এ বছর যে শহরগুলোয় বেড়াতে গেছে পর্যটকরা ক্রাইম পেট্রোল ক্রাইম পেট্রোল News প্রকাশিত: ৯:১৬ অপরাহ্ণ, ডিসেম্বর ১৭, ২০২৩ নিজস্ব প্রতিনিধি এ বছর বিশ্বজুড়ে পর্যটকদের পছন্দের শহরের তালিকায় শীর্ষে ছিল ইউরোপের শহরগুলো। এর মধ্যে ফ্রান্সের প্যারিস ছিল ভ্রমণপিপাসুদের সবচেয়ে পছন্দের শহর। গ্লোবাল মার্কেট রিসার্চ কম্পানি ইউরোমনিটর ইন্টারন্যাশনালের ২০২৩ সালের বার্ষিক প্রতিবেদনে এই তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে। এতে বলা হয়েছে, তালিকায় থাকা শীর্ষ ১০টি শহরের মধ্যে সাতটি এবং শীর্ষ ১০০টির মধ্যে ৬৩টি শহর নিয়ে ইউরোপজুড়ে ছিল দেশ-বিদেশ ঘুরে বেড়ানোদের আনাগোনা। ডেটা কম্পানি লাইটহাউসের সঙ্গে অংশীদারত্বের ভিত্তিতে শীর্ষ ১০০ পর্যটন শহরের এই তালিকা তৈরি করা হয়েছে। এর জন্য সারা বিশ্বের নেতৃস্থানীয় শহরগুলোকে মূল্যায়ন করা হয়েছে এবং পর্যটন, স্থায়িত্ব, অর্থনৈতিক অবদান, স্বাস্থ্য ও নিরাপত্তা সম্পর্কিত মানদণ্ডের ভিত্তিতে তালিকার ক্রম তৈরি করা হয়েছে। শীর্ষ ১০টি শহরের মধ্যে ইউরোপের বাইরের শহরগুলোর মধ্যে দুবাইয়ের অবস্থান প্যারিসের পরেই। এরপর জাপানের টোকিও রয়েছে ৪ নম্বরে এবং নিউ ইয়র্কের অবস্থান ৮ নম্বরে। এ ছাড়া স্পেনের মাদ্রিদ তৃতীয়, আমস্টারডাম, বার্লিন ও রোম যথাক্রমে ৫, ৬ ও ৭ নম্বরে জায়গা করে নিয়েছে। বার্সেলোনা ও লন্ডনের অবস্থান ৯ ও ১০-এ। এশিয়া থেকে তালিকার সেরা ২০-এ জায়গা করে নিয়েছে সিঙ্গাপুর (১১), সিউল (১৪), ওসাকা (১৬) ও হংকং (১৭)। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইউরোপের সাফল্যর পেছনে ‘দ্রুতগতির নগরায়ণ এবং ব্যাপক প্রযুক্তি গ্রহণের’ অবদান রয়েছে। এদিকে টোকিও প্রথমবারের মতো এ তালিকায় শীর্ষ ১০-এ জায়গা করে নিয়েছে। এবার উন্নত পর্যটন অবকাঠামো, কভিড-১৯-সম্পর্কিত বিধি-বিধানের শিথিলকরণ এবং দুর্বল ইয়েনের কারণে আন্তর্জাতিক পর্যটকরা এ শহরকে বেছে নিয়েছে। তালিকার ১০০টি শহরে চারটি নতুন শহর রয়েছে এবার। সেগুলো হলো ওয়াশিংটন ডিসি (৪৮), মন্ট্রিল (৬৮), সান্তিয়াগো (৮৮) ও ভিলনিয়াস (৯)। পর্যটনশিল্প বিশ্বব্যাপী অর্থনৈতিক বেহাল দশা পুনরুদ্ধারে ভূমিকা রেখেছে। ২০২৩ সালের শেষ নাগাদ বিশ্বজুড়ে ১.৩ বিলিয়ন মানুষ দেশ-বিদেশ ঘুরে বেড়াবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। এতে বিশ্বব্যাপী পর্যটন ব্যয় দাঁড়াতে পারে প্রায় ১.৭ ট্রিলিয়ন ডলারে। এদিকে পর্যটকের সংখ্যা বৃদ্ধি একটি মিশ্র প্রতিক্রিয়া তৈরি করতে পারে। স্থানীয় বাসিন্দা ও পরিবেশের ওপর নেতিবাচক প্রভাবও তৈরি হতে পারে এতে। ইউরোমনিটর ইন্টারন্যাশনালের জ্যেষ্ঠ ব্যবস্থাপক নাদেজদা পপোভা এক বিবৃতিতে বলেছেন, শহরগুলো অতিপর্যটনের চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হচ্ছে। পপোভা ভবিষ্যদ্বাণী করেছেন, ২০২৪ এবং ২০২৫ সালে পর্যটন বৃদ্ধির ক্ষেত্রে জীবনযাত্রার ক্রমবর্ধমান ব্যয়, অস্থীতিশীল মুদ্রাস্ফীতি এবং ভূ-রাজনৈতিক অস্থিরতা সবচেয়ে বড় বাধা হয়ে দাঁড়াবে। ইউরোমনিটরের তালিকার শীর্ষ ২০টি শহর : ১. প্যারিস, ফ্রান্স ২. দুবাই, সংযুক্ত আরব আমিরাত ৩. মাদ্রিদ, স্পেন ৪. টোকিও, জাপান ৫. আমস্টারডাম, নেদারল্যান্ডস ৬. বার্লিন, জার্মানি ৭. রোম, ইতালি ৮. নিউ ইয়র্ক, যুক্তরাষ্ট্র ৯. বার্সেলোনা, স্পেন ১০. লন্ডন, যুক্তরাজ্য ১১. সিঙ্গাপুর ১২. মিউনিখ, জার্মানি ১৩. মিলান, ইতালি ১৪. সিউল, দক্ষিণ কোরিয়া ১৫. ডাবলিন, আয়ারল্যান্ড ১৬. ওসাকা, জাপান ১৭. হংকং ১৮. ভিয়েনা, অস্ট্রিয়া ১৯. লস অ্যাঞ্জেলেস, যুক্তরাষ্ট্র ২০. লিসবন, পর্তুগাল সূত্র : সিএনএন SHARES আন্তর্জাতিক বিষয়: #পর্যটক
এ বছর বিশ্বজুড়ে পর্যটকদের পছন্দের শহরের তালিকায় শীর্ষে ছিল ইউরোপের শহরগুলো। এর মধ্যে ফ্রান্সের প্যারিস ছিল ভ্রমণপিপাসুদের সবচেয়ে পছন্দের শহর। গ্লোবাল মার্কেট রিসার্চ কম্পানি ইউরোমনিটর ইন্টারন্যাশনালের ২০২৩ সালের বার্ষিক প্রতিবেদনে এই তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে। এতে বলা হয়েছে, তালিকায় থাকা শীর্ষ ১০টি শহরের মধ্যে সাতটি এবং শীর্ষ ১০০টির মধ্যে ৬৩টি শহর নিয়ে ইউরোপজুড়ে ছিল দেশ-বিদেশ ঘুরে বেড়ানোদের আনাগোনা।
ডেটা কম্পানি লাইটহাউসের সঙ্গে অংশীদারত্বের ভিত্তিতে শীর্ষ ১০০ পর্যটন শহরের এই তালিকা তৈরি করা হয়েছে। এর জন্য সারা বিশ্বের নেতৃস্থানীয় শহরগুলোকে মূল্যায়ন করা হয়েছে এবং পর্যটন, স্থায়িত্ব, অর্থনৈতিক অবদান, স্বাস্থ্য ও নিরাপত্তা সম্পর্কিত মানদণ্ডের ভিত্তিতে তালিকার ক্রম তৈরি করা হয়েছে। শীর্ষ ১০টি শহরের মধ্যে ইউরোপের বাইরের শহরগুলোর মধ্যে দুবাইয়ের অবস্থান প্যারিসের পরেই।
এরপর জাপানের টোকিও রয়েছে ৪ নম্বরে এবং নিউ ইয়র্কের অবস্থান ৮ নম্বরে। এ ছাড়া স্পেনের মাদ্রিদ তৃতীয়, আমস্টারডাম, বার্লিন ও রোম যথাক্রমে ৫, ৬ ও ৭ নম্বরে জায়গা করে নিয়েছে। বার্সেলোনা ও লন্ডনের অবস্থান ৯ ও ১০-এ। এশিয়া থেকে তালিকার সেরা ২০-এ জায়গা করে নিয়েছে সিঙ্গাপুর (১১), সিউল (১৪), ওসাকা (১৬) ও হংকং (১৭)।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইউরোপের সাফল্যর পেছনে ‘দ্রুতগতির নগরায়ণ এবং ব্যাপক প্রযুক্তি গ্রহণের’ অবদান রয়েছে। এদিকে টোকিও প্রথমবারের মতো এ তালিকায় শীর্ষ ১০-এ জায়গা করে নিয়েছে। এবার উন্নত পর্যটন অবকাঠামো, কভিড-১৯-সম্পর্কিত বিধি-বিধানের শিথিলকরণ এবং দুর্বল ইয়েনের কারণে আন্তর্জাতিক পর্যটকরা এ শহরকে বেছে নিয়েছে। তালিকার ১০০টি শহরে চারটি নতুন শহর রয়েছে এবার।
সেগুলো হলো ওয়াশিংটন ডিসি (৪৮), মন্ট্রিল (৬৮), সান্তিয়াগো (৮৮) ও ভিলনিয়াস (৯)। পর্যটনশিল্প বিশ্বব্যাপী অর্থনৈতিক বেহাল দশা পুনরুদ্ধারে ভূমিকা রেখেছে। ২০২৩ সালের শেষ নাগাদ বিশ্বজুড়ে ১.৩ বিলিয়ন মানুষ দেশ-বিদেশ ঘুরে বেড়াবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। এতে বিশ্বব্যাপী পর্যটন ব্যয় দাঁড়াতে পারে প্রায় ১.৭ ট্রিলিয়ন ডলারে। এদিকে পর্যটকের সংখ্যা বৃদ্ধি একটি মিশ্র প্রতিক্রিয়া তৈরি করতে পারে। স্থানীয় বাসিন্দা ও পরিবেশের ওপর নেতিবাচক প্রভাবও তৈরি হতে পারে এতে। ইউরোমনিটর ইন্টারন্যাশনালের জ্যেষ্ঠ ব্যবস্থাপক নাদেজদা পপোভা এক বিবৃতিতে বলেছেন, শহরগুলো অতিপর্যটনের চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হচ্ছে। পপোভা ভবিষ্যদ্বাণী করেছেন, ২০২৪ এবং ২০২৫ সালে পর্যটন বৃদ্ধির ক্ষেত্রে জীবনযাত্রার ক্রমবর্ধমান ব্যয়, অস্থীতিশীল মুদ্রাস্ফীতি এবং ভূ-রাজনৈতিক অস্থিরতা সবচেয়ে বড় বাধা হয়ে দাঁড়াবে। ইউরোমনিটরের তালিকার শীর্ষ ২০টি শহর : ১. প্যারিস, ফ্রান্স ২. দুবাই, সংযুক্ত আরব আমিরাত ৩. মাদ্রিদ, স্পেন ৪. টোকিও, জাপান ৫. আমস্টারডাম, নেদারল্যান্ডস ৬. বার্লিন, জার্মানি ৭. রোম, ইতালি ৮. নিউ ইয়র্ক, যুক্তরাষ্ট্র ৯. বার্সেলোনা, স্পেন ১০. লন্ডন, যুক্তরাজ্য ১১. সিঙ্গাপুর ১২. মিউনিখ, জার্মানি ১৩. মিলান, ইতালি ১৪. সিউল, দক্ষিণ কোরিয়া ১৫. ডাবলিন, আয়ারল্যান্ড ১৬. ওসাকা, জাপান ১৭. হংকং ১৮. ভিয়েনা, অস্ট্রিয়া ১৯. লস অ্যাঞ্জেলেস, যুক্তরাষ্ট্র ২০. লিসবন, পর্তুগাল সূত্র : সিএনএন