মাইক্রোবাস দুর্ঘটনায় নিহত ৭ জন একই পরিবারের ক্রাইম পেট্রোল ক্রাইম পেট্রোল News প্রকাশিত: ১১:১৫ অপরাহ্ণ, জুন ২২, ২০২৪ বরগুনার আমতলীতে লোহার সেতু ভেঙে মাইক্রোবাস খালে পড়ে নিহত ৯ জনের পরিচয় পাওয়া গেছে। নিহত ৯ জনের মধ্যে ৭ জনই একই পরিবারের সদস্য। অপর দুজনও তাদের আত্মীয়। শনিবার (২২ জুন) দুপুরে উপজেলার হলদিয়া-চাওড়া সীমান্তবর্তী চাওড়া হলদিয়া খালের ওপর লোহার সেতু ভেঙে মাইক্রোবাসসহ খালে পড়ে তাদের মৃত্যু হয়। নিহতদের মধ্যে ৭ জন মাদারীপুরের শিবচর উপজেলার ভদ্রাসন ইউনিয়নের সাহাপাড়া এলাকার সাবেক সেনা সদস্য মাহাবুবুর রহমান সবুজের পরিবারের সদস্য। মাহাবুব তার খালাতো বোনের বিয়েতে পরিবারের সবাইকে নিয়ে এসেছেন। অপর দুজন আমতলীর দক্ষিণ তক্তাবুনিয়া এলাকার জহিরুল ইসলামের স্ত্রী ও মেয়ে। তারাও মাহাবুবের আত্মীয়। নিহতরা হলেন- মাহাবুবের ভাই সোহেলের স্ত্রী রাইতি (৩০), সোহেলের শাশুড়ি রুমি বেগম (৪০), মাহাবুবের মা ফরিদা বেগম (৪০), মামি মুন্নি বেগম (৪০), মুন্নি বেগমের মেয়ে তাহিয়া (৭), তাসদিয়া (১১), আরেক মামি ফাতেমা বেগম (৪০), আমতলীর দক্ষিণ তক্তাবুনিয়ার জহিরুল ইসলামের স্ত্রী জাকিয়া এবং মেয়ে রিদি (৫)। এদিকে দুর্ঘটনার খবর গ্রামের বাড়িতে পৌছালে শোকের মাতম উঠে বাড়িতে। শোকে স্তদ্ধ হয়ে পড়ে গোটা এলাকা। এলাকাবাসী এসে ভিড় জমায় মাহাবুবুর রহমান সবুজের বাড়িতে। নিহত ফাতেমা বেগমের স্বামী বাবুল মাদবর বলেন, ‘আমার সব শেষ হয়ে গেল। ওরা বিয়ের আনন্দ করতে গিয়ে লাশ হয়ে ফিরছে। এই দুঃখ আমি কোথায় রাখি।’ নিহত ফরিদা বেগমের ছেলে মাহাবুব খান ফোনে বলেন, ‘আমরা বুধবার এসে শুক্রবার বিয়ে হয়। আজ বৌভা যাওয়ার পথে মর্মান্তিক এ দুর্ঘটনা ঘটে।’ ভদ্রাসন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুর রহিম বেপারী বলেন, ‘আমরা খবর পেয়েই বাড়িতে এসেছি। আসলে এতো বড় দূর্ঘটনায় আমরা বাকরুদ্ধ হয়ে পড়েছি। এখন তাদের মরদেহ বাড়িতে আনা হচ্ছে। রবিবার সকাল ৯টায় জানাজা অনুষ্ঠিত হবে।’ SHARES দুর্ঘটনা বিষয়: বরগুনামাইক্রোবাস দুর্ঘটনা
বরগুনার আমতলীতে লোহার সেতু ভেঙে মাইক্রোবাস খালে পড়ে নিহত ৯ জনের পরিচয় পাওয়া গেছে। নিহত ৯ জনের মধ্যে ৭ জনই একই পরিবারের সদস্য। অপর দুজনও তাদের আত্মীয়। শনিবার (২২ জুন) দুপুরে উপজেলার হলদিয়া-চাওড়া সীমান্তবর্তী চাওড়া হলদিয়া খালের ওপর লোহার সেতু ভেঙে মাইক্রোবাসসহ খালে পড়ে তাদের মৃত্যু হয়।
নিহতদের মধ্যে ৭ জন মাদারীপুরের শিবচর উপজেলার ভদ্রাসন ইউনিয়নের সাহাপাড়া এলাকার সাবেক সেনা সদস্য মাহাবুবুর রহমান সবুজের পরিবারের সদস্য। মাহাবুব তার খালাতো বোনের বিয়েতে পরিবারের সবাইকে নিয়ে এসেছেন। অপর দুজন আমতলীর দক্ষিণ তক্তাবুনিয়া এলাকার জহিরুল ইসলামের স্ত্রী ও মেয়ে। তারাও মাহাবুবের আত্মীয়।
নিহতরা হলেন- মাহাবুবের ভাই সোহেলের স্ত্রী রাইতি (৩০), সোহেলের শাশুড়ি রুমি বেগম (৪০), মাহাবুবের মা ফরিদা বেগম (৪০), মামি মুন্নি বেগম (৪০), মুন্নি বেগমের মেয়ে তাহিয়া (৭), তাসদিয়া (১১), আরেক মামি ফাতেমা বেগম (৪০), আমতলীর দক্ষিণ তক্তাবুনিয়ার জহিরুল ইসলামের স্ত্রী জাকিয়া এবং মেয়ে রিদি (৫)। এদিকে দুর্ঘটনার খবর গ্রামের বাড়িতে পৌছালে শোকের মাতম উঠে বাড়িতে। শোকে স্তদ্ধ হয়ে পড়ে গোটা এলাকা। এলাকাবাসী এসে ভিড় জমায় মাহাবুবুর রহমান সবুজের বাড়িতে।
নিহত ফাতেমা বেগমের স্বামী বাবুল মাদবর বলেন, ‘আমার সব শেষ হয়ে গেল। ওরা বিয়ের আনন্দ করতে গিয়ে লাশ হয়ে ফিরছে। এই দুঃখ আমি কোথায় রাখি।’ নিহত ফরিদা বেগমের ছেলে মাহাবুব খান ফোনে বলেন, ‘আমরা বুধবার এসে শুক্রবার বিয়ে হয়। আজ বৌভা যাওয়ার পথে মর্মান্তিক এ দুর্ঘটনা ঘটে।’
ভদ্রাসন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুর রহিম বেপারী বলেন, ‘আমরা খবর পেয়েই বাড়িতে এসেছি। আসলে এতো বড় দূর্ঘটনায় আমরা বাকরুদ্ধ হয়ে পড়েছি। এখন তাদের মরদেহ বাড়িতে আনা হচ্ছে। রবিবার সকাল ৯টায় জানাজা অনুষ্ঠিত হবে।’