আদালত নিয়ে যাতে দ্বিধা-সংশয় সৃষ্টি না হয় : প্রধান বিচারপতি ক্রাইম পেট্রোল ক্রাইম পেট্রোল News প্রকাশিত: ১২:২৬ পূর্বাহ্ণ, জুলাই ১৬, ২০২৪ নিজস্ব প্রতিবেদক প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান বলেছেন, আদালত সম্পর্কে বিচারপ্রার্থীদের মনে দ্বিধা বা সংশয় সৃষ্টি করে, এমন পরিস্থিতি যাতে সৃষ্টি না হয়, আইনজীবীদের তা খেয়াল রাখতে হবে। সোমবার (১৫ জুলাই) সন্ধ্যায় এক সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন তিনি। সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতি ভবনের মিলনায়তনে ‘বৃহত্তর ময়মনসিংহ সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী কল্যাণ সমিতি’ নামের একটি সংগঠন এ অনুষ্ঠানে প্রধান বিচারপতিকে সংবর্ধনা দেয়। অনুষ্ঠানে বৃহত্তর ময়মনসিংহের ইতিহাস-ঐতিহ্য তুলে ধরে প্রধান অতিথির বক্তব্যে ওবায়দুল হাসান বলেন, ‘আমাদের প্রত্যেককেই প্রতিদিন নানা রকম সিদ্ধান্ত নিতে হয়। অন্যের সঙ্গে লেনদেন করতে হয়। নানা উপাদান ও পারিপার্শ্বিকতার সঙ্গে বোঝাপড়া করতে হয়। তাই আমাদের নিজেদের বিবেকের কাছে প্রশ্ন রাখতে হবে, এই বোঝাপড়ায় আমরা সৎ থাকতে পারছি কি না। নিজ স্বার্থ হাসিলের জন্য অন্যের অধিকার ও ব্যক্তিগত গণ্ডিতে অনুপ্রবেশ ঘটাচ্ছি কিনা।’ আইনের শাসন, ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠায় আইজীবীদের ভূমিকা তুলে ধরে ওবায়দুল হাসান বলেন, ‘ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠায় বার ও বেঞ্চ একে অপরের পরিপূরক, প্রতিপক্ষ নয়। আর আদালত কর্মকর্তা (কোর্ট অফিসার) হিসেবে একজন আইনজীবীর কর্তব্য হচ্ছে ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠায় আইনের বিধি-বিধানের প্রতি পূর্ণ সম্মান দেখিয়ে আদালতকে সহযোগিতা করা। তাই আইনজীবীদের খেয়াল রাখতে হবে, আদালতে যাতে এমন কোনো পরিস্থিতির সৃষ্টি না হয়, যাতে বিচারপ্রার্থীর মনে আদালত সম্পর্কে দ্বিধা বা সংশয় তৈরি হয়।’ দেশের গণতান্ত্রিক আন্দোলন, রাষ্ট্র কাঠামোতে আইনজীবীদের ভূমিকা স্মরণ করিয়ে দিয়ে বিচার বিভাগের প্রধান বলেন, ‘নিজেকে আইনজীবী হিসেবে প্রতিষ্ঠা করতে হলে শুধু আইনের ওপর দখল থাকলেই চলবে না, পেশাগত আচরণও সুন্দর করতে হবে। আইন পেশাকে নিছক জীবিকা নির্বাহের একটি মাধ্যম হিসেবে বিবেচনা না করে অধিকারবঞ্চিত মানুষের কল্যাণ নিশ্চিত করার একটি উপায় হিসেবে বিবেচনা করতে হবে।’ সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবীদের উদ্দেশ করে প্রধান বিচারপতি বলেন, ‘পেশাগত জীবনে এমন কিছু করবেন না যাতে এই প্রতিষ্ঠানের (সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতি) সম্মানহানি ঘটে। মনে রাখবেন, দল-মত-নির্বিশেষে আপনাদের সবার লক্ষ্য এক ও অভিন্ন।’ প্রধান বিচারপতি মামলা জট নিরসন, দুর্নীতিমুক্ত বিচার বিভাগ গড়ে তোলা এবং বিচার বিভাগের আধুনিকায়নে দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা প্রণয়নে আইনজীবীদের কাছে পরামর্শ ও সহযোগিতা চান। সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে সাবেক প্রধান বিচারপতি, আপিল ও হাইকোর্ট বিভাগের সাবেক-বর্তমান বিচারপতি, সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সাবেক-বর্তমান নেতৃত্ব ও জ্যেষ্ঠ আইনজীবীরা উপস্থিত ছিলেন। SHARES আইন আদালত বিষয়: #প্রধান বিচারপতি
প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান বলেছেন, আদালত সম্পর্কে বিচারপ্রার্থীদের মনে দ্বিধা বা সংশয় সৃষ্টি করে, এমন পরিস্থিতি যাতে সৃষ্টি না হয়, আইনজীবীদের তা খেয়াল রাখতে হবে। সোমবার (১৫ জুলাই) সন্ধ্যায় এক সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন তিনি। সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতি ভবনের মিলনায়তনে ‘বৃহত্তর ময়মনসিংহ সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী কল্যাণ সমিতি’ নামের একটি সংগঠন এ অনুষ্ঠানে প্রধান বিচারপতিকে সংবর্ধনা দেয়। অনুষ্ঠানে বৃহত্তর ময়মনসিংহের ইতিহাস-ঐতিহ্য তুলে ধরে প্রধান অতিথির বক্তব্যে ওবায়দুল হাসান বলেন, ‘আমাদের প্রত্যেককেই প্রতিদিন নানা রকম সিদ্ধান্ত নিতে হয়।
অন্যের সঙ্গে লেনদেন করতে হয়। নানা উপাদান ও পারিপার্শ্বিকতার সঙ্গে বোঝাপড়া করতে হয়। তাই আমাদের নিজেদের বিবেকের কাছে প্রশ্ন রাখতে হবে, এই বোঝাপড়ায় আমরা সৎ থাকতে পারছি কি না। নিজ স্বার্থ হাসিলের জন্য অন্যের অধিকার ও ব্যক্তিগত গণ্ডিতে অনুপ্রবেশ ঘটাচ্ছি কিনা।’
আইনের শাসন, ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠায় আইজীবীদের ভূমিকা তুলে ধরে ওবায়দুল হাসান বলেন, ‘ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠায় বার ও বেঞ্চ একে অপরের পরিপূরক, প্রতিপক্ষ নয়। আর আদালত কর্মকর্তা (কোর্ট অফিসার) হিসেবে একজন আইনজীবীর কর্তব্য হচ্ছে ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠায় আইনের বিধি-বিধানের প্রতি পূর্ণ সম্মান দেখিয়ে আদালতকে সহযোগিতা করা। তাই আইনজীবীদের খেয়াল রাখতে হবে, আদালতে যাতে এমন কোনো পরিস্থিতির সৃষ্টি না হয়, যাতে বিচারপ্রার্থীর মনে আদালত সম্পর্কে দ্বিধা বা সংশয় তৈরি হয়।’ দেশের গণতান্ত্রিক আন্দোলন, রাষ্ট্র কাঠামোতে আইনজীবীদের ভূমিকা স্মরণ করিয়ে দিয়ে বিচার বিভাগের প্রধান বলেন, ‘নিজেকে আইনজীবী হিসেবে প্রতিষ্ঠা করতে হলে শুধু আইনের ওপর দখল থাকলেই চলবে না, পেশাগত আচরণও সুন্দর করতে হবে।
আইন পেশাকে নিছক জীবিকা নির্বাহের একটি মাধ্যম হিসেবে বিবেচনা না করে অধিকারবঞ্চিত মানুষের কল্যাণ নিশ্চিত করার একটি উপায় হিসেবে বিবেচনা করতে হবে।’ সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবীদের উদ্দেশ করে প্রধান বিচারপতি বলেন, ‘পেশাগত জীবনে এমন কিছু করবেন না যাতে এই প্রতিষ্ঠানের (সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতি) সম্মানহানি ঘটে। মনে রাখবেন, দল-মত-নির্বিশেষে আপনাদের সবার লক্ষ্য এক ও অভিন্ন।’ প্রধান বিচারপতি মামলা জট নিরসন, দুর্নীতিমুক্ত বিচার বিভাগ গড়ে তোলা এবং বিচার বিভাগের আধুনিকায়নে দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা প্রণয়নে আইনজীবীদের কাছে পরামর্শ ও সহযোগিতা চান। সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে সাবেক প্রধান বিচারপতি, আপিল ও হাইকোর্ট বিভাগের সাবেক-বর্তমান বিচারপতি, সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সাবেক-বর্তমান নেতৃত্ব ও জ্যেষ্ঠ আইনজীবীরা উপস্থিত ছিলেন।