ইসরায়েলে এফ-৩৫ যুদ্ধবিমানের যন্ত্রাংশ রপ্তানিতে ডাচ আদালতের সায়

প্রকাশিত: ১২:৪৯ পূর্বাহ্ণ, ডিসেম্বর ১৬, ২০২৩
এফ-৩৫ যুদ্ধবিমান। ফাইল ছবি : এএফপি

নিজস্ব প্রতিনিধি

গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলের ব্যবহৃত এফ-৩৫ যুদ্ধবিমানগুলোর যন্ত্রাংশ সরবরাহ করা নেদারল্যান্ডস চালিয়ে যেতে পারে। একটি ডাচ আদালত শুক্রবার এ রায় দিয়েছেন।

হেগের জেলা আদালত বলেছেন, যন্ত্রাংশ সরবরাহ করা প্রাথমিকভাবে একটি রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত। বিচারকদের এতে হস্তক্ষেপ করা উচিত নয়।

আদালতের রায়ে বলা হয়েছে, ‘মন্ত্রী যে বিবেচনাগুলো করেন তা অনেকটা রাজনৈতিক এবং নীতিগত প্রকৃতির। বিচারকদের উচিত মন্ত্রীকে প্রচুর পরিমাণে স্বাধীনতা দেওয়া।’

অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের স্থানীয় শাখাসহ কয়েকটি সংস্থাগুলো যুক্তি দিয়েছিল, যন্ত্রাংশ সরবরাহ করায় হামাসের সঙ্গে যুদ্ধে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘনের অভিযোগে অবদান রাখা হচ্ছে। মার্কিন মালিকানাধীন এফ-৩৫ যন্ত্রাংশ নেদারল্যান্ডসের একটি গুদামে সংরক্ষণ করা হয়।

তারপর বিদ্যমান রপ্তানি চুক্তির মাধ্যমে ইসরায়েলসহ বেশ কয়েকটি অংশীদারের কাছে পাঠানো হয়। 

ডাচ কর্তৃপক্ষ বলেছে, তারা সরবরাহে হস্তক্ষেপ করার ক্ষমতা রাখে কি না তা-ও স্পষ্ট নয়। মার্কিন পরিচালিত একটি কার্যক্রমের অংশ হিসেবে এফ-৩৫ যুদ্ধবিমানের সব অংশীদারকে যন্ত্রাংশ সরবরাহ করা হয়।

সরকার সংসদে এক চিঠিতে বলেছে, ‘ইসরায়েলি এফ-৩৫-এর মোতায়েনের বর্তমান তথ্যের ভিত্তিতে এটি বলা যায় না যে যুদ্ধবিমানগুলো যুদ্ধের মানবিক আইনের গুরুতর লঙ্ঘনের সঙ্গে জড়িত।

কিন্তু বাদীপক্ষের মানবাধিকার আইনজীবী লিসবেথ জেগভেল্ড ইসরায়েলি সরকারের এ দাবি উড়িয়ে দিয়েছেন। সরকারি আইনজীবীরাও যুক্তি দিয়েছেন, ডাচরা যদি নেদারল্যান্ডসভিত্তিক গুদাম থেকে যন্ত্রাংশ সরবরাহ না করে, ইসরায়েল সহজেই সেগুলো অন্য কোথাও সংগ্রহ করতে পারবে।

হামাসের যোদ্ধারা ৭ অক্টোবর সীমান্ত পেরিয়ে ইসরায়েলে হামলা চালালে যুদ্ধ শুরু হয়। ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষের মতে, সেই হামলায় প্রায় এক হাজার ২০০ জন নিহত হয়েছে। জবাবে ইসরায়েল হামাসকে ধ্বংস করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে এবং নিরলস বোমাবর্ষণ ও স্থল আক্রমণ শুরু করেছে।

এতে গাজার বিশাল অংশ ধ্বংসের মুখে পড়েছে। হামাস পরিচালিত ভূখণ্ডের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় বলছে, যুদ্ধে এখন পর্যন্ত ১৮ হাজার ৭৮৭ জন নিহত হয়েছে, যাদের অধিকাংশই নারী ও শিশু। 

সূত্র : এএফপি