সংসদ অধিবেশনের প্রথম দিন কর্মসূচি দেবে বিএনপি ক্রাইম পেট্রোল ক্রাইম পেট্রোল News প্রকাশিত: ৪:৩২ অপরাহ্ণ, জানুয়ারি ১৮, ২০২৪ নিজস্ব প্রতিনিধি দ্বাদশ জাতীয় সংসদ অধিবেশনের প্রথম দিন আগামী ৩০ জানুয়ারি কর্মসূচি রাখবে বিএনপি। সেদিন হরতাল-অবরোধ, প্রতিবাদ সমাবেশ কিংবা সংসদ ভবন অভিমুখে পদযাত্রা কর্মসূচি দেওয়া হতে পারে। গত মঙ্গলবার রাতে বিএনপির স্থায়ী কমিটির ভার্চুয়াল সভায় এই সিদ্ধান্ত হয়েছে বলে একাধিক সূত্রে জানা গেছে। তবে কোনো সুনির্দিষ্ট কর্মসূচি চূড়ান্ত করা হয়নি। যুগপৎ আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা করে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। গত ৭ জানুয়ারি দ্বাদশ জাতীয় সংসদের ভোটে কারচুপির মাধ্যমে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এসেছে বলে অভিযোগ করে আসছে বিএনপি। নির্বাচনের পর এখনো কোনো কর্মসূচি না দিলেও ধীরে ধীরে নিয়মতান্ত্রিক কর্মসূচিতে ফিরতে চায় দলটি। স্থায়ী কমিটির বৈঠকে নতুন কর্মসূচির বিষয়ে নেতাদের কেউ কেউ দ্রুত ঢাকায় সমাবেশ করার পরামর্শও দেন। তাঁদের মতে, সমাবেশের মাধ্যমে নেতাকর্মীদের আবার একত্র হওয়ার সুযোগ তৈরি হবে। তবে দলের শীর্ষ পর্যায়ের নেতাদের মতে, নেতাকর্মীরা এখনো সবাই আদালত থেকে জামিন পাননি। ফলে সমাবেশকে কেন্দ্র করে গ্রেপ্তার অভিযান শুরু হতে পারে। তাই তাঁদের জামিন না হওয়া পর্যন্ত বড় ধরনের সমাবেশে না যাওয়াই শ্রেয়। কারো কারো মত ছিল, সমাবেশ না দিয়ে হরতাল-অবরোধের মতো কর্মসূচি দেওয়া উচিত। সংসদ অধিবেশন শুরুর দিন অন্য কোনো কর্মসূচি দিলে তা জুতসই কর্মসূচি হবে না। বৈঠক সূত্র জানায়, বিএনপির জোরালো কর্মসূচি দেওয়ার সম্ভাবনা কম। এখন জনসম্পৃক্ত কর্মসূচির বিষয়টি বেশি গুরুত্ব দিচ্ছে। রমজান মাসকে সামনে রেখে নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির প্রতিবাদে কিছু কর্মসূচি থাকতে পারে। কর্মসূচির বিষয়ে এরই মধ্যে যুগপত্ আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত শরিক দলগুলোর সঙ্গে এক দফা আলোচনা করেছে বিএনপি। তাদের কাছ থেকে মতামত নেওয়া হয়েছে। আজ-কালের মধ্যে আবার শরিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা করতে পারে দলটি। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক দলের একজন জ্যেষ্ঠ নেতা বলেন, স্বাভাবিক রাজনীতিতে ফেরার প্রক্রিয়া শুরু করার বিষয়ে দলের ভেতর আলোচনা শুরু হয়েছে। এরই মধ্যে গুলশানে দলীয় চেয়ারপারসনের কার্যালয় এবং নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয় খেলা হয়েছে। আত্মগোপনে থাকা নেতাকর্মীরা প্রকাশ্যে আসতে শুরু করেছেন। আদালত থেকে নেতাকর্মীরাও জামিন পেতে শুরু করেছেন। বৈঠকে আগামীকাল ১৯ জানুয়ারি দলের প্রতিষ্ঠাতা প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ৮৮তম জন্মদিন উপলক্ষে কর্মসূচি নিয়েও আলোচনা করা হয়। এ বিষয়ে নেতারা বলেন, জিয়ার জন্মদিনের কর্মসূচিই হতে পারে স্বাভাবিক রাজনৈতিক কার্যক্রম শুরুর প্রথম ধাপ। বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান বলেন, ‘কর্মসূচির বিষয়ে শরিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা করা হয়েছে। আরো আলোচনা করা হবে। সবার মতামতের ভিত্তিতে কর্মসূচি দেওয়া হবে।’ জিয়ার জন্মবার্ষিকীতে দুই দিনের কর্মসূচি দলের প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের ৮৮তম জন্মবার্ষিকী পালনে দুই দিনের কর্মসূচি ঘোষণা করেছে বিএনপি। গতকাল দুপুরে নয়াপল্টনের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে দলের জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবীর রিজভী এই কর্মসূচি ঘোষণা করেন। তিনি জানান, বৃহস্পতিবার (আজ) দুপুর ২টায় রমনার ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনে আলোচনাসভা করবে বিএনপি। শুক্রবার ভোরে সারা দেশে দলীয় কার্যালয়ে দলীয় পতাকা উত্তোলন ও সকাল ১১টায় শেরেবাংলানগরে জিয়াউর রহমানের সমাধিতে শ্রদ্ধা নিবেদন করা হবে। এতে দলের স্থায়ী কমিটির সদস্যরা উপস্থিত থাকবেন। SHARES রাজনীতি বিষয়: বিএনপি
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ অধিবেশনের প্রথম দিন আগামী ৩০ জানুয়ারি কর্মসূচি রাখবে বিএনপি। সেদিন হরতাল-অবরোধ, প্রতিবাদ সমাবেশ কিংবা সংসদ ভবন অভিমুখে পদযাত্রা কর্মসূচি দেওয়া হতে পারে। গত মঙ্গলবার রাতে বিএনপির স্থায়ী কমিটির ভার্চুয়াল সভায় এই সিদ্ধান্ত হয়েছে বলে একাধিক সূত্রে জানা গেছে। তবে কোনো সুনির্দিষ্ট কর্মসূচি চূড়ান্ত করা হয়নি।
যুগপৎ আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা করে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। গত ৭ জানুয়ারি দ্বাদশ জাতীয় সংসদের ভোটে কারচুপির মাধ্যমে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এসেছে বলে অভিযোগ করে আসছে বিএনপি। নির্বাচনের পর এখনো কোনো কর্মসূচি না দিলেও ধীরে ধীরে নিয়মতান্ত্রিক কর্মসূচিতে ফিরতে চায় দলটি। স্থায়ী কমিটির বৈঠকে নতুন কর্মসূচির বিষয়ে নেতাদের কেউ কেউ দ্রুত ঢাকায় সমাবেশ করার পরামর্শও দেন।
তাঁদের মতে, সমাবেশের মাধ্যমে নেতাকর্মীদের আবার একত্র হওয়ার সুযোগ তৈরি হবে। তবে দলের শীর্ষ পর্যায়ের নেতাদের মতে, নেতাকর্মীরা এখনো সবাই আদালত থেকে জামিন পাননি। ফলে সমাবেশকে কেন্দ্র করে গ্রেপ্তার অভিযান শুরু হতে পারে। তাই তাঁদের জামিন না হওয়া পর্যন্ত বড় ধরনের সমাবেশে না যাওয়াই শ্রেয়।
কারো কারো মত ছিল, সমাবেশ না দিয়ে হরতাল-অবরোধের মতো কর্মসূচি দেওয়া উচিত। সংসদ অধিবেশন শুরুর দিন অন্য কোনো কর্মসূচি দিলে তা জুতসই কর্মসূচি হবে না। বৈঠক সূত্র জানায়, বিএনপির জোরালো কর্মসূচি দেওয়ার সম্ভাবনা কম। এখন জনসম্পৃক্ত কর্মসূচির বিষয়টি বেশি গুরুত্ব দিচ্ছে। রমজান মাসকে সামনে রেখে নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির প্রতিবাদে কিছু কর্মসূচি থাকতে পারে।
কর্মসূচির বিষয়ে এরই মধ্যে যুগপত্ আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত শরিক দলগুলোর সঙ্গে এক দফা আলোচনা করেছে বিএনপি। তাদের কাছ থেকে মতামত নেওয়া হয়েছে। আজ-কালের মধ্যে আবার শরিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা করতে পারে দলটি। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক দলের একজন জ্যেষ্ঠ নেতা বলেন, স্বাভাবিক রাজনীতিতে ফেরার প্রক্রিয়া শুরু করার বিষয়ে দলের ভেতর আলোচনা শুরু হয়েছে। এরই মধ্যে গুলশানে দলীয় চেয়ারপারসনের কার্যালয় এবং নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয় খেলা হয়েছে। আত্মগোপনে থাকা নেতাকর্মীরা প্রকাশ্যে আসতে শুরু করেছেন। আদালত থেকে নেতাকর্মীরাও জামিন পেতে শুরু করেছেন। বৈঠকে আগামীকাল ১৯ জানুয়ারি দলের প্রতিষ্ঠাতা প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ৮৮তম জন্মদিন উপলক্ষে কর্মসূচি নিয়েও আলোচনা করা হয়। এ বিষয়ে নেতারা বলেন, জিয়ার জন্মদিনের কর্মসূচিই হতে পারে স্বাভাবিক রাজনৈতিক কার্যক্রম শুরুর প্রথম ধাপ। বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান বলেন, ‘কর্মসূচির বিষয়ে শরিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা করা হয়েছে। আরো আলোচনা করা হবে। সবার মতামতের ভিত্তিতে কর্মসূচি দেওয়া হবে।’ জিয়ার জন্মবার্ষিকীতে দুই দিনের কর্মসূচি দলের প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের ৮৮তম জন্মবার্ষিকী পালনে দুই দিনের কর্মসূচি ঘোষণা করেছে বিএনপি। গতকাল দুপুরে নয়াপল্টনের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে দলের জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবীর রিজভী এই কর্মসূচি ঘোষণা করেন। তিনি জানান, বৃহস্পতিবার (আজ) দুপুর ২টায় রমনার ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনে আলোচনাসভা করবে বিএনপি। শুক্রবার ভোরে সারা দেশে দলীয় কার্যালয়ে দলীয় পতাকা উত্তোলন ও সকাল ১১টায় শেরেবাংলানগরে জিয়াউর রহমানের সমাধিতে শ্রদ্ধা নিবেদন করা হবে। এতে দলের স্থায়ী কমিটির সদস্যরা উপস্থিত থাকবেন।