১ ফেব্রুয়ারি/২০২৪ ইইউ শীর্ষ সম্মেলনে ইউক্রেন সমস্যার জট ছাড়ানোর উদ্যোগ নেওয়া হবে।

প্রকাশিত: ৪:৩৬ অপরাহ্ণ, জানুয়ারি ১৮, ২০২৪

নিজস্ব প্রতিনিধি

যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপে রাজনৈতিক জটিলতার কারণে ইউক্রেনের জন্য সহায়তায় বিলম্ব ঘটায় উদ্বিগ্ন সে দেশের প্রেসিডেন্ট ভোলোদিমির জেলেনস্কি। সুইজারল্যান্ডের ডাভোসে বিশ্ব অর্থনৈতিক ফোরামে যোগ দিতে গিয়ে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, এমনটা চলতে থাকলে গোটা ইউরোপ বিশাল সংকটের মুখে পড়বে। তাঁর মতে, আন্তর্জাতিক আর্থিক সহায়তা না পেলেও ইউক্রেন লড়াই চালিয়ে যাবে। তবে সে ক্ষেত্রে রাশিয়া ইউক্রেন দখল করতে সমর্থ হবে।
সেটা ঘটলেই ন্যাটো ও রাশিয়ার মধ্যে যুদ্ধ হবে বলে জেলেনস্কি মনে করেন। সেই সঙ্গে যুদ্ধে ইউক্রেনের পরাজয়ের ফলে ইউরোপে আরো শরণার্থীর ঢল নামবে। ইউক্রেন থেকে খাদ্যশস্য ও বিদ্যুৎ সরবরাহও বন্ধ হয়ে যাবে।এমন নেতিবাচক চিত্র সত্ত্বেও ইউক্রেনের জন্য সহায়তার ক্ষেত্রে সামান্য হলেও কিছুটা আশার আলো দেখা যাচ্ছে।

মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন সংসদে দুই দলের নেতাদের সঙ্গে আলোচনা করে বাজেট নিয়ে অচলাবস্থা কাটানোর চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। তিনি রিপাবলিকান ও ডেমোক্র্যাট দলের মধ্যে রাজনৈতিক বিবাদ কাটিয়ে ঐকমত্যের আশা করেন। সেটা সম্ভব হলে ইউক্রেনের জন্য ধার্য প্রায় ছয় হাজার ১০০ কোটি ডলার অঙ্কের সহায়তাও সংসদে অনুমোদিত হবে। বিরোধী রিপাবলিকান দলের নেতারাও ইউক্রেনের নিরাপত্তা ও সার্বভৌমত্ব নিয়ে উদ্বেগের কথা স্বীকার করেছেন।
বৃহস্পতিবারই সংসদে ভোটাভুটির মাধ্যমে মার্কিন বাজেট অনুমোদন করা হতে পারে।ইউরোপীয় কমিশনের প্রেসিডেন্ট উরসুলা ফন ডের লায়েনও ডাভোসে ইউক্রেনের জন্য ধার্য সহায়তা নিয়ে জটিলতা কাটানোর বিষয়ে আশা প্রকাশ করেছেন। আগামী চার বছরের জন্য প্রায় পাঁচ হাজার কোটি ইউরো অঙ্কের সহায়তার প্রশ্নে হাঙ্গেরি ভেটো প্রয়োগ করায় বিষয়টি স্থগিত রয়েছে। ইইউ কমিশন ও ইইউ পার্লামেন্ট সেই বাধা অতিক্রম করার চেষ্টা চালাচ্ছে। হাঙ্গেরির আপত্তি সত্ত্বেও ইউরোপীয় ইউনিয়নের বাকি ২৬টি দেশ দ্বিপক্ষীয় বোঝাপড়ার মাধ্যমে সেই সহায়তার বেশির ভাগ ইউক্রেনের হাতে তুলে দিতে পারে—এমন সম্ভাবনাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
আগামী ১ ফেব্রুয়ারি ইইউ শীর্ষ সম্মেলনে এই সমস্যার জট ছাড়ানোর উদ্যোগ নেওয়া হবে।এদিকে পশ্চিমা সহায়তা হাতে পেলে ইউক্রেন কোন বিষয়টিকে অগ্রাধিকার দেবে, সে দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী দিমিত্রি কুলেবা ডাভোসে তা জানিয়ে দিয়েছেন। তাঁর মতে, রাশিয়ার হামলার তৃতীয় বছরে আকাশসীমার ওপর সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণই তাঁর সরকারের সবচেয়ে বড় লক্ষ্য। রাশিয়া থেকে লাগাতার ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন হামলা সামলাতে ইউক্রেন হিমসিম খাচ্ছে। কুলেবা বলেন, যে পক্ষ আকাশ নিয়ন্ত্রণ করবে, তার হাতেই যুদ্ধের সমাপ্তির উপায় ও সময় স্থির করার ক্ষমতা থাকবে।