মুক্তিযুদ্ধ পরিচালনা ও আন্তর্জাতিক সমর্থন অর্জনে প্রধান ভূমিকা মুজিবনগর সরকারের:ড. সাইয়্যিদ সাইফুদ্দীন আহমদ আল হাসানী মাইজভাণ্ডারী

প্রকাশিত: ৪:৩১ পূর্বাহ্ণ, এপ্রিল ১৮, ২০২৪

 

এটিএম মাজহারুল ~ইসলাম~,
ক্রাইম রিপোর্টার, কুমিল্লা:

মাইজভাণ্ডার শরিফের সাজ্জাদানশীন ও বাংলাদেশ সুপ্রিম পার্টি (বিএসপি) এর চেয়ারম্যান ড. সাইয়্যিদ সাইফুদ্দীন আহমদ আল হাসানী মাইজভাণ্ডারী বলেন, ১৭ এপ্রিল মুজিবনগর দিবস। ১৯৭১ সালের ১৭ এপ্রিল মেহেরপুর জেলার বৈদ্যনাথতলার আম্রকাননে স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম সরকার শপথ গ্রহণ করেছিল। পরে ওই জায়গার নামকরণ করা হয় ‘মুজিবনগর’। অবশ্য ওই সরকার গঠন করা হয়েছিল ১০ এপ্রিল। স্বাধীনতা যুদ্ধ চলাকালে ওই সরকার মুজিবনগর সরকার হিসেবেই পরিচিত। ১৭ এপ্রিল ও মুজিবনগর সরকার— দুটোই বাংলাদেশের ইতিহাসের সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িত। মুজিবনগর সরকার গঠনের প্রক্রিয়া সম্পর্কে অবহিত হওয়া নতুন প্রজন্মের মানুষের কাছে নিঃসন্দেহে গুরুত্বপূর্ণ। স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম সরকার কীভাবে, কোন প্রেক্ষাপটে গঠিত হয়েছিল প্রতিটি বাঙালিরই তা জানা উচিত। এ দিনে শপথ গ্রহণ করে মহান মুক্তিযুদ্ধের সময়ে, চূড়ান্ত বিজয় অর্জনের জন্য গঠিত মুজিবনগর সরকার। বাংলাদেশের স্বাধীনতা অর্জনে মুজিবনগর সরকার মুক্তিযুদ্ধ পরিচালনা ও এর পক্ষে আন্তর্জাতিক সমর্থন অর্জনে প্রধান ভূমিকা রেখেছে।
মহান মুক্তিযুদ্ধে রণকৌশল গ্রহণে তারা দুরদর্শিতা ও বিচক্ষণতা দেখিয়েছে। বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ, আন্তর্জাতিক রাজনীতিরও একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ হয়ে উঠেছিলো। বাংলার মানুষের ন্যায়সঙ্গত সংগ্রামের পক্ষে ভারত ও সোভিয়েত ইউনিয়নসহ বিভিন্ন দেশের ও জনগণের সমর্থন আদায়ের ফলে আমাদের বিজয় অর্জন দ্রুত ও সহজ হয়েছে। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এ সরকারের রাষ্ট্রপতি এবং মুক্তিযুদ্ধের সর্বাধিনায়ক হলেও, মহান মুক্তিযুদ্ধের সময় তিনি পাকিস্তানের কারাগারে অন্তরীণ ছিলেন। বঙ্গবন্ধুর অনুপস্থিতিতে, সে সময়ে তাজউদ্দিন আহমদের যোগ্য নেতৃত্ব, বিচক্ষণতা, সাহসী ও দুরদর্শী ভূমিকা শ্রদ্ধার সাথে আমাদেরকে স্মরণ রাখতে হবে। বঙ্গবন্ধুর হত্যার যে নীলনকশা পাকিস্তান বাস্তবায়ন করতে চেয়েছিলো, সে লক্ষ্যও পূরণ করতে দেয়নি মুজিবনগর সরকার। আন্তর্জাতিক মহল থেকে জোড়ালো চাপ সৃষ্টি করা হয়। ভারতে আশ্রয় পাওয়া প্রায় ১ কোটি শরণার্থীর জন্য ত্রাণের ব্যবস্থা করতে এবং পাকিস্তানিদের নারকীয় গণহত্যা বিশ্বের কাছে তুলে ধরতে সফল হয়েছিলো এ সরকার। এছাড়া বাংলাদেশের অভ্যন্তরে বেসামরিক প্রশাসনও পরিচালনা করেছে মুজিবনগর সরকার। তারা বাংলাদেশের স্বাধীনতার ঘোষণার স্বীকৃতি আদায়ে মুখ্য ভূমিকা পালন করেছে। আজ এ ঐতিহাসিক দিনে আমরা, বঙ্গবন্ধুসহ এ সরকারের সাথে সংশ্লিষ্ট সকলের অবদানকে শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করছি।”
১৭ এপ্রিল/২০২৪ কুমিল্লা জেলার উত্তর বরুড়ায়  আদমপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে পবিত্র ঈদ-এ-মিলাদুন্নবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) উপলক্ষ্যে আয়োজিত সুন্নী সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ বিষয়ে আলোচনা করেন।
এসময় বক্তব্য রাখেন, বীর মুক্তিযোদ্ধা, বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ, ওলামা মাশায়েখ, খলিফাবৃন্দ, আঞ্জুমান-এ-রহমানিয়া মইনীয়া মাইজভাণ্ডারীয়া ও মইনীয়া যুব ফোরামের নেতৃবৃন্দ।
দো-জাহানের বাদশাহ্, রহমাতুল্লিল আলামীন, হযরত আহমদ মুজতবা, মুহাম্মদ মুস্তাফা (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) এবং তার পবিত্র আহলে বাইতগণের প্রতি সশ্রদ্ধ সালাম পেশ শেষে দেশ ও মানবতার কল্যাণ কামনায় মুনাজাত করেন, সাইয়্যিদ সাইফুদ্দীন আহমদ আল হাসানী মাইজভাণ্ডারী।