অতিবৃষ্টি ও অনাবৃষ্টি থেকে মুক্তির দোয়া ক্রাইম পেট্রোল ক্রাইম পেট্রোল News প্রকাশিত: ১০:১৫ অপরাহ্ণ, জুন ৩০, ২০২৪ মুমিনের কাছে বৃষ্টির রয়েছে নতুন বার্তা। পবিত্র কোরআন ও হাদিসে বৃষ্টির উপকারিতার কথা এসেছে। ইরশাদ হয়েছে, ‘আমি ভূপৃষ্ঠকে বিস্তৃত করেছি, তাতে পর্বতমালা স্থাপন করেছি এবং তাতে সব ধরনের নয়নাভিরাম উদ্ভিদ উৎপন্ন করেছি।’ (সুরা : কাফ, আয়াত : ৭) বৃষ্টিমুখর দিনে রাসুল (সা.)-এর কয়েকটি আমল : দোয়া কবুলের সময় বৃষ্টিবর্ষণের মুহূর্তটি মানুষের প্রতি আল্লাহর বিশেষ অনুগ্রহের সময়। এ সময় মানুষের দোয়া কবুল হয়। সাহাল বিন সাআদ (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুল (সা.) বলেছেন, ‘দুই সময় দোয়া ফিরিয়ে দেওয়া হয় না কিংবা খুবই কম ফেরানো হয়। আজানের সময় এবং যখন শত্রুর সঙ্গে যুদ্ধ চলে। আরেক বর্ণনা মতে, বৃষ্টিবর্ষণের সময়। (আবু দাউদ, হাদিস : ২৫৪০) অতিবৃষ্টি ও অনাবৃষ্টি থেকে মুক্তির দোয়া অতিবৃষ্টি ও অনাবৃষ্টি থেকে মুক্তি চেয়ে রাসুল (সা.) দোয়া করেছেন। আনাস বিন মালিক (রা.) বর্ণনা করেছেন, জুমার দিন এক ব্যক্তি মিম্বার বরাবর দরজা দিয়ে মসজিদে প্রবেশ করে। তখন রাসুল (সা.) খুতবা দিচ্ছিলেন। সেই লোক দাঁড়িয়ে বলল, হে আল্লাহর রাসুল, গবাদি পশু ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে এবং রাস্তাও বন্ধ হয়ে পড়েছে। আপনি আল্লাহর কাছে দোয়া করুন তিনি যেন আমাদের বৃষ্টি দেন। রাসুল (সা.) দুই হাত তুলে দোয়া করে বলেন, ‘আল্লাহুম্মাস কিনা আল্লাহুম্মাস কিনা আল্লাহুম্মাস কিনা।’ অর্থাৎ হে আল্লাহ, আমাদের বৃষ্টি দিন (তিনবার বলেন)। …পরের জুমায় ওই দরজা দিয়ে এক লোক প্রবেশ করে। রাসুল (সা.) খুতবা দিতে দাঁড়ালে সে বলল, হে আল্লাহর রাসুল, সম্পদ নষ্ট হচ্ছে এবং পথঘাট বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। আপনি আল্লাহর কাছে দোয়া করুন যেন তিনি তা বন্ধ করেন। রাসুল (সা.) দুই হাত তুলে দোয়া করলেন, ‘আল্লাহুম্মা হাওয়ালাইনা, ওয়া লা আলাইনা, আল্লাহুম্মা আলাল আকামি ওয়াল জিবালি।’ অর্থাৎ হে আল্লাহ, আমাদের ওপর নয়, আমাদের আশপাশে বৃষ্টি দিন। টিলা, পাহাড়, উঁচু ভূমি, মালভূমি, উপত্যকা ও বনাঞ্চলে বর্ষণ করুন। আনাস (রা.) বলেছেন, এরপর বৃষ্টি বন্ধ হয়ে যায় এবং আমরা রোদের মধ্যে হাঁটতে শুরু করি। (সহিহ বুখারি, হাদিস : ১০১৩) মহান আল্লাহ সবাইকে আমল করার তাওফিক দিন। SHARES ইসলাম বিষয়: অতিবৃষ্টি ও অনাবৃষ্টি
মুমিনের কাছে বৃষ্টির রয়েছে নতুন বার্তা। পবিত্র কোরআন ও হাদিসে বৃষ্টির উপকারিতার কথা এসেছে। ইরশাদ হয়েছে, ‘আমি ভূপৃষ্ঠকে বিস্তৃত করেছি, তাতে পর্বতমালা স্থাপন করেছি এবং তাতে সব ধরনের নয়নাভিরাম উদ্ভিদ উৎপন্ন করেছি।’ (সুরা : কাফ, আয়াত : ৭) বৃষ্টিমুখর দিনে রাসুল (সা.)-এর কয়েকটি আমল : দোয়া কবুলের সময় বৃষ্টিবর্ষণের মুহূর্তটি মানুষের প্রতি আল্লাহর বিশেষ অনুগ্রহের সময়।
এ সময় মানুষের দোয়া কবুল হয়। সাহাল বিন সাআদ (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুল (সা.) বলেছেন, ‘দুই সময় দোয়া ফিরিয়ে দেওয়া হয় না কিংবা খুবই কম ফেরানো হয়। আজানের সময় এবং যখন শত্রুর সঙ্গে যুদ্ধ চলে। আরেক বর্ণনা মতে, বৃষ্টিবর্ষণের সময়।
(আবু দাউদ, হাদিস : ২৫৪০) অতিবৃষ্টি ও অনাবৃষ্টি থেকে মুক্তির দোয়া অতিবৃষ্টি ও অনাবৃষ্টি থেকে মুক্তি চেয়ে রাসুল (সা.) দোয়া করেছেন। আনাস বিন মালিক (রা.) বর্ণনা করেছেন, জুমার দিন এক ব্যক্তি মিম্বার বরাবর দরজা দিয়ে মসজিদে প্রবেশ করে। তখন রাসুল (সা.) খুতবা দিচ্ছিলেন। সেই লোক দাঁড়িয়ে বলল, হে আল্লাহর রাসুল, গবাদি পশু ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে এবং রাস্তাও বন্ধ হয়ে পড়েছে।
আপনি আল্লাহর কাছে দোয়া করুন তিনি যেন আমাদের বৃষ্টি দেন। রাসুল (সা.) দুই হাত তুলে দোয়া করে বলেন, ‘আল্লাহুম্মাস কিনা আল্লাহুম্মাস কিনা আল্লাহুম্মাস কিনা।’ অর্থাৎ হে আল্লাহ, আমাদের বৃষ্টি দিন (তিনবার বলেন)। …পরের জুমায় ওই দরজা দিয়ে এক লোক প্রবেশ করে। রাসুল (সা.) খুতবা দিতে দাঁড়ালে সে বলল, হে আল্লাহর রাসুল, সম্পদ নষ্ট হচ্ছে এবং পথঘাট বন্ধ হয়ে যাচ্ছে।
আপনি আল্লাহর কাছে দোয়া করুন যেন তিনি তা বন্ধ করেন। রাসুল (সা.) দুই হাত তুলে দোয়া করলেন, ‘আল্লাহুম্মা হাওয়ালাইনা, ওয়া লা আলাইনা, আল্লাহুম্মা আলাল আকামি ওয়াল জিবালি।’ অর্থাৎ হে আল্লাহ, আমাদের ওপর নয়, আমাদের আশপাশে বৃষ্টি দিন। টিলা, পাহাড়, উঁচু ভূমি, মালভূমি, উপত্যকা ও বনাঞ্চলে বর্ষণ করুন। আনাস (রা.) বলেছেন, এরপর বৃষ্টি বন্ধ হয়ে যায় এবং আমরা রোদের মধ্যে হাঁটতে শুরু করি। (সহিহ বুখারি, হাদিস : ১০১৩) মহান আল্লাহ সবাইকে আমল করার তাওফিক দিন।