বেকারভাতাসহ যা আছে জাতীয় পার্টির ইশতেহারে

প্রকাশিত: ৫:৫১ অপরাহ্ণ, ডিসেম্বর ২১, ২০২৩

নিজস্ব প্রতিনিধি

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে নির্বাচনী ইশতেহার ঘোষণা করেছে জাতীয় পার্টি (জাপা)। এতে ২৪টি দফা রেখেছে দলটি। গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলোর মধ্যে আছে বেকারভাতা, শিক্ষাপদ্ধতি সংশোধন, ইসলামিক কমিশন গঠন, ভারতের সঙ্গে বাণিজ্যিক ভারসাম্য বজায় রাখা ও কৃষককে সর্বোচ্চ ভর্তুকি দেওয়া।

বৃহস্পতিবার দুপুরে রাজধানীর বনানীতে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যানের কার্যালয়ে ইশতেহার ঘোষণা করেন দলটির মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নু।

ইশতেহার ঘোষণা শেষে তিনি সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন। 

চুন্নু ঘোষণা করেন, তাঁর দল ক্ষমতায় গেলে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর করা বেকার যুবক-যুবতিদের কর্মসংস্থান না হওয়া পর্যন্ত সরকারিভাবে মাসিক ভাতা প্রদান করা হবে। আগামী পাঁচ বছরে সবার জন্য স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিতকরণ ও জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার শতকরা ১-এর নিচে নামিয়ে আনার লক্ষ্যে প্রণয়ন করা হবে জাতীয় স্বাস্থ্যনীতি।

শিক্ষাপদ্ধতি সংশোধনের অংশ হিসেবে প্রচলিত ব্যবস্থার আমূল পরিবর্তন করে কর্মমুখী ব্যবস্থা চালুর জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবে জাপা।

চুন্নু বলেন, সর্বজনীন অবৈতনিক বাধ্যতামূলক প্রাথমিক শিক্ষা সফল করতে এবং নারীশিক্ষা বিস্তারে বিশেষ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। শিক্ষায় বৈষম্য দূরীকরণ ও ধর্মীয় শিক্ষার সঙ্গে বিজ্ঞানের সমন্বয় সাধনের জন্য উদ্যোগ নেওয়া হবে। আবাসিক হল ও ছাত্রাবাসে সুযোগ-সুবিধা বাড়ানো হবে। 

জাতীয় পার্টি কোরআন ও সুন্নাহবিরোধী কোনো আইন প্রণয়ন করবে না বলেও ইশতেহারে উল্লেখ আছে।

সরকারকে পরামর্শ দেওয়ার জন্য বিশিষ্ট আলেম ও বুদ্ধিজীবীদের নিয়ে গঠন করা হবে ইসলামিক কমিশন। 

সব ধরনের অস্ত্রবাজি, চাঁদাবাজি, সন্ত্রাস ও বিশৃঙ্খলা বন্ধ করার জন্য কঠোর ব্যবস্থা অবলম্বন করা হবে। সব বেআইনি অস্ত্র উদ্ধার করা হবে এবং বেআইনি অস্ত্রের অনুপ্রবেশ, লেনদেন কঠোর হস্তে দমন করা হবে।

কৃষি খাত নিয়ে জাপার ইশতেহারে বলা হয়েছে, সর্বোচ্চ ভর্তুকি দিয়ে কৃষকের কল্যাণ সাধন করা হবে। ধান, চাল, পাট, আখ, চা, তামাক, আলুসহ সব কৃষিপণ্যে লাভজনক মূল্য নিশ্চিত করা।

সামুদ্রিক মৎস্যশিল্পের সাম্প্রসারণের লক্ষ্যে প্রক্রিয়াজাতকরণ ব্যবস্থা গড়ে তোলা হবে। বন্যা নিয়ন্ত্রণ ও শুষ্ক মৌসুমে সেচের ব্যবস্থা করার পাশাপাশি চাষের আওতায় আনা হবে পতিত-অনাবাদি জমি। গড়ে তোলা হবে কৃষিভিত্তিক শিল্পনগরী।মুজিবুল হক বলেন, ভারতের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্যনীতি অবলম্বনের মাধ্যমে দুই দেশের বাণিজ্যিক ভারসাম্য বজায় রাখা হবে। পররাষ্ট্রনীতিতে সবার সঙ্গে বজায় রাখা হবে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক।