কেটের সুস্থতা কামনা করলেন প্রিন্স হ্যারি ও মেগান

প্রকাশিত: ১:৩৪ অপরাহ্ণ, মার্চ ২৩, ২০২৪

নিজস্ব প্রতিনিধি

কেটের সুস্থতা কামনা করেছেন প্রিন্স হ্যারি এবং মেগান। যুক্তরাজ্যের হবু রাজা প্রিন্স উইলিয়ামের স্ত্রী প্রিন্সেস অব ওয়েলস ক্যাথেরিনের ক্যান্সার শনাক্ত হয়েছে। তিনি চিকিৎসার প্রাথমিক পর্যায়ে আছেন বলে এক ভিডিও বার্তায় জানিয়েছেন। এ খবর জানার পর কেটের সুস্থতা কামনা করেছেন হ্যারি ও মেগান।

 

এক বিবৃতিতে হ্যারি এবং মেগান বলেন, ‘আমরা কেট এবং তার পরিবারের সুস্থতা কামনা করছি। আশা করছি কেট ব্যক্তিগত গোপনীয়তা রক্ষা করে এবং শান্তিতে ক্যান্সারের মোকাবিলা করতে সক্ষম হবেন।’

জানুয়ারিতে কেট পেটের অস্ত্রোপচারের জন্য হাসপাতালে ভর্তি হন। এরপর থেকেই তার অবস্থান এবং স্বাস্থ্য সম্পর্কে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে কয়েক সপ্তাহ ধরে জল্পনা-কল্পনা চলছিল।

গতকাল শুক্রবার ওই ভিডিও বার্তায় ক্যাথেরিন জানান, লন্ডনে গত জানুয়ারিতে তাঁর পেটে বড় ধরনের অস্ত্রোপচার হয়। এটি সফল হলেও পরে পরীক্ষায় ক্যান্সার ধরা পড়ে। 

এরপর অবিশ্বাস্য রকমের কঠিন সময় পার করতে হয় তাঁকে। এটি ছিল তাঁর জন্য বড় ধরনের একটি ধাক্কা।

তবে তিনি ইতিবাচক বার্তাও দিয়েছেন। বলেছেন, ‘আমি ভালো আছি এবং প্রতিদিন আগের চেয়ে শক্তি ফিরে পাচ্ছি।’ কেনসিংটন প্রাসাদ থেকে বলা হয়েছে, প্রিন্সেস যে পুরোপুরি সেরে উঠবেন, এ ব্যাপারে আস্থা রয়েছে। এর আগে প্রিন্সেস ক্যাথেরিনের শ্বশুর ব্রিটেনের রাজা প্রিন্স চার্লসের ক্যান্সার ধরা পড়ে। 

বড়দিনের পর থেকে ৪২ বছর বয়সী রাজকুমারী কেটকে প্রকাশ্যে দেখা যায়নি।

তবে এই সপ্তাহে তার স্বামী, সিংহাসনের উত্তরাধিকারী প্রিন্স উইলিয়ামের সঙ্গে তাদের উইন্ডসরের বাড়ির কাছে একটি খামারের দোকান থেকে হেঁটে যাওয়ার ভিডিও প্রকাশ হয়। 

ব্রিটিশ রাজবধূ প্রিন্সেস অব ওয়েলস কেট মিডলটনের অবস্থা সম্পর্কে কেনসিংটন প্যালেস প্রথমে বিস্তারিত তেমন কিছুই জানায়নি। তারা বলেছিল যে তার অসুস্থতা ক্যান্সারের সঙ্গে সম্পর্কিত নয়, অস্ত্রোপচার সফল হয়েছে এবং সেরে উঠার সময়ে এপ্রিল পর্যন্ত তিনি সরকারি দায়িত্ব থেকে দূরে থাকবেন। তবে রাজবধুর ক্যান্সারের খবরটি রাজপরিবারের জন্য আরেকটি ধাক্কা। কারণ গত মাসে জানা গিয়েছিল-রাজা তৃতীয় চার্লসকে একটি অনির্দিষ্ট ধরণের ক্যান্সারের জন্য চিকিৎসা করানো হচ্ছে। এটি বর্ধিত প্রোস্টেটের চিকিৎসা চলাকালীন ধরা পড়ে।

৭৫ বছর বয়সী রাজা চার্লস ক্যান্সারের চিকিৎসার সময় সকল প্রকাশ্য ও নিয়মিত দায়িত্ব পালন থেকে বিরত থেকেছেন। অবশ্য, তাকে প্রায়ই সরকারি কর্মকর্তা এবং বিশিষ্ট ব্যক্তিদের সাথে সভা করতে দেখা গেছে, এমনকি গির্জায় যেতেও দেখা গেছে।

সূত্র: রয়টার্স, বিবিসি