‘কোটা আন্দোলনে সৃষ্ট জনদুর্ভোগের দায় সরকারকে নিতে হবে’

প্রকাশিত: ১০:০২ অপরাহ্ণ, জুলাই ১১, ২০২৪

নিজস্ব প্রতিবেদক

কোটা আন্দোলনের কারণে সৃষ্ট জনদুর্ভোগের দায় সরকারকে নিতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন ‘বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন’-এর সমন্বয়ক নাহিদ ইসলাম।

তিনি বলেন, ‘শিক্ষার্থীদের যেকোনো আন্দোলনের ভেতরে বিরোধী দলের ভূত দেখার অভ্যাস বন্ধ করতে হবে। সরকার ও আদালতের রায়ে এই আন্দোলেনের প্রেক্ষাপট তৈরি হয়েছে। এই জনদুর্ভোগের দায় সরকারকে নিতে হবে।’

 

চতুর্থ দিনের ‘বাংলা ব্লকেড’ কর্মসূচি শেষে বৃহস্পতিবার (১১ জুলাই) রাত সাড়ে ৮টায় রাজধানীরা শাহবাগে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে এ কথা বলেন তিনি। এ সময় নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়। ব্রিফিং শেষে শাহবাগ ছাড়েন কোটা আন্দোলনকারীরা।

নতুন কর্মসূচি অনুযায়ী, আগামীকাল শুক্রবার বিকেলে সারা দেশের সব বিশ্ববিদ্যালয়ে বিক্ষোভ মিছিল করবে কোটাবিরোধীরা।

জরুরি সংসদ অধিবেশন ডেকে কোটা সংস্কারের আইন পাসের দাবি জানানো হয় শাহবাগ থেকে।

নাহিদ ইসলাম বলেন, ‘আমরা কোনো ফাঁদে পা দিতে চাই না। আমরা কোটা সমস্যার চূড়ান্ত সমাধান চাই। আমাদের এক দফা দাবি নির্বাহী বিভাগের কাছে।

আমরা সব গ্রেডের কোটা সংস্কারের কথা বলছি যেটা শুধু সরকারই হস্তক্ষেপ করতে পারে। সংসদে জরুরি অধিবেশ ডেকে আইন পাস করে কোটার সমস্যার সমাধান করতে হবে। তার আগ পর্যন্ত আমরা রাজপথে আন্দোলন চালিয়ে যাব।’ 

 এর আগে পূর্বঘোষিত ‘বাংলা ব্লকেড’ কর্মসূচি পালনের জন্য বিকেল ৩টা থেকে বৃষ্টি উপেক্ষা করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় লাইব্রেরির সামনে জড়ো হতে থাকেন শিক্ষার্থীরা। সেখান থেকে বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে তারা কলা ভবন, ভিসি চত্বর হয়ে শাহবাগে আসেন।
শিক্ষার্থীরা আসার আগেই পুলিশ শাহবাগে ব্যারিকেড দিয়ে রাখে। এক পর্যায়ে শিক্ষার্থীরা ব্যারিকেড ভেঙে সেখানে অবস্থান নেন। এ সময় কিছু শিক্ষার্থীকে পুলিশের সাঁজোয়া যানের ওপর উঠে উল্লাস করতে দেখা যায়।