অনলাইনে কোনটা সত্য কোনটা মিথ্যা, বুঝবেন কীভাবে

প্রকাশিত: ৭:০৯ অপরাহ্ণ, আগস্ট ১৫, ২০২৪

নিজস্ব প্রতিনিধি

ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের মুখে ৫ আগস্ট পদত্যাগ করে শেখ হাসিনা দেশত্যাগ করায় সরকারের পতন হয়েছে। আন্দোলন ঘিরে সৃষ্ট পরিস্থিতির সময় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নানা ধরনের তথ্য দেখা যাচ্ছে। এখনো সেই ধারা চলছে। এর অনেক তথ্যই নেহায়েত গুজব। কখনো ভুয়া (ফেক) আইডি বা অ্যাকাউন্ট দিয়ে মিথ্যা তথ্য ছড়ানো হচ্ছে। আবার কখনো মূলধারার গণমাধ্যমের নাম দিয়ে ভুয়া কার্ড তৈরি করেও প্রচার চালানো হচ্ছে। সেগুলো যাচাই–বাছাই না করেই শেয়ার করেন অনেকে। এ ছাড়া চলছে নানা রকম সাইবার প্রতারণা।

কোন তথ্য সত্য, কোনটা মিথ্যা তা ব্যবহারকারী নিজেই শনাক্ত করতে পারেন বলে জানিয়েছেন সাইবার নিরাপত্তা বিশ্লেষক জেনিফার আলম। অনলাইনে কীভাবে নিরাপদ থাকবেন, সে ব্যাপারেও কিছু টিপস দিয়েছেন তিনি।

  • অনলাইনে দেখা যেকোনো তথ্যের সূত্র যাচাই করতে হবে। মূলধারার সংবাদমাধ্যম ও সংশ্লিষ্ট সূত্র ছাড়া কোনো তথ্য বিশ্বাস করবেন না।
  • বিশ্বস্ত সূত্র ছাড়া কোনো তথ্য বা সামাজিক বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করতে পারে, এমন কোনোকিছুই শেয়ার করবেন না।
  • যে আইডি বা অ্যাকাউন্ট থেকে তথ্য প্রকাশ করা হয়েছে, সেটি সত্যিকারের আইডি কি না, তা যাচাই করুন। ভুয়া কোনো স্ক্রিনশট কেউ ছড়াচ্ছে কি না, সেটিও যাচাই করতে হবে। কোনো বিশিস্ট ব্যক্তির আইডি হলে সেটি ভেরিফায়েড কি না, তা দেখতে হবে। ভেরিফায়েড পেজ বা আইডি হলে সেটি ওই ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের সত্যতা নিশ্চিত করে।

  • এই সময়ে অনেকেই অনেক লিংক শেয়ার করছেন। যেকোনো লিংকে ক্লিক করার আগে দেখে নিন এটা নিরাপদ কি না। কোনো লিংক বা ওয়েব ঠিকানা নিরাপদ কি না, তা পরীক্ষা করার বিভিন্ন সাইট আছে অনলাইনে।
  • কোনো পিডিএফ, ভিডিও বা লিংক প্রকাশ করলে সেগুলো নামানোর (ডাউনলোড) আগে পরীক্ষা করে দেখতে হবে, সেটায় কোনো ম্যালওয়ার আছে কি না। এ ক্ষেত্রে অ্যান্টি–ভাইরাসের হালনাগাদ সংস্করণ ব্যবহার করতে হবে।
  • বিনা মূল্যের গণ বা পাবলিক ওয়াই–ফাই ব্যবহার করা থেকে বিরত থাকুন।
  • তৃতীয় পক্ষের (থার্ড পার্টি) অ্যাপ ব্যবহার করা যাবে না।

  • মেধাস্বত্ব বা কপিরাইট আছে, এমন আধেয় বা কনটেন্ট শেয়ার করা যাবে না। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের ক্ষেত্রে তাদের ‘কমিউনিটি গাইডলাইন’ মেনে চলতে হবে।
  • অনলাইনে নিরাপদ থাকতে যেসব অ্যাপ আপনি ব্যবহার করছেন, সেগুলোর নিরাপত্তা–সুবিধাগুলো (সিকিউরিটি ফিচার) চালু করে রাখুন।
  • অপরিচিত কারও কাছ থেকে আসা ই–মেইল, সংযুক্ত ফাইল, লিংক, ভিডিও, ছবিতে ক্লিক না করাই ভালো।
  • আপনার ব্যাক্তিগত ওয়াই–ফাইয়ের পাসওয়ার্ড, সেলফোন এবং যেকোনো আইডির ওটিপি, পাসওয়ার্ড এবং কিউআর কোড কারও সঙ্গে কখনোই শেয়ার করবেন না। কাউকে এটি জানানোও যাবে না।
  • ব্যক্তিগত ছবি ও তথ্য আদান–প্রদান না করাই ভালো। এসব ব্যবহার করে কেউ ব্ল্যাকমেইল করতে পারে। এমন ঘটনা ঘটলে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সাহায্য নিন।