ভোটের দিন নাশকতাকারীর তথ্য দিলে ‌‘লাখ টাকা পুরস্কার’

প্রকাশিত: ৫:২১ অপরাহ্ণ, জানুয়ারি ৫, ২০২৪
নিজস্ব প্রতিনিধি

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দেশের কোথাও নাশকতাকারীদের সম্পর্কে সুনির্দিষ্ট তথ্য দিলে ২০ হাজার থেকে এক লাখ টাকা পর্যন্ত পুরস্কার দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন। তথ্য প্রদানকারীর পরিচয় গোপন রাখা হবে বলেও জানান তিনি।

আজ শুক্রবার দুপুরে পুলিশ সদর দপ্তরের পুলিশ সুপার (মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশনস) ইনামুল হক সাগর এ তথ্য জানান।

ইনামুল হক সাগর বলেন, ‘আইজিপি মহোদয় ঘোষণা দিয়েছেন, জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দেশের কোথাও নাশকতাকারীদের সম্পর্কে সুনির্দিষ্ট তথ্য দিলে ২০ হাজার থেকে লাখ টাকা পর্যন্ত পুরস্কার দেওয়া হবে।

তবে পুলিশের কাছে যে তথ্য দেবেন তার পরিচয় গোপন রাখা হবে।’ 

এদিকে আজ শুক্রবার দুপুরে রাজধানীর কাকরাইলস্থ উইলস লিটল ফ্লাওয়ার স্কুল অ্যান্ড কলেজ আগামী ৭ জানুয়ারি দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচন উপলক্ষে নিরাপত্তা ব্রিফিং-পরবর্তী মিডিয়া ব্রিফিংয়ে আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন বলেন, ‘সম্প্রতি মাগুরায় ছাত্রদের একজন নেতাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। নির্বাচনকেন্দ্রিক সহিংসতা ঘটানোর বেশ কিছু তথ্য তার কাছ থেকে পাওয়া গেছে। সহিংসতা-নাশকতা করার জন্য তাদের বেশ কিছু পরিকল্পনার বিষয় আমরা জানতে পেরেছি।

সেই আলোকে আমরা আমাদের নিরাপত্তাব্যবস্থা নিয়েছি। এ বিষয়ে আরো তথ্য সংগ্রহ করছি।’ 

তিনি আরো বলেন, ‘আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর বিভিন্ন পর্যায় থেকে নাশকতাকারীদের বিষয়ে প্রতিনিয়ত আমরা তাদের ইনফরমেশন পাচ্ছি। আমরা আশা করি, তারা যত পরিকল্পনাই করুক, আমরা তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেব।

নাশকতাকারীরা পরিকল্পনা করেছিল যে বিকট কিছু আওয়াজ করে মানুষের মনে ভীতি তৈরি করবে। এই তথ্য আমরা পেয়েছি। আমরা আমাদের সর্বোচ্চ প্রস্তুতি নিয়েছি। আমি আশা করি, এই ধরনের ভীতি সঞ্চার তারা করতে পারবে না। দেশের মানুষ সবাই মিলে যেভাবে জঙ্গিবাদ, সন্ত্রাসবাদ ও নাশকতার বিরুদ্ধে আমাদের সহায়তা করেছে।
এবারও সেইভাবে নাশকতাকারীদের দমন করা হবে।’ 

আমি দেশের সব সম্মানিত নাগরিককে আশ্বস্ত করতে চাই, এই দেশের গোয়েন্দা সংস্থা, আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর বিভিন্ন ইউনিট, প্রশাসন সবাই মিলে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ  নির্বাচনকে সাফল্যমণ্ডিত করতে নির্বাচনী দায়িত্ব পালনের জন্য সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছি জানিয়ে আইজিপি বলেন, ‘আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ঘটানোর যদি কোনো সুযোগ নেয়, তাহলে কঠোরভাবে তাদের দমন করে আইনের আওতায় আনা হবে। দেশের গোয়েন্দা সংস্থা, আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর বিভিন্ন ইউনিট, প্রশাসন, নির্বাচন কমিশন, রিটার্নিং কর্মকর্তার অফিসসহ আমাদের সবার মাঝে একটি সুষ্ঠু সমন্বয় রয়েছে।’

তিনি বলেন, ‘আমরা আপনাদের নিকটস্থ থানায় বা পুলিশের জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯-এ আপনারা যোগাযোগ করতে পারেন। আমাদের টিম সহায়তার জন্য আপনাদের পাশে দ্রুততম সময়ে পৌঁছে যাবে।’