কুমিল্লার চান্দিনায় ঐতিহাসিক ৭ নভেম্বর বিপ্লব ও সংহতি দিবস পালিত

প্রকাশিত: ৮:৪৪ অপরাহ্ণ, নভেম্বর ৭, ২০২৪

 

এটিএম মাজহারুল ইসলাম, জেলা প্রতিনিধি (কুমিল্লা):

কুমিল্লা চান্দিনায় ঐতিহাসিক ৭ নভেম্বর বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভার আয়োজন করে কুমিল্লা উত্তর জেলা বিএনপি ও সহযোগী অঙ্গসংগঠন। কুমিল্লা উত্তর জেলা বিএনপির আহবায়ক জনাব আক্তারুজ্জামান সরকারের সভাপতিত্বে এবং কুমিল্লা উত্তর জেলা বিএনপির সদস্য সচিব জনাব এ.এফ.এম তারেক মুন্সীর সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন কুমিল্লা বিভাগ ও জাতীয় নির্বাহী কমিটি বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক অধ্যক্ষ সেলিম ভূইয়া।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে অধ্যক্ষ সেলিম ভূইয়া বলেন, শেখ মুজিব বাংলাদেশের মানুষের সাথে বিশ্বাস ঘাতকতা করেছেন। বাংলাদেশ স্বাধীন হউক সে চায়নি। সে চেয়েছে পাকিস্তানের মুখ্যমন্ত্রী হতে। তিনি আরো বলেন, শেখ মুজিব পাকিস্তানের সেনাবাহিনীর সাথে সমঝোতা করে পাকিস্তান চলে গেছেন। তিনি পাকিস্তান চলে যাওযার পরে শেখ হাসিনা সহ তার পরিবারকে পনেরো শত টাকায় পাকিস্তান সরকার একটা বাসা ভাড়া করে দিয়েছে। আসলে তারা ছিল মূলত পাকিস্তানের পক্ষের লোক। যতোবার আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় এসেছে, ততোবারই এদেশের মানুষের উপর পাকিস্তানীদের মতো নির্যাতন, হত্যা, লুটপাট করেছিল।

অনুষ্ঠানে প্রধান বক্তা হিসেবে ছিলেন কুমিল্লা বিভাগ ও জাতীয় নির্বাহী কমিটি বিএনপির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক হাজী মোস্তাক মিয়া এবং বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন- কুমিল্লা উত্তর জেলা বিএনপির যুগ্ম-আহবায়ক জনাব মোঃ আবুল হাসেম, কুমিল্লা উত্তর জেলা বিএনপির যুগ্ম-আহবায়ক জনাব সৈয়দ তৌফিক আহমেদ, কুমিল্লা উত্তর জেলা বিএনপির যুগ্ম-আহবায়ক জনাব বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ আব্বাস উদ্দিন আহমেদ, কুমিল্লা উত্তর জেলা বিএনপির যুগ্ম-আহবায়ক জনাব আতিকুল আলম শাওন, কুমিল্লা উত্তর জেলা বিএনপির যুগ্ম-আহবায়ক জনাব মোঃ মহিউদ্দিন সহ উত্তর জেলা বিএনপির নেতা-কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

আলোচনা সভায় বক্তারা বলেন, ঐতিহাসিক বিপ্লব ও সংহতি দিবস বাংলাদেশের রাজনীতিতে এ দিনটি অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ। ১৯৭৫ সালের এদিনে সিপাহি-জনতার ঐতিহাসিক বিপ্লব ঘটেছিল, যা দেশের তৎকালীন রাজনীতির গতিধারা পাল্টে দিয়ে দেশ ও জাতিকে নতুন পরিচয়ে অভিষিক্ত করেছিল।

তারা আরো বলেন, স্বাধীনতার ঘোষক হিসেবে সমাদৃত জিয়াউর রহমান বীর উত্তমকে বরং ইতিহাস থেকে মুছে ফেলার নানা চেষ্টা হয়েছে। আওয়ামী শাসনামলে দিবসটি স্বাচ্ছন্দ্যে উদ্যাপন করতে পারেনি। ঐতিহাসিক ৭ নভেম্বরের চেতনায় সব জাতীয়তাবাদী শক্তিকে গণতন্ত্রের পথচলাকে অবারিত এবং জাতীয় স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষা করতে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে।

আলোচনা সভা শেষে একটি বর্ণাঢ্য র‍্যালী বের করে প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিন করেন।