জুলাইয়ে বাড়তে পারে ডেঙ্গুর প্রকোপ, মৃত্যুর হার বেড়ে দ্বিগুণ ক্রাইম পেট্রোল ক্রাইম পেট্রোল News প্রকাশিত: ৮:৫৭ পূর্বাহ্ণ, জুন ২২, ২০২৪ নিজস্ব প্রতিনিধি গত বছরের তুলনায় এ বছর মৌসুমের শুরুতে ডেঙ্গু আক্রান্তের হার কিছুটা কম। তবে মৃত্যুর হার দ্বিগুণ। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমারজেন্সি অপারেশন সেন্টারের তথ্য বিশ্লেষণে এ তথ্য পাওয়া গেছে। চলতি বছরে এ পর্যন্ত ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে সারা দেশে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে তিন হাজার ৩১৫ জন। তাদের মধ্যে মারা গেছে ৪১ জন। অর্থাৎ প্রতি ৮১ জনে একজনের মৃত্যু হয়েছে। গত বছরের একই সময়ে প্রতি ১৫৬ জনে একজনের মৃত্যু হয়েছিল। তথ্য বিশ্লেষণে আরো দেখা গেছে, চলতি বছর ডেঙ্গুতে মারা যাওয়া ৪১ জনের মধ্যে ২৯ জনেরই মৃত্যু হয়েছে রাজধানী ঢাকার বিভিন্ন হাসপাতালে। এর মধ্যে ঢাকা দক্ষিণ সিটিতে মৃত্যু হয় ২৫ জনের। উত্তর সিটিতে চারজনের। ঢাকার বাইরে সর্বোচ্চ আটজনের মৃত্যু হয়েছে বরিশাল বিভাগে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, দুই কারণে ঢাকায় মৃত্যু বেশি। এক. ঢাকায় ডেঙ্গুতে আক্রান্তদের বড় অংশই দ্বিতীয় বা তৃতীয়বার সংক্রমিত হচ্ছে। দুই. অনেক ক্ষেত্রেই গুরুতর রোগীদের ঢাকায় পাঠানো হয়। বিশেষজ্ঞদের অভিমত, সংক্রমণ কমানো না গেলে মৃত্যুও ঠেকানো সম্ভব হবে না। ডা. আহমেদুল কবির বলেন, ঢাকায় বেশির ভাগ মানুষের প্রথমবার ডেঙ্গু হয়ে গেছে। অনেকে আছে যাদের এরই মধ্যে চারবার ডেঙ্গু হয়ে গেছে। তবে সবারই কিন্তু চারবার হয়নি। দ্বিতীয় বা আরো বেশিবার আক্রান্ত হলে অনেকের অবস্থা খারাপ হতেই পারে। সে কারণে বলা যায়, এবার হাসপাতালে ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা বেড়ে যেতে পারে। সেই সঙ্গে মৃত্যু বাড়ার আশঙ্কাও বেশি।’ SHARES জাতীয় বিষয়: #ডেঙ্গুর প্রকোপ
নিজস্ব প্রতিনিধি গত বছরের তুলনায় এ বছর মৌসুমের শুরুতে ডেঙ্গু আক্রান্তের হার কিছুটা কম। তবে মৃত্যুর হার দ্বিগুণ। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমারজেন্সি অপারেশন সেন্টারের তথ্য বিশ্লেষণে এ তথ্য পাওয়া গেছে। চলতি বছরে এ পর্যন্ত ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে সারা দেশে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে তিন হাজার ৩১৫ জন।
তাদের মধ্যে মারা গেছে ৪১ জন। অর্থাৎ প্রতি ৮১ জনে একজনের মৃত্যু হয়েছে। গত বছরের একই সময়ে প্রতি ১৫৬ জনে একজনের মৃত্যু হয়েছিল। তথ্য বিশ্লেষণে আরো দেখা গেছে, চলতি বছর ডেঙ্গুতে মারা যাওয়া ৪১ জনের মধ্যে ২৯ জনেরই মৃত্যু হয়েছে রাজধানী ঢাকার বিভিন্ন হাসপাতালে।
এর মধ্যে ঢাকা দক্ষিণ সিটিতে মৃত্যু হয় ২৫ জনের। উত্তর সিটিতে চারজনের। ঢাকার বাইরে সর্বোচ্চ আটজনের মৃত্যু হয়েছে বরিশাল বিভাগে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, দুই কারণে ঢাকায় মৃত্যু বেশি।
এক. ঢাকায় ডেঙ্গুতে আক্রান্তদের বড় অংশই দ্বিতীয় বা তৃতীয়বার সংক্রমিত হচ্ছে। দুই. অনেক ক্ষেত্রেই গুরুতর রোগীদের ঢাকায় পাঠানো হয়। বিশেষজ্ঞদের অভিমত, সংক্রমণ কমানো না গেলে মৃত্যুও ঠেকানো সম্ভব হবে না।
ডা. আহমেদুল কবির বলেন, ঢাকায় বেশির ভাগ মানুষের প্রথমবার ডেঙ্গু হয়ে গেছে। অনেকে আছে যাদের এরই মধ্যে চারবার ডেঙ্গু হয়ে গেছে। তবে সবারই কিন্তু চারবার হয়নি। দ্বিতীয় বা আরো বেশিবার আক্রান্ত হলে অনেকের অবস্থা খারাপ হতেই পারে। সে কারণে বলা যায়, এবার হাসপাতালে ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা বেড়ে যেতে পারে। সেই সঙ্গে মৃত্যু বাড়ার আশঙ্কাও বেশি।’