কারাগারে মারা গেলেন ভারতের গ্যাংস্টার রাজনীতিবিদ মুখতার ক্রাইম পেট্রোল ক্রাইম পেট্রোল News প্রকাশিত: ৬:০৮ অপরাহ্ণ, মার্চ ২৯, ২০২৪ নিজস্ব প্রতিনিধি ভারতে গ্যাংস্টার থেকে রাজনীতিবিদ হয়ে ওঠা মুখতার আনসারি উত্তরপ্রদেশের বান্দা কারাগারে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন। গতকাল বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) স্থানীয় সময় রাত পৌনে ৯টায় কারাগারে অজ্ঞান হয়ে পড়লে তাকে উত্তরপ্রদেশের রানি দুর্গাবতী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। মুখতারের মৃত্যুর পর হাসপাতালের বাইরে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। আইন-শৃঙ্খলা বজায় রাখতে রাজ্যজুড়ে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়। পূর্ব উত্তর প্রদেশের বান্দা, মাউ, গাজিপুর এবং বারানসি জেলায়ও বিশেষ বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে। পরিবারের অভিযোগ, কারাগারে খাবারের সঙ্গে বিষ প্রয়োগ করে তাকে মেরে ফেলা হয়েছে। ভারতীয় গণমাধ্যমে বলা হয়, জেলে থাকা অবস্থায় তার স্বাস্থ্যের অবনতি হয়। পরে তাকে গাজিপুরের বান্দা মেডিক্যাল কলেজে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানেই মৃত্যু হয় তার। গত মঙ্গলবারও পেটের যন্ত্রণায় তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল। খবরে আরো বলা হয়, ইফতারের পরই মুখতারের স্বাস্থ্যের অবনতি হয়। পেটের ব্যথা নিয়ে প্রায় ১৪ ঘণ্টা হাসপাতালে ভর্তি থাকার পর সেখানেই হৃদরোগে তার মৃত্যু হয়। মুখতারের ভাই গাজিপুরের সংসদ সদস্য আফজল আনসারি অভিযোগ তুলে বলেন, তার ভাইকে জেলের মধ্যেই বিষ প্রয়োগ করে মেরে ফেলা হয়েছে। মুখতার আনসারির ভাই আফজাল আনসারি পিটিআইকে বলেন, গত ১৯ মার্চ কারাগারে খাবারের সঙ্গে আমার ভাইকে বিষ দেওয়া হয়েছিল। এ কারণে তার শারীরিক অবস্থা খারাপ ছিল। এর ৪০ দিন আগেও তাকে বিষ দেওয়া হয়েছিল। আমার ভাই এসব জানিয়েছিলেন। মুখতারের ছেলে ওমর এ বিষয়ে আদালতে যাবেন বলে জানান। তিনি বলেন, গত ১৯ মার্চ বাবাকে রাতের খাবারের সঙ্গে বিষ দেওয়া হয়েছিল। আমরা বিচার বিভাগের কাছে যাব। ন্যায়বিচার পাব বলে আমাদের পূর্ণ আস্থা আছে। কারা বিভাগ জানিয়েছে, মুখতার রোজা রেখেছিলেন। এ কারণে তার স্বাস্থ্যের অবনতি হয়েছিল এবং তিনি ওয়াশরুমে পড়েছিলেন। আজ শুক্রবার বান্দা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ময়নাতদন্ত করা হবে। ৬০ বছর বয়সী মুখতার উত্তরপ্রদেশের মৌ জেলার বিধানসভার পাঁচবারের সাবেক বিধায়ক ছিলেন। অবশ্য তার বিরুদ্ধে ১৫টি খুনের অভিযোগ এবং ৬১টি ফৌজদারি মামলা ছিল। ১৯৮০-এর দশকে একটি গ্যাংয়ে যোগ দিয়ে পরে ১৯৯০-এর দশকে নিজেই দল গঠন করেন। তার দলটি উত্তর প্রদেশের বিভিন্ন জেলায় চাঁদাবাজি ও অপহরণে জড়িত ছিল। ২০০৫ সাল থেকে তিনি পাঞ্জাব ও উত্তরপ্রদেশের কারাগারে ছিলেন। ২০২২ সালের সেপ্টেম্বর থেকে উত্তরপ্রদেশের বিভিন্ন আদালতে আটটি মামলায় সাজাপ্রাপ্ত হয়ে তিনি কারাবন্দি ছিলেন। উত্তরপ্রদেশ পুলিশ গত বছর যে ৬৬ জন গ্যাংস্টারের তালিকা প্রকাশ করেছিল তাতেও নাম ছিল মুখতারের। সম্প্রতি ৩৬ বছর পুরনো এক মামলায় দোষী সাব্যস্ত হয়েছিলেন তিনি। সেই মামলায় তাকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছিলেন আদালত। SHARES আন্তর্জাতিক বিষয়: #মুখতার
ভারতে গ্যাংস্টার থেকে রাজনীতিবিদ হয়ে ওঠা মুখতার আনসারি উত্তরপ্রদেশের বান্দা কারাগারে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন। গতকাল বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) স্থানীয় সময় রাত পৌনে ৯টায় কারাগারে অজ্ঞান হয়ে পড়লে তাকে উত্তরপ্রদেশের রানি দুর্গাবতী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। মুখতারের মৃত্যুর পর হাসপাতালের বাইরে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে।
আইন-শৃঙ্খলা বজায় রাখতে রাজ্যজুড়ে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়। পূর্ব উত্তর প্রদেশের বান্দা, মাউ, গাজিপুর এবং বারানসি জেলায়ও বিশেষ বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে। পরিবারের অভিযোগ, কারাগারে খাবারের সঙ্গে বিষ প্রয়োগ করে তাকে মেরে ফেলা হয়েছে। ভারতীয় গণমাধ্যমে বলা হয়, জেলে থাকা অবস্থায় তার স্বাস্থ্যের অবনতি হয়।
পরে তাকে গাজিপুরের বান্দা মেডিক্যাল কলেজে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানেই মৃত্যু হয় তার। গত মঙ্গলবারও পেটের যন্ত্রণায় তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল। খবরে আরো বলা হয়, ইফতারের পরই মুখতারের স্বাস্থ্যের অবনতি হয়।
পেটের ব্যথা নিয়ে প্রায় ১৪ ঘণ্টা হাসপাতালে ভর্তি থাকার পর সেখানেই হৃদরোগে তার মৃত্যু হয়। মুখতারের ভাই গাজিপুরের সংসদ সদস্য আফজল আনসারি অভিযোগ তুলে বলেন, তার ভাইকে জেলের মধ্যেই বিষ প্রয়োগ করে মেরে ফেলা হয়েছে। মুখতার আনসারির ভাই আফজাল আনসারি পিটিআইকে বলেন, গত ১৯ মার্চ কারাগারে খাবারের সঙ্গে আমার ভাইকে বিষ দেওয়া হয়েছিল। এ কারণে তার শারীরিক অবস্থা খারাপ ছিল। এর ৪০ দিন আগেও তাকে বিষ দেওয়া হয়েছিল।
আমার ভাই এসব জানিয়েছিলেন। মুখতারের ছেলে ওমর এ বিষয়ে আদালতে যাবেন বলে জানান। তিনি বলেন, গত ১৯ মার্চ বাবাকে রাতের খাবারের সঙ্গে বিষ দেওয়া হয়েছিল। আমরা বিচার বিভাগের কাছে যাব। ন্যায়বিচার পাব বলে আমাদের পূর্ণ আস্থা আছে। কারা বিভাগ জানিয়েছে, মুখতার রোজা রেখেছিলেন। এ কারণে তার স্বাস্থ্যের অবনতি হয়েছিল এবং তিনি ওয়াশরুমে পড়েছিলেন। আজ শুক্রবার বান্দা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ময়নাতদন্ত করা হবে। ৬০ বছর বয়সী মুখতার উত্তরপ্রদেশের মৌ জেলার বিধানসভার পাঁচবারের সাবেক বিধায়ক ছিলেন। অবশ্য তার বিরুদ্ধে ১৫টি খুনের অভিযোগ এবং ৬১টি ফৌজদারি মামলা ছিল। ১৯৮০-এর দশকে একটি গ্যাংয়ে যোগ দিয়ে পরে ১৯৯০-এর দশকে নিজেই দল গঠন করেন। তার দলটি উত্তর প্রদেশের বিভিন্ন জেলায় চাঁদাবাজি ও অপহরণে জড়িত ছিল। ২০০৫ সাল থেকে তিনি পাঞ্জাব ও উত্তরপ্রদেশের কারাগারে ছিলেন। ২০২২ সালের সেপ্টেম্বর থেকে উত্তরপ্রদেশের বিভিন্ন আদালতে আটটি মামলায় সাজাপ্রাপ্ত হয়ে তিনি কারাবন্দি ছিলেন। উত্তরপ্রদেশ পুলিশ গত বছর যে ৬৬ জন গ্যাংস্টারের তালিকা প্রকাশ করেছিল তাতেও নাম ছিল মুখতারের। সম্প্রতি ৩৬ বছর পুরনো এক মামলায় দোষী সাব্যস্ত হয়েছিলেন তিনি। সেই মামলায় তাকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছিলেন আদালত।