ঝরে গেছে ৪৬ টি তাজা প্রান, শোকাবহ দেশ,শোকাহত জাতি

প্রকাশিত: ৩:১০ অপরাহ্ণ, মার্চ ২, ২০২৪

এরশাদুল হক দুলাল(প্রধান বার্তা সম্পাদক) : রাজধানীর বেইলি রোডস্হ গ্রীন কটেজে ২৯ ফেব্রুয়ারি ভয়াবহ আগুনে পুড়ে ঝরে গেছে ৪৬ টি তাজা প্রাণ।সরে জমিন পরিদর্শন করে জানা গেছে -২৯ ফেব্রুয়ারি রাত অনুমান ০৯:৫৫ ঘটিকায় ভবনটির গ্রাউন্ড ফ্লোরে গ্যাস সিলিন্ডার লিক হয়ে বিস্ফোরণের মাধ্যমে আগুনের সূত্রপাত হয়। ফায়ার সার্ভিসের বিভিন্ন ইউনিট প্রায় ২ ঘন্টা চেষ্টা করে ১২:১৫ মিনিট এর সময় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। তাৎক্ষনিক ঘটনাস্থলে ৪৪ জন মারা যায় এবং ১৪ জন আগুনে পুড়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়। পরে হাসপাতালে আরও দু,জন মারা যায়। এই রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত সর্বমোট ৪৪ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। ১২জন মেডিকেলে আশঙ্কা জনক অবস্থায় রয়েছে। সরকারের পক্ষ থেকে ইতোমধ্যে একটি শক্তিশালী তদন্ত টিম গঠন করা হয়েছে। তাদের তদন্ত অব্যাহত রয়েছে। ইতোমধ্যে ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের মেয়র ঘটনাস্থান পরিদর্শন করেছেন।তিনি বলেছেন -ভবনটি বিল্ডিং কোড মেনে না চলায় এ দুর্ঘটনা ঘটেছে। তাছাড়া বিকল্প সিঁড়ি থাকার কথা থাকলেও ভবন কর্তৃপক্ষ বিকল্প সিড়ি তৈরি করেননি। এটা তাদের অপরাধ। বিদেশে অবস্থানরত বাংলাদেশী বিভিন্ন শ্রেণীর পেশার কয়েকজন ব্যক্তির সাথে আলাপ করে জানা যায় -বিদেশে বিল্ডিং করার সময় মাঝখানে ৬০/৮০ফিট ফাঁকা রাখা হয়। যাতে ফায়ার সার্ভিস ও এম্বুলেন্স কোন দুর্ঘটনা দ্রুত নিয়ন্ত্রণে আনতে পারে। বেইলি রোডে অবস্থিত কয়েকজন বাড়িওয়ালা জানান -শতাধিক হোটেল রেস্টুরেন্ট রয়েছে বেইলি রোডে। যাদের অধিকাংশই ঝুঁকিপূর্ণ। রাজধানীর বেইলি রোড, খিলগাঁও তালতলা সহ এ সকল ঝুঁকিপূর্ণ রেস্টুরেন্ট এর বিরুদ্ধে সরকারের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া প্রয়োজন। নইলে এর দায় সরকারকেই নিতে হবে বলে জানিয়েছেন সচেতন মহল।তদন্তে জানা যায় এই ভবনে ১৫ টি রেস্টুরেন্ট ছিল যাদের অনেকাংশে কোন সঠিক অনুমোদন ছিলনা।