর্থিক’ এই দ্বিমুখী চাপের মধ্যে টিকে থাকার সংগ্রামে লিপ্ত, তখন এ শিল্পকে নিয়ে শুরু হয়েছে নানা অপতৎপরতা।
বিশেষ করে আমাদের শান্ত শ্রমিকদের উসকানি দিয়ে অশান্ত করা হচ্ছে। কোনো কারণে এ শিল্প খাত অস্তিত্ব হারালে লাখ লাখ শ্রমিক ভাইবোন কর্মহীন হয়ে পড়বে, যা কাম্য নয়।” ফারুক হোসেন বলেন, ‘এটি মনে রাখা জরুরি যে বিশাল শ্রমগোষ্ঠী কর্মহীন হয়ে পড়লে তাদের জন্য যে অন্য খাতে কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করা হবে, এ রকম কোনো খাত এখন পর্যন্ত গড়ে ওঠেনি। সবচেয়ে বিপজ্জনক হলো, এত শ্রমিক কর্মহীন হয়ে পড়লে আর্থ-সামাজিক প্রেক্ষাপটে যে ভারসাম্যহীনতা সৃষ্টি হবে, তা মোকাবেলার সক্ষমতা নেই।’ মজুরি ৫৬.২৫ শতাংশ বাড়িয়ে ৭ নভেম্বর সাড়ে ১২ হাজার টাকা সর্বনিম্ন মজুরি নির্ধারণ করে সরকার।
এই মজুরি প্রত্যাখ্যান করে ২৩ হাজার টাকা করার দাবিতে বিক্ষোভ করছে শ্রমিকদের একটি অংশ। এই প্রেক্ষাপটে বেশ কিছু কারখানার মালিক প্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দিচ্ছেন। চলমান বিক্ষোভে শুধু গাজীপুরেই ১২৩ কারখানা ভাঙচুর করা হয়েছে। এর মধ্যে পোশাক কারখানা তুসুকায় গত বৃহস্পতিবারের হামলায় পাঁচ কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে দাবি করেছে মালিকপক্ষ। এসব হামলার ঘটনায় মামলা হয়েছে ২২টি। গ্রেপ্তার করা হয়েছে ৮৮ জনকে। পুলিশ জানিয়েছে, গতকাল শনিবার পর্যন্ত আশুলিয়া, গাজীপুর ও উত্তরায় ১৩৭ পোশাক কারখানায় ‘বন্ধের’ নোটিশ দেওয়া হয়েছে। এর আগে গত বৃহস্পতিবার বিজিএমইএ কার্যালয়ে পোশাক শিল্প-মালিকদের সমন্বয়ে অনুষ্ঠিত এক সমন্বয় সভায় দেশের সব পোশাক কারখানায় সব ধরনের নিয়োগ বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় এবং কারখানার ফটকে নিয়োগ বন্ধের নোটিশ টাঙানোর নির্দেশনা দেওয়া হয়।