নারায়ণগঞ্জ ফতুল্লা থানা’ দেলপাড়া এলাকায় শাশুরী ভাসুর কর্তৃক গৃহবধূ খুন। ক্রাইম পেট্রোল ক্রাইম পেট্রোল News প্রকাশিত: ৫:৩৫ অপরাহ্ণ, ডিসেম্বর ২৫, ২০২৪ বিশেষ প্রতিনিধিঃ এইচ,এম, রহমাতুল্লাহ গৃহবধূ খুনের ঘটনায় সাবেক সরকারের আমলে পুলিশ জনপ্রতিনিধি ও আওয়ামী সন্ত্রাসীদের অপরাধের মাত্রা লক্ষ্য করা যায়। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে ভুক্তভোগী পরিবার থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। মামলার প্রধান আসামী বিল্লাল শেখ আলিফা সুলতানা দোলাকে বেশ কয়েকবার ধর্ষন করার চেষ্টা করে আসছিলো এবং হত্যাকান্ডের দিন ধস্তাধস্তি দেখে ফেলে মা বিলকিস বেগম জোরে চিৎকার করলে বিল্লাল মুখ চেপে ধরে একপর্যায়ে শ্বাসরোধ হয়ে মারা যায়। বিলকিস বেগম লোকজনকে বলতে থাকেন আশিকের বউ স্ট্রোক করেছে দ্রুত হসপিটালে নিতে হবে। এদিকে দেশে চলছে কোটা আন্দোলন রাস্তাঘাটে বের হওয়া মুশকিল। দেলপাড়া কবরস্থান ও ঈদগাহ কমিটির দাফনের রশিদে উল্লেখ করা হয় মৃত্যুর কারণ অসুস্থ। বিভিন্ন সময় যৌতুকের জন্য আলিফা সুলতানা দোলাকে নির্যাতন করার অভিযোগ করেন থানা পুলিশের কাছে। এমনকি নির্যাতন বন্ধ করতে ভুক্তভোগী পরিবারটি ধাপে ধাপে ৪ লক্ষ টাকা দেয়। আলিফা সুলতানা দোলার স্বামী বিল্লাল শেখ সিঙ্গাপুর যাওয়ার মনস্থ করেন এবং উক্ত টাকা দাবী করেন। টাকা পেয়ে সিঙ্গাপুর চলে যায়। মৃত্যুর সনদে উল্লেখ করা হয় অসুস্থতার কারণে আলিফা সুলতানা দোলার মৃত্যু হয়েছে। বাপ্পি সরকারের সুরতহাল রিপোর্টে উল্লেখ করা হয় আলিফা সুলতানা দোলা আত্মহত্যা করেছে। জামান মেম্বার সিঙ্গাপুরের টাকার লোভে প্রশাসনকে প্রভাবিত করে তার নিজের কলুষিত স্বার্থ আদায় করেছে। বাপ্পি সরকারদের মত টাকার পুলিশের কারণে আলিফা সোল: দোলাদের পরিবার সাবেক সরকারের আমলে বিচার না পেয়ে ধাপে ধাপে আত্মহত্যার প্রবণতা সারা দেশে হু হু করে বৃদ্ধি পেয়েছে। মন্দের ভালো জামান মেম্বার মত রাজনৈতিক চরিত্রের কাল সাপেরা সারা দেশকে জিম্মি করে মানুষের অধিকার হরণের নেশায় মত্ত হয়ে ছিলো। তথাকথিত, জামান মেম্বারের অত্যাচারে এলাকায় অতিষ্ঠ ব্যক্তিরা আলিফা সু: দোলার হত্যাকান্ডের ঘটনা প্রত্যক্ষ করেও মুখ খোলার সাহস পায় নি। প্রত্যক্ষদর্শী, মাইনুদ্দীন ঢালী বলেন, মসজিদ থেকে নামাজ আদায় করে ফিরার পথে শুনতে পায় পশ্চিম দেলপাড়া, আল মদিনা মসজিদ, এলাকার মৃত ইদ্রিস শেখের বাড়িতে আশিক শেখের স্ত্রী আলিফা সু: দোলাকে ফাঁসির দড়িতে ঝুলিয়ে মেরে ফেলেছে এমন খবর মসজিদ এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে এর কারণ জানতে আমরা উপস্থিত হই এবং ১. বিলকিস বেগম ২. তার পুত্র ৩. বিল্লাল শেখ ৪.আক্তার শেখ গং বলেন, স্ট্রোক করেছ তাই ডাক্তারের কাছে নিয়ে যাবো, তাদের এমন কথায় সন্দেহ বেড়ে যায় এবং ভিতরে প্রবেশ করে দেখি ফ্যানের সাথে উড়না ঝুলানো আর ঝুলানোর উড়না গলায় ফাসের জায়গায় কাটা। ইদ্রিস শেখের পরিবারের লোকেরা স্ট্রোক করেছে এমনটা শুনে উত্তরে প্রশ্ন করেন, ফাঁসির দড়ি ফ্যানে ঝুলানো এবং দরজা কিভাবে খোলা হয়েছে এর উত্তরে তারা তখন চুপচাপ ছিলো। একপর্যায়ে কথিত জামান মেম্বারগংরা এসে এলাকার হত্যাকান্ডের বিচার চাওয়া জনগণকে জানায়, আমরা প্রত্যক্ষদর্শী না এই বলে ঘটনাস্থল ত্যাগ করে। এমতাবস্থায় জনগণ আর সাংবাদিকরা মিলে প্রকাশ্য হত্যাকান্ডের প্রতিবাদী স্লোগান তুলেন দোলা হত্যার বিচার চাই আর হত্যাকারীর ফাসি চাই এই স্লোগান শুনামাত্রই কিলঘুষি দেয় ক্যামেরা ভেঙ্গে ফেলার চেষ্টা করে লাঠিসোটা দিয়ে প্রতিবাদী জনতার উপরে আক্রমন চালায় আর এ দিকে কথিত জামান মেম্বার নিরব ভুমিকা দেখিয়ে কেটে পড়েন। ভিডিওকারীর উপর আক্রমণের চিত্র আর টাকায় কেনা লোকদের অত্যাচারের ভয়ে কেউ মুখ খোলার সাহস করে নি। সুশীল সমাজ মন্তব্য করেন, দেশের প্রধান বিচার বিভাগ সহ সারা দেশের বিচার ব্যবস্থা ন্যাক্কারজনক পরিস্থিতি তৈরী হয়ছে ইতিমধ্যে তাহা দিবালোকের ন্যায় স্পষ্ট। যার ফলশ্রুতিতে টাকা আর ক্ষমতালোভী অপরাধীরা হত্যাকারীদের বাচাতে যেয়ে নিজেরা বড় অপরাধ করার সুযোগ পেয়েছে। আর এই অপরাধের দ্বায় কেউ এড়াতে পারে না। এর সঠিক বিচার হওয়া উচিত” এমনকি এদের কারণে দেশে অপরাধের মাত্রা দিন দিন বৃদ্ধি পেয়েছে এবং সাধারণ ভুক্তভোগী জনগণ কোনঠাসা হয়েছিলো। SHARES অপরাধ/দূর্নীতি বিষয়: