শীতকালীন পরিবেশ দূষণের অন্যতম কারণ ইটের ভাটা (পর্ব ৩)। মানিকগঞ্জ

প্রকাশিত: ১২:৫০ অপরাহ্ণ, জানুয়ারি ১৩, ২০২৫

 

বিশেষ প্রতিনিধি
ক্রাইম পেট্রোল ইনভেস্টিগেশন।

মানিকগঞ্জ বাংলাদেশের ঢাকা বিভাগের মানিকগঞ্জ জেলার সদরদপ্তর ও জেলা শহর। এটি রাজধানী ঢাকা থেকে ৫১ কিলোমিটার পশ্চিমে কালিগঙ্গা নদীর তীরে অবস্থিত। মানিকগঞ্জে কৃষিজমিতে গড়ে ওঠা শতাধিক ইটভাটার মাটি সংগ্রহের কারণে ক্রমেই হ্রাস পাচ্ছে জেলার তিন ফসলি জমি। বৈধ-অবৈধ শতাধিক ইটভাটায় বিপুল পরিমাণ মাটি ধ্বংসের কারণে আশেপাশের তিন ফসলি জমিগুলো রাতারাতি জলাশয়ে পরিণত হচ্ছে বলে অভিযোগ জেলাবাসীর। মানিকগঞ্জ সদর, হরিরামপুর, ঘিওর, শিবালয়, দৌলতপুর, সাটুরিয়া ও সিংগাইর উপজেলার কৃষকরা জানান, বৈধ-অবৈধ শতাধিক ইটভাটা কারণে প্রতি বছর শতাধিক বিঘা কৃষিজমি জলাশয়ে পরিণত হয়েছে। গত পনের বছর আওয়ামী লীগের লোকজন ইটভাটায় মাটি সরবরাহ করে কৃষিজমি ধ্বংস করেছেন। অবৈধ ইটভাটা বন্ধে উচ্চ আদালতের দেয়া রায়ের পর মানিকগঞ্জের সিংগাইরে ভাটা বন্ধে অভিযানের নামে প্রশাসন ও ইটভাটা মালিকদের মধ্যে শুরু হয়েছে লুকুচুরি খেলা। এতে সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের ভূমিকা নিয়ে ওঠেছে নানা প্রশ্ন। সংশ্লিষ্ট সুত্রে জানা গেছে, শুধু সিংরাই উপজেলায় তালিকাভুক্ত ৮১টি ইটভাটা রয়েছে। যার মধ্যে ৩৯ টির ইট পোড়ানোর লাইসেন্স আছে। বাকি ৪১ টির লাইসেন্স নেই। এছাড়া এক লাইসেন্সে একাধিক ভাটা পরিচালনা করায় প্রকৃত ইটভাটার সংখ্যা ১১২তে দাঁড়িয়েছে। যার ফলে দূষণের কবলে পড়েছে পুরো এলাকা। আবাসিক এলাকা ও ফসলি জমিতে এসব ইটভাটা গড়ে ওঠায় হ্রাস পেয়েছে শস্য উৎপাদন। নষ্ট হচ্ছে ক্ষেতের ফসল, বসতবাড়ির ফলজ-বনজ গাছপালা। হুমকির মুখে পড়েছে জনস্বাস্থ্য। ইট তৈরির প্রধান উপকরণ বিপুল পরিমাণ মাটির যোগান দিতে প্রতিবছরই ৫/৬ শ বিঘা ৩ ফসলি জমি জলাশয়ে পরিণত হচ্ছে। সুত্রমতে, আর্থিক সুবিধা ও রাজনৈতিক ছত্রছায়ায় সংশ্লিষ্ট প্রশাসনকে ম্যানেজ করে প্রভাবশালীরা বছরের পর বছর ভাটাগুলো দেদারছে চালিয়ে যাচ্ছেন বলে অভিযোগ রয়েছে।