নিত্যপণ্যের দাম নিয়ন্ত্রণে আসছে স্মার্ট বাজার ব্যবস্থাপনা ক্রাইম পেট্রোল ক্রাইম পেট্রোল News প্রকাশিত: ১২:১৮ পূর্বাহ্ণ, জানুয়ারি ২২, ২০২৪ জুনাইদ আহমেদ পলক। ছবি: সংগৃহীত নিজস্ব প্রতিবেদক। নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দাম, মজুদ ও সরবরাহের নানা তথ্য নিয়ে তৈরি হচ্ছে দেশের প্রথম ওয়েবসাইট। এর ফলে বাজার ব্যবস্থা সহজেই তদারকি করা সম্ভব হবে বলে জানিয়েছেন ডাক, টেলিযোগাযোগ এবং তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক। সম্প্রতি সচিবালয়ে ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয়ে অনুষ্ঠিত এক মতবিনিময় সভায় তিনি এ ঘোষণা দেন। এ সময় সংশ্লিষ্টরা বলেন, স্মার্ট বাজার ব্যবস্থা তৈরি করা না গেলে জিনিসপত্রের দাম কোনোভাবেই নিয়ন্ত্রণে আসবে না। সভায় প্রতিমন্ত্রী জানান, বাজার ব্যবস্থাপনা এবং দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে স্মার্ট সমাধান দেওয়ার লক্ষ্যে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে কাজ শুরু করেছে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগ। এ জন্য বাজার নজরদারিতে ভোক্তাবান্ধব হটলাইন ‘৩৩৩’ ও পণ্যের উৎপাদন, মজুদ ও বিপণন তথ্যনির্ভর একটি ওয়েবসাইট তৈরি হচ্ছে। ৩১ জানুয়ারির মধ্যে এই সেবা পাওয়া যাবে বলে আশা করেন জুনাইদ আহমেদ পলক। প্রতিমন্ত্রী আরো জানান, পণ্যের উৎপাদন, মজুদ, আমদানি ও বিপণনের তথ্য বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের একটি কেন্দ্রীয় তথ্য ভান্ডারে সংরক্ষিত থাকবে, যেটার ড্যাশবোর্ড থাকবে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে। যেখান থেকে তিনি সরাসরি দেশের যেকোনো প্রান্তের দ্রব্যমূল্য পর্যবেক্ষণ করতে পারবেন। এ সময় সংশ্লিষ্টরা জানান, ডলার সংকটের কারণে এলসি জটিলতায় বাজারে নিত্যপণ্যের সংকট আছে। অনেক সময় উৎপাদনের ঘাটতি, পণ্যের সহজলভ্যতা নেই-এমন নানা কারণে জিনিসপত্রের দাম বেড়ে যায়। এতে বাজারে গিয়ে নাভিশ্বাস ওঠে সাধারণ মানুষের। এই অবস্থা থেকে মুক্তির উপায় হচ্ছে প্রকৃত তথ্যভিত্তিক বাজার ব্যবস্থাপনা এবং আইনের কার্যকর প্রয়োগ। সভায় প্রতিমন্ত্রী জানান, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগ আগামী দুই সপ্তাহের মধ্যে একটি ওয়েবসাইট তৈরি করবে। ফলে একজন সাধারণ ক্রেতা বাজারে গিয়ে কোনো পণ্যের দাম অস্বাভাবিক মনে করলে ৩৩৩-তে ফোন দেবে। তখন সংশ্লিষ্ট বিভাগ থেকে ওই দোকানের নাম, ঠিকানা জেনে সেখানে অভিযান চালিয়ে পণ্যের দাম যাচাই-বাছাই করবে। যাচাই করে যদি বেশি দাম নেওয়ার সত্যতা মেলে তাহলে ওই দোকানদার বা ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এ ব্যাপারে ভোক্তা সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সহযোগিতা নেওয়া হবে। এ সময় দেশের সবচেয়ে বড় ‘বিটুবি কমার্স’ কম্পানি শপআপের চিফ অফ স্টাফ মো. জিয়াউল হক ভূঁইয়া বলেন, তথ্য ও প্রযুক্তির মাধ্যমে বাজার ব্যবস্থাপনা নিয়ন্ত্রণ করা সময়ের দাবি। বাজার নিয়ন্ত্রণে দরকার সঠিক তথ্য ও উপাত্ত, যার মাধ্যমে দেশের খাদ্যের উৎপাদন, আমদানি, বিতরণ এবং বিপণনের সঠিক পরিকল্পনা করা সম্ভব। দেশের অন্যতম প্রযুক্তিবান্ধব প্রতিষ্ঠান হিসেবে শপআপ দরকারি সব তথ্য দিয়ে সরকারের এই মহৎ উদ্যোগে সহযোগিতা করতে বদ্ধ পরিকর। সভায় উপস্থিত ছিলেন সিটি, বসুন্ধরা গ্রুপ, এস আলম, মেঘনা গ্রুপ, প্রাণ, স্বপ্ন, আগোরাসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের শীর্ষ কর্মকর্তা, বাংলাদেশ দোকান মালিক সমিতিসহ বিভিন্ন ব্যবসায়ী সমিতির নেতারা উপস্থিত ছিলেন। SHARES অর্থনৈতিক বিষয়: নিত্যপণ্যের দাম নিয়ন্ত্রণস্মার্ট বাজার ব্যবস্থাপন
নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দাম, মজুদ ও সরবরাহের নানা তথ্য নিয়ে তৈরি হচ্ছে দেশের প্রথম ওয়েবসাইট। এর ফলে বাজার ব্যবস্থা সহজেই তদারকি করা সম্ভব হবে বলে জানিয়েছেন ডাক, টেলিযোগাযোগ এবং তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক। সম্প্রতি সচিবালয়ে ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয়ে অনুষ্ঠিত এক মতবিনিময় সভায় তিনি এ ঘোষণা দেন। এ সময় সংশ্লিষ্টরা বলেন, স্মার্ট বাজার ব্যবস্থা তৈরি করা না গেলে জিনিসপত্রের দাম কোনোভাবেই নিয়ন্ত্রণে আসবে না।
সভায় প্রতিমন্ত্রী জানান, বাজার ব্যবস্থাপনা এবং দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে স্মার্ট সমাধান দেওয়ার লক্ষ্যে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে কাজ শুরু করেছে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগ। এ জন্য বাজার নজরদারিতে ভোক্তাবান্ধব হটলাইন ‘৩৩৩’ ও পণ্যের উৎপাদন, মজুদ ও বিপণন তথ্যনির্ভর একটি ওয়েবসাইট তৈরি হচ্ছে। ৩১ জানুয়ারির মধ্যে এই সেবা পাওয়া যাবে বলে আশা করেন জুনাইদ আহমেদ পলক। প্রতিমন্ত্রী আরো জানান, পণ্যের উৎপাদন, মজুদ, আমদানি ও বিপণনের তথ্য বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের একটি কেন্দ্রীয় তথ্য ভান্ডারে সংরক্ষিত থাকবে, যেটার ড্যাশবোর্ড থাকবে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে।
যেখান থেকে তিনি সরাসরি দেশের যেকোনো প্রান্তের দ্রব্যমূল্য পর্যবেক্ষণ করতে পারবেন। এ সময় সংশ্লিষ্টরা জানান, ডলার সংকটের কারণে এলসি জটিলতায় বাজারে নিত্যপণ্যের সংকট আছে। অনেক সময় উৎপাদনের ঘাটতি, পণ্যের সহজলভ্যতা নেই-এমন নানা কারণে জিনিসপত্রের দাম বেড়ে যায়। এতে বাজারে গিয়ে নাভিশ্বাস ওঠে সাধারণ মানুষের।
এই অবস্থা থেকে মুক্তির উপায় হচ্ছে প্রকৃত তথ্যভিত্তিক বাজার ব্যবস্থাপনা এবং আইনের কার্যকর প্রয়োগ। সভায় প্রতিমন্ত্রী জানান, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগ আগামী দুই সপ্তাহের মধ্যে একটি ওয়েবসাইট তৈরি করবে। ফলে একজন সাধারণ ক্রেতা বাজারে গিয়ে কোনো পণ্যের দাম অস্বাভাবিক মনে করলে ৩৩৩-তে ফোন দেবে। তখন সংশ্লিষ্ট বিভাগ থেকে ওই দোকানের নাম, ঠিকানা জেনে সেখানে অভিযান চালিয়ে পণ্যের দাম যাচাই-বাছাই করবে। যাচাই করে যদি বেশি দাম নেওয়ার সত্যতা মেলে তাহলে ওই দোকানদার বা ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এ ব্যাপারে ভোক্তা সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সহযোগিতা নেওয়া হবে। এ সময় দেশের সবচেয়ে বড় ‘বিটুবি কমার্স’ কম্পানি শপআপের চিফ অফ স্টাফ মো. জিয়াউল হক ভূঁইয়া বলেন, তথ্য ও প্রযুক্তির মাধ্যমে বাজার ব্যবস্থাপনা নিয়ন্ত্রণ করা সময়ের দাবি। বাজার নিয়ন্ত্রণে দরকার সঠিক তথ্য ও উপাত্ত, যার মাধ্যমে দেশের খাদ্যের উৎপাদন, আমদানি, বিতরণ এবং বিপণনের সঠিক পরিকল্পনা করা সম্ভব। দেশের অন্যতম প্রযুক্তিবান্ধব প্রতিষ্ঠান হিসেবে শপআপ দরকারি সব তথ্য দিয়ে সরকারের এই মহৎ উদ্যোগে সহযোগিতা করতে বদ্ধ পরিকর। সভায় উপস্থিত ছিলেন সিটি, বসুন্ধরা গ্রুপ, এস আলম, মেঘনা গ্রুপ, প্রাণ, স্বপ্ন, আগোরাসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের শীর্ষ কর্মকর্তা, বাংলাদেশ দোকান মালিক সমিতিসহ বিভিন্ন ব্যবসায়ী সমিতির নেতারা উপস্থিত ছিলেন।