হামাসের বৃহত্তম সুড়ঙ্গ আবিষ্কারের দাবি ইসরায়েলি সেনাদের

প্রকাশিত: ১০:১৭ অপরাহ্ণ, ডিসেম্বর ১৭, ২০২৩
ইসরায়েলি সেনাবাহিনী ১৭ ডিসেম্বর ইরেজ সীমান্ত ক্রসিং থেকে মাত্র কয়েক শ মিটার দূরে হামাসের বৃহত্তম সুড়ঙ্গ আবিষ্কারের দাবি করেছে। ছবি : এএফপি

নিজস্ব প্রতিনিধি

ইসরায়েলি সেনাবাহিনী রবিবার বলেছে, তারা একটি গুরুত্বপূর্ণ সীমান্ত ক্রসিং থেকে মাত্র কয়েক শ মিটার দূরে গাজা উপত্যকায় হামাসের সবচেয়ে বড় সুড়ঙ্গটি আবিষ্কার করেছে। এএফপির এক প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।

এএফপির একজন ফটোগ্রাফার সুড়ঙ্গটিতে প্রবেশাধিকার পেয়েছিলেন। তাঁর মতে, সুড়ঙ্গটির আকার এতটাই বড় যে ছোট যানবাহনও এর মধ্য দিয়ে যাতায়াত করতে পারবে।

সেনাবাহিনী এক বিবৃতিতে বলেছে, সুড়ঙ্গটি একটি বিস্তৃত নেটওয়ার্কের অংশ। এটি চার কিলোমিটার পর্যন্ত প্রসারিত। সুড়ঙ্গটির অবস্থান ইরেজ সীমান্ত ক্রসিংয়ের এক হাজার ৩০০ ফুটের মধ্যে।

ইসরায়েলি বাহিনী বলেছে, ফিলিস্তিনি সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাসের প্রধান ইয়াহিয়া সিনওয়ারের ভাই মোহাম্মদ ইয়াহিয়ার নেতৃত্বে এক প্রকল্পের অধীনে সুড়ঙ্গটি নির্মাণ করা হয়েছে।

কয়েক মিলিয়ন ডলার খরচ করে সুড়ঙ্গটি নির্মাণে কয়েক বছর সময় লেগেছে। ইয়াহিয়া সিনওয়ারকে ৭ অক্টোবরের হামলার মূল পরিকল্পনাকারী বলে মনে করা হয়। 

সুড়ঙ্গটিতে নিষ্কাশন ব্যবস্থা, বিদ্যুৎ, বায়ু চলাচল, পয়োনিষ্কাশন এবং যোগাযোগ নেটওয়ার্কের পাশাপাশি রেলও রয়েছে। ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর প্রকাশিত হামাসের ধারণ করা ফুটেজ একটি ছোট নির্মাণ যানবাহনকে সুড়ঙ্গের মধ্যে চলতে দেখা যায়।

সেনাবাহিনী বলেছে, তারা সুড়ঙ্গে মজুদ করা বিপুলসংখ্যক অস্ত্র খুঁজে পেয়েছে, যা হামলায় ব্যবহারের জন্য প্রস্তুত ছিল।

সেনাবাহিনীর একজন মুখপাত্র লেফটেন্যান্ট কর্নেল রিচার্ড হেচট বলেছেন, হামাস এই প্রকল্পে বিপুল সম্পদ ব্যয় করেছে। তাঁর মতে, শুধু একটি উদ্দেশ্য পূরণ করার জন্য এটি নির্মাণ করা হয়েছে—ইসরায়েল রাষ্ট্র ও এর বাসিন্দাদের ওপর আক্রমণ।

২০১৪ সালে ইসরায়েলের সঙ্গে যুদ্ধের পর থেকে সুড়ঙ্গ নেটওয়ার্ক প্রসারিত হয়েছে এবং হামাস তার রকেট উৎক্ষেপণের সুবিধার্থে এটি ঘন ঘন ব্যবহার করেছে। মার্কিন সামরিক একাডেমি ওয়েস্ট পয়েন্টে মডার্ন ওয়ার ইনস্টিটিউটের ১৭ অক্টোবর প্রকাশিত একটি গবেষণায় বলা হয়েছে, অঞ্চলটিতে ৫০০ কিলোমিটারের বেশি প্রসারিত এক হাজার ৩০০টি সুড়ঙ্গ রয়েছে।

 

ইসরায়েলি সেনাবাহিনী ডিসেম্বরের শুরুতে বলেছিল, তারা ৮০০টিরও বেশি সুড়ঙ্গ আবিষ্কার করেছে, যার মধ্যে ৫০০টি ধ্বংসও করা হয়েছে। গত সপ্তাহে ইসরায়েলি গণমাধ্যমের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সেনাবাহিনী ভূমধ্যসাগর থেকে পাম্প করা সামুদ্রিক পানি দিয়ে সুড়ঙ্গ প্লাবিত করার কথা বিবেচনা করছে। ইতিমধ্যে সফল পরীক্ষাও চালিয়েছে।