সীমান্তে দুই বাংলাদেশি হতাহতের ঘটনায় ফখরুলের প্রতিবাদ ক্রাইম পেট্রোল ক্রাইম পেট্রোল News প্রকাশিত: ৬:১০ অপরাহ্ণ, মার্চ ২৭, ২০২৪ নিজস্ব প্রতিনিধি নওগাঁর পোরশা ও লালমনিরহাটের আদিতমারী সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে দুই বাংলাদেশি হতাহতের ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। বুধবার গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে এ প্রতিবাদ জানান ফখরুল। বিবৃতিতে বিএনপির মহাসচিব বলেন, মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবসের দিনেও সীমান্তে পৈশাচিকভাবে একজনকে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে আর একজনকে গুলি করে তুলে নিয়ে গেছে বিএসএফ। এ ঘটনায় আবারও প্রমাণিত হয়েছে, বাংলাদেশের নাগরিকদের কোনো নিরাপত্তা নেই। স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব এখন চরম সংকটে। মহান স্বাধীনতা দিবসের দিনে এ ধরনের প্রাণবিনাশি রক্তাক্ত ঘটনা হৃদয়বিদারক ও আত্মমর্যাদাকে ক্ষুণ্ণ করে। সীমান্তে এক বাংলাদেশিকে গুলি করে হত্যা ও আর একজনকে গুলি করে ধরে নিয়ে যাওয়ার পরও ডামি সরকার ও তাদের মন্ত্রীরা এখনো নিশ্চুপ। তিনি আরো বলেন, প্রতিবাদ বা কোনো পদক্ষেপ নেওয়া দূরে থাক, ‘টুঁ’ শব্দটি পর্যন্ত তারা করেনি বরং মন্ত্রীরা নির্বিকারভাবে এসব রক্তাক্ত ঘটনা মেনে নিচ্ছে। ডামি সরকারের নতজানু নীতির কারণে বাংলাদেশি নাগরিকদের জীবন নিরাপত্তাহীন। ক্ষমতার জন্য এরা দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব দুর্বল করতেও দ্বিধা করে না। শুধু সীমান্তে পাখির মতো মানুষকে গুলি করে হত্যা নয়, বাংলাদেশের অভ্যন্তরে ঢুকে লুটপাট, হামলা, ভাঙচুর, এমনকি ধর্ষণের ঘটনা ঘটলেও কোনো প্রতিবাদ করে না শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন তাঁবেদার সরকার। বিবৃতিতে বলা হয়, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ক্ষমতা ধরে রাখার জন্য দেশকে জিম্মি করে ফেলেছেন। তারা ক্ষমতা ধরে রাখতে সব কিছু উজাড় করে দিলেও দেশের মানুষ এক বিন্দুও ছাড় দেবে না। তাই দল-মত-নির্বিশেষে সবাইকে সীমান্তে বাংলাদেশি হত্যার বিরুদ্ধে সোচ্চার হতে হবে। একমাত্র অবাধ, সুষ্ঠু নির্বাচনে জনগণের ভোটে নির্বাচিত সরকারই দেশের মানুষের নিরাপত্তা ও সার্বভৌমত্ব নিশ্চিত করতে পারে। উল্লেখ্য, মঙ্গলবার ভোরে নওগাঁর পোরশা উপজেলার সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে আল আমিন নামে এক বাংলাদেশি নিহত হন। এ ছাড়া লালমনিরহাটের আদিতমারী উপজেলার দুর্গাপুর সীমান্তে গুলি করার পর লিটন মিয়া নামে (১৯) এক বাংলাদেশি যুবককে ধরে নিয়ে যায় বিএসএফ। SHARES রাজনীতি বিষয়: #ফখরুল
নওগাঁর পোরশা ও লালমনিরহাটের আদিতমারী সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে দুই বাংলাদেশি হতাহতের ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। বুধবার গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে এ প্রতিবাদ জানান ফখরুল। বিবৃতিতে বিএনপির মহাসচিব বলেন, মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবসের দিনেও সীমান্তে পৈশাচিকভাবে একজনকে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে আর একজনকে গুলি করে তুলে নিয়ে গেছে বিএসএফ। এ ঘটনায় আবারও প্রমাণিত হয়েছে, বাংলাদেশের নাগরিকদের কোনো নিরাপত্তা নেই।
স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব এখন চরম সংকটে। মহান স্বাধীনতা দিবসের দিনে এ ধরনের প্রাণবিনাশি রক্তাক্ত ঘটনা হৃদয়বিদারক ও আত্মমর্যাদাকে ক্ষুণ্ণ করে। সীমান্তে এক বাংলাদেশিকে গুলি করে হত্যা ও আর একজনকে গুলি করে ধরে নিয়ে যাওয়ার পরও ডামি সরকার ও তাদের মন্ত্রীরা এখনো নিশ্চুপ। তিনি আরো বলেন, প্রতিবাদ বা কোনো পদক্ষেপ নেওয়া দূরে থাক, ‘টুঁ’ শব্দটি পর্যন্ত তারা করেনি বরং মন্ত্রীরা নির্বিকারভাবে এসব রক্তাক্ত ঘটনা মেনে নিচ্ছে।
ডামি সরকারের নতজানু নীতির কারণে বাংলাদেশি নাগরিকদের জীবন নিরাপত্তাহীন। ক্ষমতার জন্য এরা দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব দুর্বল করতেও দ্বিধা করে না। শুধু সীমান্তে পাখির মতো মানুষকে গুলি করে হত্যা নয়, বাংলাদেশের অভ্যন্তরে ঢুকে লুটপাট, হামলা, ভাঙচুর, এমনকি ধর্ষণের ঘটনা ঘটলেও কোনো প্রতিবাদ করে না শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন তাঁবেদার সরকার। বিবৃতিতে বলা হয়, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ক্ষমতা ধরে রাখার জন্য দেশকে জিম্মি করে ফেলেছেন।
তারা ক্ষমতা ধরে রাখতে সব কিছু উজাড় করে দিলেও দেশের মানুষ এক বিন্দুও ছাড় দেবে না। তাই দল-মত-নির্বিশেষে সবাইকে সীমান্তে বাংলাদেশি হত্যার বিরুদ্ধে সোচ্চার হতে হবে। একমাত্র অবাধ, সুষ্ঠু নির্বাচনে জনগণের ভোটে নির্বাচিত সরকারই দেশের মানুষের নিরাপত্তা ও সার্বভৌমত্ব নিশ্চিত করতে পারে। উল্লেখ্য, মঙ্গলবার ভোরে নওগাঁর পোরশা উপজেলার সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে আল আমিন নামে এক বাংলাদেশি নিহত হন। এ ছাড়া লালমনিরহাটের আদিতমারী উপজেলার দুর্গাপুর সীমান্তে গুলি করার পর লিটন মিয়া নামে (১৯) এক বাংলাদেশি যুবককে ধরে নিয়ে যায় বিএসএফ।