অনিরাপদ হাতিরঝিল!! ইতি মধ্যে মিলেছে ৩০ টির ও বেশি লাশ। বিপাকে জনসাধারণ

প্রকাশিত: ১২:১৫ পূর্বাহ্ণ, জানুয়ারি ১৬, ২০২৫

 

বিশেষ প্রতিনিধি
ক্রাইম পেট্রোল ইনভেস্টিগেশন।

রাজধানীর বিনোদন কেন্দ্রের অন্যতম স্থান হাতিরঝিল। নগরবাসীর পাশাপাশি সব শ্রেণীর মানুষের কাছে খুবই প্রিয় এই স্থান। নিরাপদ হয়ে উঠছে স্থানটি। অপরিচ্ছন্নতা সহ নানা সমস্যার কারণে এটির সৌন্দর্য ও ঐতিহ্য নষ্ট হচ্ছে দিন দিন। বিশেষ করে ঝিলের পানির দুর্গন্ধ ছিনতাইসহ নানা কারণে এখানে আগের চেয়ে নগরবাসীর আনাগোনা কমেছে। অথচ হাতিরঝিল রক্ষায় ও নিরাপত্তার জন্য রয়েছে ১৪৫ নিরাপত্তা কর্মী এবং পরিছন্নতায় রয়েছে ৫৬ জন।খরচ হচ্ছে ২৫ লাখ টাকা। তারপরও নিরাপত্তা ও অপরিচ্ছন্নতায় ছেয়ে আছে হাতিরঝিল।

দিনের বেলা হাতিরঝিলের সৌন্দর্যের তেমন কমতি না থাকলেও রাতে হয়ে ওঠে এক ভয়ঙ্কর স্থান। হাতিরঝিল চালু হওয়ার পর এখন পর্যন্ত লেক থেকে উদ্ধার হয়েছে প্রায় ৩০ জনের মরদেহ। এবং ছিনতাই এর ঘটনা তো নিত্য দিনের ব্যাপার। ফলে নগরবাসীর প্রশ্ন এখানে যদি পর্যাপ্ত নিরাপত্তাই না থাকে তাহলে এত নিরাপত্তা কর্মী ও লাখ লাখ টাকা খরচ করে লাভ কি হচ্ছে? হাতিরঝিলে আসা দর্শনার্থী ও সড়কের যানবাহন চলাচলকারীরা জানান এটি রাজধানীর সবচেয়ে সুন্দর স্থান হলেও এখানে এলেই আতংকে থাকতে হয়। পরিবার-পরিজন নিয়ে হাতিরঝিলে একটু সময় পার করতে এসে বিপদে পড়তে হয় অনেককে। আর তাছাড়া রাতের বেলা বেড়ে যায় কিশোরগেঙ্গের তৎপরতা। আর কিশোর গেঙ্গের কারণে প্রতিনিয়তই বাড়ছে হাতিরঝিলের অস্থিরতা। বর্তমানে হাতিরঝিলে যারা বেড়াতে আসছেন তারা নানা কারণে চাহিদা অনুযায়ী বিনোদন করতে পারছে না। উদ্বোধনের পর থেকেই নগরবাসীর আনন্দের জায়গা দখল করে নিয়েছিল হাতিরঝিল। সকাল সন্ধ্যা ঝিলে ভ্রমণে যারা আসেন দুর্গন্ধে মহা বিলম্বনায় পরেন।
এ বিষয়ে রাজউক চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল মাহমুদ সিদ্দিকুর রহমান সরকার (অব:) বলেন, নিরাপত্তা যাতে কোনোভাবেই বিঘ্নিত না হয় সে জন্য ইতিমধ্যে আনসারদের দায়িত্ব দেয়া সহ নানা উদ্বেগ নেয়া হয়েছে। আশা করি দ্রুত দর্শনার্থীদের সব সমস্যার সমাধান হবে। তবে এলাকার মানুষের আরও সচেতন হতে হবে। যাতে তারা ময়লা ফেলে হাতিরঝিলে পরিবেশ নষ্ট না করে।