এ মাসেই ঢাকাসহ সব বিভাগে সমাবেশ করতে চায় বিএনপি ক্রাইম পেট্রোল ক্রাইম পেট্রোল News প্রকাশিত: ৮:২৮ অপরাহ্ণ, জানুয়ারি ২০, ২০২৪ নিজস্ব প্রতিনিধি ঢাকাসহ সব সাংগঠনিক বিভাগে এ মাসেই সমাবেশ করতে চায় বিএনপি। আগামী ৩০ জানুয়ারি জাতীয় সংসদের অধিবেশন শুরু হওয়ার আগে বিভাগীয় পর্যায়ের সমাবেশ শেষ করতে চায় দলটি। গত বৃহস্পতিবার বিএনপির স্থায়ী কমিটির বৈঠক সূত্র ও বিভাগীয় পর্যায়ের নেতাদের সঙ্গে কথা বলে এ তথ্য জানা গেছে। বৈঠক সূত্রে জানা গেছে, সমাবেশ সমন্বয় করতে স্থায়ী কমিটির দুজন সদস্যকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। সমাবেশ সফল করতে গতকাল শুক্রবার থেকে বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক ও জেলা নেতাদের সঙ্গে বৈঠক শুরু করেছেন তাঁরা। দলীয় সূত্র জানায়, অন্য সব বিভাগ শেষ করে ঢাকায় সর্বশেষ সমাবেশ হতে পারে আগামী ২৯ জানুয়ারি। রাজশাহীতে আগামী ২৬ জানুয়ারি সমাবেশের সম্ভাব্য তারিখ জানানো হয়েছে। এ বিষয়ে জানতে চাইলে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আব্দুল মঈন খান বলেন, ‘আমরা শান্তিপূর্ণ ও নিয়মতান্ত্রিক আন্দোলন অব্যাহত রাখার সিদ্ধান্তে আছি।’ বিভাগীয় পর্যায়ের দুজন নেতা কালের কণ্ঠকে বলেন, দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি, নেতাকর্মীদের মুক্তি, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন বাতিল, সরকারের পদত্যাগসহ এক দফা দাবিতে বিভাগীয় পর্যায়ে সমাবেশ করা নিয়ে তাঁদের সঙ্গে দায়িত্বপ্রাপ্ত দুই নেতা আলোচনা করেছেন। দলীয় নির্ভরযোগ্য সূত্র জানায়, এখন পর্যন্ত সব সমাবেশের দিনক্ষণ চূড়ান্ত করা হয়নি। আজ শনিবার আবার বৈঠক হবে, সেখানে চূড়ান্ত হবে। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পর এখনো সরকারবিরোধী কোনো কর্মসূচি দেয়নি বিএনপি। গত বৃহস্পতিবার থেকে দলের প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের জন্মবার্ষিকীর কর্মসূচি পালন করছেন নেতাকর্মীরা। স্থায়ী কমিটির বৈঠক সূত্রে জানা যায়, সমাবেশ করতে সরকার অনুমতি দেবে কি না, তা নিয়ে নেতাদের মধ্যে সংশয় রয়েছে। নেতারা দেখতে চান, সমাবেশ ঘিরে সরকার কী ধরনের আচরণ করে। সরকারের আচরণ দেখে পরবর্তী কর্মসূচি ঠিক করবে বিএনপি। গত বুধবার রাতে বিএনপির পাঁচ ভাইস চেয়ারম্যান, একজন উপদেষ্টা ও বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদকদের সঙ্গে পৃথক ভার্চুয়াল বৈঠক করেন দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। বৈঠকে ভবিষ্যৎ করণীয় নিয়ে নেতাদের মতামত নেওয়া হয়। এসব বৈঠকে সব নেতাই সরকারবিরোধী এক দফার আন্দোলন অব্যাহত রাখার পরামর্শ দিলেও আপাতত হরতাল-অবরোধের কর্মসূচির বিরুদ্ধে মত দেন। একই সঙ্গে আপাতত জনসম্পৃক্ত কর্মসূচির প্রস্তাব দেন। আগামী রমজান মাস সামনে রেখে নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির প্রতিবাদে কর্মসূচি দেওয়ার পরামর্শ দেন তাঁরা। স্থায়ী কমিটির বৈঠক সূত্রে জানা যায়, ৭ জানুয়ারি নির্বাচনের পর এখন পর্যন্ত কোনো কর্মসূচি না রাখলেও ধীরে ধীরে এখন নিয়মতান্ত্রিক কর্মসূচিতে ফিরতে চায় বিএনপি। এর মধ্যে গুলশানে দলীয় চেয়ারপারসনের কার্যালয় এবং নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয় খোলা হয়েছে। আত্মগোপনে থাকা নেতাকর্মীরা প্রকাশ্যে আসতে শুরু করেছেন। আদালত থেকে নেতাকর্মীরা জামিন পেতে শুরু করেছেন। SHARES রাজনীতি বিষয়: #সমাবেশবিএনপি
ঢাকাসহ সব সাংগঠনিক বিভাগে এ মাসেই সমাবেশ করতে চায় বিএনপি। আগামী ৩০ জানুয়ারি জাতীয় সংসদের অধিবেশন শুরু হওয়ার আগে বিভাগীয় পর্যায়ের সমাবেশ শেষ করতে চায় দলটি। গত বৃহস্পতিবার বিএনপির স্থায়ী কমিটির বৈঠক সূত্র ও বিভাগীয় পর্যায়ের নেতাদের সঙ্গে কথা বলে এ তথ্য জানা গেছে। বৈঠক সূত্রে জানা গেছে, সমাবেশ সমন্বয় করতে স্থায়ী কমিটির দুজন সদস্যকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।
সমাবেশ সফল করতে গতকাল শুক্রবার থেকে বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক ও জেলা নেতাদের সঙ্গে বৈঠক শুরু করেছেন তাঁরা। দলীয় সূত্র জানায়, অন্য সব বিভাগ শেষ করে ঢাকায় সর্বশেষ সমাবেশ হতে পারে আগামী ২৯ জানুয়ারি। রাজশাহীতে আগামী ২৬ জানুয়ারি সমাবেশের সম্ভাব্য তারিখ জানানো হয়েছে। এ বিষয়ে জানতে চাইলে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আব্দুল মঈন খান বলেন, ‘আমরা শান্তিপূর্ণ ও নিয়মতান্ত্রিক আন্দোলন অব্যাহত রাখার সিদ্ধান্তে আছি।’
বিভাগীয় পর্যায়ের দুজন নেতা কালের কণ্ঠকে বলেন, দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি, নেতাকর্মীদের মুক্তি, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন বাতিল, সরকারের পদত্যাগসহ এক দফা দাবিতে বিভাগীয় পর্যায়ে সমাবেশ করা নিয়ে তাঁদের সঙ্গে দায়িত্বপ্রাপ্ত দুই নেতা আলোচনা করেছেন। দলীয় নির্ভরযোগ্য সূত্র জানায়, এখন পর্যন্ত সব সমাবেশের দিনক্ষণ চূড়ান্ত করা হয়নি। আজ শনিবার আবার বৈঠক হবে, সেখানে চূড়ান্ত হবে। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পর এখনো সরকারবিরোধী কোনো কর্মসূচি দেয়নি বিএনপি।
গত বৃহস্পতিবার থেকে দলের প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের জন্মবার্ষিকীর কর্মসূচি পালন করছেন নেতাকর্মীরা। স্থায়ী কমিটির বৈঠক সূত্রে জানা যায়, সমাবেশ করতে সরকার অনুমতি দেবে কি না, তা নিয়ে নেতাদের মধ্যে সংশয় রয়েছে। নেতারা দেখতে চান, সমাবেশ ঘিরে সরকার কী ধরনের আচরণ করে। সরকারের আচরণ দেখে পরবর্তী কর্মসূচি ঠিক করবে বিএনপি। গত বুধবার রাতে বিএনপির পাঁচ ভাইস চেয়ারম্যান, একজন উপদেষ্টা ও বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদকদের সঙ্গে পৃথক ভার্চুয়াল বৈঠক করেন দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।
বৈঠকে ভবিষ্যৎ করণীয় নিয়ে নেতাদের মতামত নেওয়া হয়। এসব বৈঠকে সব নেতাই সরকারবিরোধী এক দফার আন্দোলন অব্যাহত রাখার পরামর্শ দিলেও আপাতত হরতাল-অবরোধের কর্মসূচির বিরুদ্ধে মত দেন। একই সঙ্গে আপাতত জনসম্পৃক্ত কর্মসূচির প্রস্তাব দেন। আগামী রমজান মাস সামনে রেখে নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির প্রতিবাদে কর্মসূচি দেওয়ার পরামর্শ দেন তাঁরা। স্থায়ী কমিটির বৈঠক সূত্রে জানা যায়, ৭ জানুয়ারি নির্বাচনের পর এখন পর্যন্ত কোনো কর্মসূচি না রাখলেও ধীরে ধীরে এখন নিয়মতান্ত্রিক কর্মসূচিতে ফিরতে চায় বিএনপি। এর মধ্যে গুলশানে দলীয় চেয়ারপারসনের কার্যালয় এবং নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয় খোলা হয়েছে। আত্মগোপনে থাকা নেতাকর্মীরা প্রকাশ্যে আসতে শুরু করেছেন। আদালত থেকে নেতাকর্মীরা জামিন পেতে শুরু করেছেন।