২০০ কোটির প্রতারণা মামলায় ফেঁসেই যাচ্ছেন জ্যাকলিন! ক্রাইম পেট্রোল ক্রাইম পেট্রোল News প্রকাশিত: ১১:২৮ অপরাহ্ণ, জানুয়ারি ৩১, ২০২৪ জ্যাকলিন ফার্নান্দেজ নিজস্ব প্রতিবেদক। ২০০ কোটি টাকার আর্থিক প্রতারণার মামলায় তবে কি ফেঁসে যাচ্ছেন বলিউড অভিনেত্রী জ্যাকলিন ফার্নান্দেজ! দীর্ঘদিন ধরেই আলোচিত মামলাটির কারণে আদালত চত্বরে ঘুরপাক খাচ্ছেন অভিনেত্রী। এবার প্রকাশ্যে এলো নতুন তথ্য। এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি) দিল্লি হাইকোর্টের সামনে যুক্তি দিয়েছে যে, ২০০ কোটি টাকার প্রতারণার মামলায় অভিযুক্ত বলিউড অভিনেত্রী জ্যাকলিন ফার্নান্দেজ, জেনেশুনে প্রতারণায় সামিল হয়েছেন অভিযুক্ত প্রতারক সুকেশ চন্দ্রশেখরের সঙ্গে। সুকেশের সঙ্গে তাঁকে জড়িয়ে জারি হওয়া এফআইআরটি বাতিলের দাবি জানিয়ে আদালতে গিয়েছিলেন জ্যাকলিন। মামলাটি বিচারপতি মনোজ কুমার ওহরির সামনে উঠেছিল। আপাতত অভিনেত্রীর আইনজীবী ইডি’র হলফনামার জবাব দেওয়ার জন্য সময় চেয়েছেন। আদালতে ইডি জানায়, ‘জ্যাকলিন ফার্নান্দেজ কখনোই সুকেশ চন্দ্রশেখরের সঙ্গে হওয়া আর্থিক লেনদেনের সত্যতা প্রকাশ করেননি এবং সর্বদা তথ্য গোপন করেছেন। তিনি আজ পর্যন্ত সত্যকে সামনে আসতে দেননি। এটিও একটি সত্য যে জ্যাকলিন ফার্নান্দেজ সুকেশ চন্দ্রশেখরকে গ্রেপ্তার করার পরে নিজের মোবাইল থেকে সম্পূর্ণ ডেটা মুছে ফেলেছিলেন। যা প্রমাণ নষ্ট করা। তিনি তাঁর সহকর্মীদের নির্দেশ দিয়েছিলেন প্রমাণ নষ্ট করার।’ প্রতারক সুকেশের সঙ্গে জ্যাকলিন হলফনামায় এই কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা আরও জানিয়েছে যে, অভিনেত্রী সুকেশের থেকে ৫ কোটি ৭১ লক্ষ ১১ হাজার ৯৪২ টাকার শুধু উপহারই নেননি, সঙ্গে দুটি বিদেশি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট যা তাঁর ভাই ও বোনের নামে, সেখানেও ১,৭২,৯১৩ আমেরিকান ডলার, ও ২৬,৭৪০ অস্ট্রেলিয়ান ডলার স্থানান্তর করার জন্য অনুরোধ করেছিলেন। হলফনামায় বলা হয়েছে, ‘অভিনেত্রী ইচ্ছাকৃতভাবে তাঁর বক্তব্য রেকর্ড করার সময় নিজে থেকে ভুল তথ্য পেশ করে আসছিলেন। যাতে তদন্তকে বিভ্রান্ত করা যায়। তিনি প্রাথমিকভাবে অভিযুক্ত সুকেশ চন্দ্রশেখরের প্রকৃত নাম জানেন সেকথা অস্বীকার করেছিলেন। যা পরবর্তীতে প্রমাণ পেশ করে প্রমাণিত করা হয় যে তিনি মিথ্য বলছেন।’ আদালত ইডি’র আনা এই হলফনামার জবাব দেওয়ার সময় দিয়েছে জ্যাকলিনকে। মামলার পরবর্তী শুনানি রাখা হয়েছে ১৫ এপ্রিল। ২০০ কোটির আলোচিত মামলার শুরু থেকেই নাম জড়িয়ে জ্যাকলিনের। তবে বরাবরই কনম্যান সুকেশের সঙ্গে সম্পর্ক অস্বীকার করে আসছেন অভিনেত্রী। অভিনেত্রীর দাবি, ভুয়া পরিচয়ে তাঁর সঙ্গে আলাপ জমিয়েছিল এই প্রতারক। তবে অভিনেত্রীর দাবি মানেনি ইডি। তাঁর নামে চলছে মামলা, দায়ের হয়েছে এফআইআর। এমনকী দেশ ছাড়ার অনুমতিও নেই অভিনেত্রীর। এদিকে আলোচিত এই মামলার কারণে বলিউডের একাধিক কাজ হারাচ্ছেন জ্যাকলিন। অনেক প্রযোজক-পরিচালক নাকি কাজ করতে রাজি হচ্ছেন না তাঁর সঙ্গে, এমনটাই জানিয়েছেন অভিনেত্রী। SHARES বিনোদন বিষয়: আর্থিক প্রতারণাকনম্যান সুকেশজ্যাকলিন ফার্নান্দেজ
২০০ কোটি টাকার আর্থিক প্রতারণার মামলায় তবে কি ফেঁসে যাচ্ছেন বলিউড অভিনেত্রী জ্যাকলিন ফার্নান্দেজ! দীর্ঘদিন ধরেই আলোচিত মামলাটির কারণে আদালত চত্বরে ঘুরপাক খাচ্ছেন অভিনেত্রী। এবার প্রকাশ্যে এলো নতুন তথ্য। এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি) দিল্লি হাইকোর্টের সামনে যুক্তি দিয়েছে যে, ২০০ কোটি টাকার প্রতারণার মামলায় অভিযুক্ত বলিউড অভিনেত্রী জ্যাকলিন ফার্নান্দেজ, জেনেশুনে প্রতারণায় সামিল হয়েছেন অভিযুক্ত প্রতারক সুকেশ চন্দ্রশেখরের সঙ্গে। সুকেশের সঙ্গে তাঁকে জড়িয়ে জারি হওয়া এফআইআরটি বাতিলের দাবি জানিয়ে আদালতে গিয়েছিলেন জ্যাকলিন।
মামলাটি বিচারপতি মনোজ কুমার ওহরির সামনে উঠেছিল। আপাতত অভিনেত্রীর আইনজীবী ইডি’র হলফনামার জবাব দেওয়ার জন্য সময় চেয়েছেন। আদালতে ইডি জানায়, ‘জ্যাকলিন ফার্নান্দেজ কখনোই সুকেশ চন্দ্রশেখরের সঙ্গে হওয়া আর্থিক লেনদেনের সত্যতা প্রকাশ করেননি এবং সর্বদা তথ্য গোপন করেছেন। তিনি আজ পর্যন্ত সত্যকে সামনে আসতে দেননি।
এটিও একটি সত্য যে জ্যাকলিন ফার্নান্দেজ সুকেশ চন্দ্রশেখরকে গ্রেপ্তার করার পরে নিজের মোবাইল থেকে সম্পূর্ণ ডেটা মুছে ফেলেছিলেন। যা প্রমাণ নষ্ট করা। তিনি তাঁর সহকর্মীদের নির্দেশ দিয়েছিলেন প্রমাণ নষ্ট করার।’ প্রতারক সুকেশের সঙ্গে জ্যাকলিন হলফনামায় এই কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা আরও জানিয়েছে যে, অভিনেত্রী সুকেশের থেকে ৫ কোটি ৭১ লক্ষ ১১ হাজার ৯৪২ টাকার শুধু উপহারই নেননি, সঙ্গে দুটি বিদেশি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট যা তাঁর ভাই ও বোনের নামে, সেখানেও ১,৭২,৯১৩ আমেরিকান ডলার, ও ২৬,৭৪০ অস্ট্রেলিয়ান ডলার স্থানান্তর করার জন্য অনুরোধ করেছিলেন।
হলফনামায় বলা হয়েছে, ‘অভিনেত্রী ইচ্ছাকৃতভাবে তাঁর বক্তব্য রেকর্ড করার সময় নিজে থেকে ভুল তথ্য পেশ করে আসছিলেন। যাতে তদন্তকে বিভ্রান্ত করা যায়। তিনি প্রাথমিকভাবে অভিযুক্ত সুকেশ চন্দ্রশেখরের প্রকৃত নাম জানেন সেকথা অস্বীকার করেছিলেন। যা পরবর্তীতে প্রমাণ পেশ করে প্রমাণিত করা হয় যে তিনি মিথ্য বলছেন।’ আদালত ইডি’র আনা এই হলফনামার জবাব দেওয়ার সময় দিয়েছে জ্যাকলিনকে।
মামলার পরবর্তী শুনানি রাখা হয়েছে ১৫ এপ্রিল। ২০০ কোটির আলোচিত মামলার শুরু থেকেই নাম জড়িয়ে জ্যাকলিনের। তবে বরাবরই কনম্যান সুকেশের সঙ্গে সম্পর্ক অস্বীকার করে আসছেন অভিনেত্রী। অভিনেত্রীর দাবি, ভুয়া পরিচয়ে তাঁর সঙ্গে আলাপ জমিয়েছিল এই প্রতারক। তবে অভিনেত্রীর দাবি মানেনি ইডি। তাঁর নামে চলছে মামলা, দায়ের হয়েছে এফআইআর। এমনকী দেশ ছাড়ার অনুমতিও নেই অভিনেত্রীর। এদিকে আলোচিত এই মামলার কারণে বলিউডের একাধিক কাজ হারাচ্ছেন জ্যাকলিন। অনেক প্রযোজক-পরিচালক নাকি কাজ করতে রাজি হচ্ছেন না তাঁর সঙ্গে, এমনটাই জানিয়েছেন অভিনেত্রী।