জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু ছিলেন একজন জনদরদী ব্যক্তিত্ব: ড.কলিমউল্লাহ

প্রকাশিত: ১০:৩০ অপরাহ্ণ, মে ২৮, ২০২৪

মঙ্গলবার সন্ধ্যায় বঙ্গবন্ধুর জীবনাদর্শ বিষয়ক সেমিনারের ৯২৮ তম পর্ব অনুষ্ঠিত হয়। জানিপপ কর্তৃক আয়োজিত জুম ওয়েবিনারে অনুষ্ঠিত এ সেমিনারে সভাপতিত্ব করেন জানিপপ-এর প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান প্রফেসর ড.মেজর নাজমুল আহসান কলিমউল্লাহ, বিএনসিসিও।

সেমিনারে প্রধান অতিথি হিসেবে সংযুক্ত ছিলেন ইউএন ডিজএ্যাবিলিটিজ রাইটস্ চ্যাম্পিয়ন ও প্রতিবন্ধী মানুষের অধিকার ও উন্নয়নের প্রবর্তক আবদুস সাত্তার দুলাল।

সেমিনারে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ওয়ার্ল্ড ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ এর মিডিয়া ও জার্নালিজম বিভাগের শিক্ষার্থী ও সাংবাদিক আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ

সেমিনারে গেস্ট অফ অনার হিসেবে সংযুক্ত ছিলেন, স্বাধীনতা শিক্ষক পরিষদ এর কেন্দ্রীয় নেত্রী ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ এর কেন্দ্রীয় মহিলা বিষয়ক উপকমিটির সদস্য মিসেস সংগীতা বিশ্বাস।

সেমিনারে আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ব্যাংকার ও নাট্যব্যক্তিত্ব সন্দীপন কুমার বিশ্বাস।

সেমিনারে আরও উপস্থিত ছিলেন বি সি এস এডুকেশন ক্যাডার এর সদস্য বাবু প্রদীপ কুমার সরকার, জানিপপ এর ন্যাশনাল ভলান্টিয়ার সাদিয়া হালিমা ,শারমিন সুলতানা, শাকিব হোসেন ও ওয়ার্ল্ড ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ এর একদল শিক্ষার্থী।

সভাপতির বক্তব্যে ড.কলিমউল্লাহ বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু ছিলেন একজন জনদরদী ব্যক্তিত্ব।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে আব্দুস সাত্তার দুলাল বলেন, বঙ্গবন্ধু আমাদের মাঝে নেই রেখে গেছেন একটি স্বাধীন দেশে। তিনি স্মৃতিচারণ করে বলেন, ” বঙ্গবন্ধুর দুটো বক্তব্য সরাসরি শোনার সৌভাগ্য আমার হয়েছিল , ১৯৬৮ সালে এবং ১৯৭২ সালে স্বাধীনতার পর ব্লু স্টেডিয়ামে।”

তিনি আরও বলেন, শত শত দিন বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে আলোচনা করলেও তা শেষ হবার না।

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান একটি রোল মডেল। তার অনন্য অসাধারণ গুণাবলীর জন্যই এতো বছর পরেও তাঁকে নিয়ে আলোচনা হচ্ছে।

বঙ্গবন্ধু স্বাধীন দেশের সাথে একটি আদর্শবান রাজনৈতিক দলও রেখে গেছেন। স্বাধীন দেশের মানুষের জীবন কেমন হবে এবং বাংলাদেশ কিভাবে চলবে তার পরিকল্পনা বঙ্গবন্ধু করে গিয়েছেন। জাতির পিতা সর্বদাই বঞ্চিত মানুষ এবং নিপিড়ীত মানুষের কথা ভাবতেন। বঙ্গবন্ধুর নৈতিকতা মানলে বাংলাদেশ উন্নত ও সভ্য দেশের কাতারে দ্রুত স্থান পাবে।

বঙ্গবন্ধু যে উদ্দেশ্যে রাজনীতি করেছেন তাতে তিনি সফল। জাতির পিতার স্পষ্ট বক্তব্যই তাকে সমৃদ্ধ বক্তার আসনে স্থান দিয়েছে।

তিনি আরও বলেন যে, তিনি আট বছর বয়সে ১ মাইল দূর থেকে বঙ্গবন্ধুর বক্তব্য শুনতে গিয়েছিলেন।
বঙ্গবন্ধুর বক্তব্যের স্পষ্ট ভাব মানুষকে আনন্দ দিতো ও তিনি সকলকে আপন করে নিতে পেরেছিলেন।

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, আমরা যেমন কাজী নজরুল ইসলাম ও রবীন্দ্রনাথ সম্পর্কে জানি, তেমনি আমাদের বঙ্গবন্ধু সম্পর্কে জানা দরকার। আমাদের ইয়াং জেনারেশনের মধ্যে বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে জানার অনেক ঘাটতি আছে। এধরণের আলোচনা অনুষ্ঠান সেই ঘাটতি পূরণে ভুমিকা রাখবে।

তিনি আরও বলেন, স্মার্ট বাংলাদেশের রূপকার জাতির পিতার সুযোগ্য কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আমরা নতুন প্রজন্ম জাতির পিতাকে ইতিহাস থেকে জানি, তবে শেখ হাসিনার উন্নয়ন মূলক কাজের মাধ্যমে আমরা নতুন প্রজন্ম বঙ্গবন্ধুর আদর্শের সাথে পরিচিত হই।

বাংলাদেশের উন্নয়ন ও নিরাপত্তা নিশ্চিত হয়েছে শেখ হাসিনার হাত ধরে, যার ফলে জনগণ নিরাপদে অবাধ চলাচল করতে সক্ষম। বঙ্গবন্ধু হত্যা না হলে আমারা পঁচিশ বছর আগেই স্মার্ট বাংলাদেশের সুবিধা ভোগ করতাম।

সেমিনারের গেস্ট অব অনার হিসেবে উপস্থিত সংগীতা বিশ্বাস বলেন, শিশু কিশোর ও শিক্ষার্থীদের মধ্যে জাতির পিতার আদর্শ চর্চার ক্ষেত্রে শিক্ষকবৃন্দ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারেন।

সেমিনারে উপস্থিত সন্দীপন কুমার বিশ্বাস বলেন, জাতির পিতার দ্বিতীয় বিপ্লবের ঘোষণা ছিলো যুদ্ধবিধ্বস্ত স্বাধীন বাংলাদেশের অর্থনীতিকে মজবুত করার মহাপরিকল্পনা।

সেমিনারে যুক্ত জানিপপ এর ন্যাশনাল ভলান্টিয়ার শারমিন সুলতানা বলেন,শারমিন সুলতানা শিমু বলেন, বঙ্গবন্ধু ছিলেন মানসিক ভাবে অনমনীয় , শারীরিক অসুস্থতাও তাঁকে দমিয়ে রাখতে পারেনি।

সেমিনারটি সঞ্চালনা করেন, গোপালগঞ্জস্থ বঙ্গবন্ধু বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের পিএইচডি গবেষক প্রশান্ত কুমার সরকার।