আগামীকাল গণকারফিউ ভোট দিতে না যাবার আহবান গণঅধিকার পরিষদের।

প্রকাশিত: ৮:১৩ অপরাহ্ণ, জানুয়ারি ৬, ২০২৪

নিজস্ব প্রতিনিধি

একতরফা নির্বাচন বর্জন এবং অবাধ, সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের দাবিতে বিক্ষেভ মিছিল করেছে গণঅধিকার পরিষদ।
হরতালের সমর্থনে আজ শনিবার সকাল ১১.৩০ টায় বিজয়নগর পানির টাঙ্কি, আলরাজি কমপ্লেক্সের সামনে থেকে এ বিক্ষোভ মিছিল শুরু হয়। পরে মিছিলটি পল্টন মোড় ঘুরে বিজয়নগর মোড় হয়ে নাইটিংগেল মোড় ঘুরে বিজয়নগর পানিরট্যাংকির মোড়ে সংক্ষিপ্ত সমাবেশের মাধ্যমে শেষ হয়।সমাবেশে গণঅধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মো. রাশেদ খাঁন বলেন, ‘ডামি নির্বাচনে ডামি ভোটার উপস্থিতি দেখানো হবে।

আগামীকাল কেও ভোটকেন্দ্রে যাবেন না। সকলে ঘরে অবস্থান করুন। নিজ নিজ জায়গা থেকে গণকারফিউ পালন করুন। এই সরকার আপনাদের ভাত ও ভোটের অধিকার কেড়ে নিয়েছে।
আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে নিউজ হচ্ছে, দেশে গণতন্ত্র ও ভোটাধিকার নাই, আওয়ামী লীগ সরকার কর্তৃত্ববাদী হয়ে উঠেছে। সংবিধান থেকে ২০১১ সালে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বাতিল করে দেশকে অন্ধকারের দিকে নিয়ে গিয়েছে।’তিনি বলেন, ‘কেন তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বাতিল করলো? কারণ এই ব্যবস্থার অধীনে কেউ টানা ক্ষমতায় যেতে পারেনি। সেকারণে এই ব্যবস্থা বাতিল করে আওয়ামী লীগ বাকশাল-২ ঘোষণার পথে হাটছে।

দেশের জনগণকে বলবো, রাজপথে নামুন, প্রতিবাদ করুন। আর কত চুপ করে সহ্য করবেন?  আমরা গণঅধিকার পরিষদের নেতৃবৃন্দ আপনাদের অধিকার প্রতিষ্ঠার আন্দোলন করছি। আপনাদের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণে গণঅভ্যুত্থান রচিত হলে এই সরকার ক্ষমতা ছাড়তে বাধ্য হবে।রাশেদ খাঁন আরো বলেন, ২০১৪ ও ১৮ সালে কোন নির্বাচন হয়নি। ভোটকেন্দ্রে কুত্তাবিড়াল ঘোরাঘুরি করেছে।

আগামীকালের নির্বাচনে কৃত্রিম লাইন সৃষ্টি করা হবে, ৫০-৬০ শতাংশ ভোটার উপস্থিতি দেখানো হবে। ডামি নির্বাচনে ডামি ভোটার থাকবে। বিদেশিদের দেখানো হবে জনগণ স্বতঃস্ফূর্তভাবে অংশগ্রহণ করছে। কিন্তু জনগণ এই নির্বাচন বর্জন ঘোষণা করেছে।
জাতিসংঘ ও আমেরিকার সংলাপ-সমঝোতার প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করে সরকার দেশকে নিষেধাজ্ঞা দিকে নিয়ে গিয়েছে। নির্বাচন কমিশন ও যেসকল সরকারি কর্মকর্তা অবৈধ নির্বাচনের আয়োজন করছে, এটি বন্ধ না করলে, নির্বাচনের পরে তাদের ও তাদের পরিবারের সদস্যদে উপর মার্কিন নিষেধাজ্ঞা আসতে পারে। সরকারের ওপর অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা আসলে দেশে দুর্ভিক্ষ শুরু হবে। তাই দেশ ও জাতির প্রতি ভালবাসা থাকলে আজকেই পদত্যাগ করে সংসদ বিলুপ্ত করে সংবিধানের ১২৩ নং অনুচ্ছেদ অনুযায়ী ৯০ দিনের মধ্যে নির্বাচন দিন।দলের সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাসান আল মামুন বলেন,”ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ একতরফা নির্বাচনের মাধ্যমে তার ক্ষমতাকে দীর্ঘায়িত করার জন্য এজেন্ট দিয়ে পরিকল্পিত ভাবে ট্রেনে এবং বাসে আগুন দিয়ে মানুষ পুড়িয়ে মারছে। আমরা ২০১৪ সালেও বাসে, ট্রেনে আগুনের ঘটনা দেখেছি। সেখানে আওয়ামী লীগ নেতা পঙ্কজ দেবনাথের উপজেলার নেতাকর্মীরা তার বিরুদ্ধে বাসে আগুন দেওয়ার অভিযোগ এবে গণমাধ্যমে বক্তব্য দিয়েছে। সুতরাং এ থেকে স্পষ্টতই বুঝা যায় সরকার বিরোধী দলের নেতা কর্মীদের উপর দোষ চাপাতে পরিকল্পিত এসব অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটাচ্ছে। আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে ইতিমধ্যে শেখ হাসিনা সরকারের একতরফা নির্বাচনের খবর প্রচার হচ্ছে। ৭ জানুয়ারীর এই নির্বাচনের মাধ্যমে দেশ এক গভীর সংকটে পড়তে যাচ্ছে। তাই দেশের মানুষের প্রতি আহ্বান জানাই, ডামি নির্বাচনকে বর্জন করে ভোট কেন্দ্রে যাওয়া থেকে বিরত থাকুন।

সমাবেশটি সঞ্চালনা করেন যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রবিউল হাসান। এসময় সমাবেশ ও মিছিলে উপস্থিত ছিলেন গণঅধিকার পরিষদের উচ্চতর পরিষদের সদস্য আবু হানিফ, শাকিল উজ্জামান, শহিদুল ইসলাম ফাহিম, এডভোকেট সরকার নুরে এরশাদ সিদ্দিকী, জসিম উদ্দিন আকাশ, ক্রীড়া সম্পাদক ইলিয়াস মিয়া, যুব অধিকার পরিষদের সভাপতি মনজুর মোর্শেদ মামুন, সাধারণ সম্পাদক নাদিম হাসান, ছাত্র অধিকার পরিষদের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি তারিকুল ইসলাম, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক নাজমুল হাসানসহ নেতাকর্মীরা।