ঈদুল আজহায় যাতায়াতে সড়কে ঝরল ৪৫৮ প্রাণ ক্রাইম পেট্রোল ক্রাইম পেট্রোল News প্রকাশিত: ৯:৪৩ অপরাহ্ণ, জুন ২৬, ২০২৪ নিজস্ব প্রতিবেদক এবারের ঈদুল আজহায় যাতায়াতে দেশের সড়ক-মহাসড়কে ৩০৯টি সড়ক দুর্ঘটনায় ৪৫৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। এসব দুর্ঘটনায় আহত হয়েছে অন্তত আরো এক হাজার ৮৪০ জন। এ সময় রেলপথে ২২টি দুর্ঘটনায় ২০ জন নিহত, চারজন আহত হয়েছে। নৌপথে ছয়টি দুর্ঘটনায় ১০ জন নিহত, ছয়জন আহত এবং ছয়জন নিখোঁজ রয়েছে। সড়ক, রেল ও নৌ পথে সম্মিলিতভাবে ৩৩৭টি দুর্ঘটনায় ৪৮৮ জন নিহত ও ১৮৫০ জন আহত হয়েছে।বাংলাদেশ যাত্রীকল্যাণ সমিতির প্রতিবেদনে এমন তথ্য উঠে এসেছে। আজ বুধবার (২৬ জুন) বাংলাদেশ ফটো জার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশন মিলনায়তনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে সংগঠনের মহাসচিব মো. মোজাম্মেল হক চৌধুরী প্রতিবেদন তুলে ধরেন।সমিতির পর্যবেক্ষণে দেখা গেছে, ঈদ যাত্রা শুরুর দিন ১০ জুন থেকে ঈদ শেষে কর্মস্থলে ফেরা ২৪ জুন পর্যন্ত গত ১৫ দিনে সংবাদপত্রে প্রকাশিত তথ্য মতে ৩০৯টি সড়ক দুর্ঘটনায় ৩৩৬ জন নিহত ও ৭৬২ জন আহত হয়েছে। অপরদিকে ঢাকার পঙ্গু হাসপাতালের তথ্য অনুযায়ী ঈদের আগে-পরে ১৪ দিনে ১০৭৮ জন সড়ক দুর্ঘটনায় রোগী ভর্তি হয়েছে। যার মধ্যে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় আহত হয়ে হাত বা পা ভেঙে ভর্তি রোগী ৪৭৮ জন।বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার হিসাব বলছে, সড়ক দুর্ঘটনায় আহত রোগীর ১৫ শতাংশ হাসপাতালে অথবা বাসায় চিকিৎসারত অবস্থায় মারা যায়। সেই হিসাবে এবারের ঈদে ৪৫৮ জন নিহত ও ১৮৪০ জন আহত হয়েছে। দেশে প্রায় ৯ হাজার সরকারি-বেসরকারি হাসপাতাল রয়েছে। এসব হাসপাতালে ঈদের আগে-পরে ১৫ দিনে সড়ক দুর্ঘটনায় আক্রান্ত কতজন রোগী ভর্তি হয়েছে তা জানানোর জন্য বিআরটিএর কাছে দাবি জানাচ্ছি।গত ২০২৩ সালের ঈদুল আজহার যাতায়াতের সঙ্গে তুলনা করলে এবারের ঈদে সড়ক দুর্ঘটনা ১১.৫৫ শতাংশ, প্রাণহানি ৫৩.১৭ শতাংশ, আহত ২৩৮.২৩ শতাংশ বেড়েছে।প্রতিবেদন অনুযায়ী দুর্ঘটনার শীর্ষে রয়েছে মোটরসাইকেল। পর্যবেক্ষণে দেখা যায়, ১৩২ মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় ১৩০ জন নিহত, আহত হয়েছে ৫৯৯ জন। যা মোট দুর্ঘটনার ৪২.৭১ শতাংশ, মোট নিহতের ২৮.৩৮ শতাংশ, মোট আহতের ৩২.৫৫ শতাংশ।এই সময় সড়কে দুর্ঘটনায় ৫১ জন চালক, ১১ জন পরিবহন শ্রমিক, ৪৮ জন পথচারী, ৬১ জন নারী, ২৪ জন শিশু, ১৪ জন শিক্ষার্থী, ১ জন আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য (সেনাবাহিনী), তিনজন শিক্ষক, দুইজন মুক্তিযোদ্ধা, তিনজন বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মী নিহত হওয়ার পরিচয় মিলেছে।সংঘটিত দুর্ঘটনার ২৫.২৪ শতাংশ মুখোমুখি সংঘর্ষ, ৫১.১৩ শতাংশ গাড়ি চাপা দেওয়ার ঘটনা, ২১.০৩ শতাংশ নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে খাদে পড়ার ঘটনা, ০.৩২ শতাংশ ট্রেনের সঙ্গে যানবাহনের সংঘর্ষের ঘটনা, চাকায় ওড়না পেঁচিয়ে ০.৬৪ শতাংশ এবং ১.৬১ শতাংশ অন্যান্য অজ্ঞাত কারণে দুর্ঘটনা সংঘটিত হয়েছে।দুর্ঘটনার ধরন বিশ্লেষণে দেখা গেছে, মোট সংঘটিত দুর্ঘটনার ৪০.১২ শতাংশ জাতীয় মহাসড়কে, ২২.৯৭ শতাংশ আঞ্চলিক মহাসড়কে, ৩১.৩৯ শতাংশ সংযোগ সড়কে সংঘটিত হয়। ০.৩২ শতাংশ রেলক্রসিং, এ ছাড়া সারা দেশে সংঘটিত মোট দুর্ঘটনার ৪.৮৫ শতাংশ ঢাকা মহানগরীতে ও ০.৩২ শতাংশ চট্টগ্রাম মহানগরীতে সংঘটিত হয়েছে। এবার ঈদে সড়ক দুর্ঘটনার পেছনে কারণ বলা হচ্ছে; ঈদের তিন দিন আগে থেকে জাতীয় মহাসড়কে ট্রাক ও কাভার্ড ভ্যান চলাচলের নিষেধাজ্ঞা অমান্য। দেশের সড়ক-মহাসড়কে মোটরসাইকেল, ইজিবাইক ও অটোরিকশা অবাধে চলাচল। অতিরিক্ত গতি, মহাসড়কের নির্মাণত্রুটি, যানবাহনের ত্রুটি, ট্রাফিক আইন অমান্য করার প্রবণতা। উল্টোপথে যানবাহন চালানো, সড়কে চাঁদাবাজি, পণ্যবাহী যানে যাত্রী পরিবহন এবং অদক্ষ চালক, ফিটনেসবিহীন যানবাহন, অতিরিক্ত যাত্রী বহন অন্যতম। SHARES দুর্ঘটনা বিষয়: ঈদ যাত্রা
এবারের ঈদুল আজহায় যাতায়াতে দেশের সড়ক-মহাসড়কে ৩০৯টি সড়ক দুর্ঘটনায় ৪৫৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। এসব দুর্ঘটনায় আহত হয়েছে অন্তত আরো এক হাজার ৮৪০ জন। এ সময় রেলপথে ২২টি দুর্ঘটনায় ২০ জন নিহত, চারজন আহত হয়েছে। নৌপথে ছয়টি দুর্ঘটনায় ১০ জন নিহত, ছয়জন আহত এবং ছয়জন নিখোঁজ রয়েছে।
সড়ক, রেল ও নৌ পথে সম্মিলিতভাবে ৩৩৭টি দুর্ঘটনায় ৪৮৮ জন নিহত ও ১৮৫০ জন আহত হয়েছে।বাংলাদেশ যাত্রীকল্যাণ সমিতির প্রতিবেদনে এমন তথ্য উঠে এসেছে। আজ বুধবার (২৬ জুন) বাংলাদেশ ফটো জার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশন মিলনায়তনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে সংগঠনের মহাসচিব মো. মোজাম্মেল হক চৌধুরী প্রতিবেদন তুলে ধরেন।সমিতির পর্যবেক্ষণে দেখা গেছে, ঈদ যাত্রা শুরুর দিন ১০ জুন থেকে ঈদ শেষে কর্মস্থলে ফেরা ২৪ জুন পর্যন্ত গত ১৫ দিনে সংবাদপত্রে প্রকাশিত তথ্য মতে ৩০৯টি সড়ক দুর্ঘটনায় ৩৩৬ জন নিহত ও ৭৬২ জন আহত হয়েছে।
অপরদিকে ঢাকার পঙ্গু হাসপাতালের তথ্য অনুযায়ী ঈদের আগে-পরে ১৪ দিনে ১০৭৮ জন সড়ক দুর্ঘটনায় রোগী ভর্তি হয়েছে। যার মধ্যে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় আহত হয়ে হাত বা পা ভেঙে ভর্তি রোগী ৪৭৮ জন।বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার হিসাব বলছে, সড়ক দুর্ঘটনায় আহত রোগীর ১৫ শতাংশ হাসপাতালে অথবা বাসায় চিকিৎসারত অবস্থায় মারা যায়। সেই হিসাবে এবারের ঈদে ৪৫৮ জন নিহত ও ১৮৪০ জন আহত হয়েছে।
দেশে প্রায় ৯ হাজার সরকারি-বেসরকারি হাসপাতাল রয়েছে। এসব হাসপাতালে ঈদের আগে-পরে ১৫ দিনে সড়ক দুর্ঘটনায় আক্রান্ত কতজন রোগী ভর্তি হয়েছে তা জানানোর জন্য বিআরটিএর কাছে দাবি জানাচ্ছি।গত ২০২৩ সালের ঈদুল আজহার যাতায়াতের সঙ্গে তুলনা করলে এবারের ঈদে সড়ক দুর্ঘটনা ১১.৫৫ শতাংশ, প্রাণহানি ৫৩.১৭ শতাংশ, আহত ২৩৮.২৩ শতাংশ বেড়েছে।প্রতিবেদন অনুযায়ী দুর্ঘটনার শীর্ষে রয়েছে মোটরসাইকেল। পর্যবেক্ষণে দেখা যায়, ১৩২ মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় ১৩০ জন নিহত, আহত হয়েছে ৫৯৯ জন।
যা মোট দুর্ঘটনার ৪২.৭১ শতাংশ, মোট নিহতের ২৮.৩৮ শতাংশ, মোট আহতের ৩২.৫৫ শতাংশ।এই সময় সড়কে দুর্ঘটনায় ৫১ জন চালক, ১১ জন পরিবহন শ্রমিক, ৪৮ জন পথচারী, ৬১ জন নারী, ২৪ জন শিশু, ১৪ জন শিক্ষার্থী, ১ জন আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য (সেনাবাহিনী), তিনজন শিক্ষক, দুইজন মুক্তিযোদ্ধা, তিনজন বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মী নিহত হওয়ার পরিচয় মিলেছে।সংঘটিত দুর্ঘটনার ২৫.২৪ শতাংশ মুখোমুখি সংঘর্ষ, ৫১.১৩ শতাংশ গাড়ি চাপা দেওয়ার ঘটনা, ২১.০৩ শতাংশ নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে খাদে পড়ার ঘটনা, ০.৩২ শতাংশ ট্রেনের সঙ্গে যানবাহনের সংঘর্ষের ঘটনা, চাকায় ওড়না পেঁচিয়ে ০.৬৪ শতাংশ এবং ১.৬১ শতাংশ অন্যান্য অজ্ঞাত কারণে দুর্ঘটনা সংঘটিত হয়েছে।দুর্ঘটনার ধরন বিশ্লেষণে দেখা গেছে, মোট সংঘটিত দুর্ঘটনার ৪০.১২ শতাংশ জাতীয় মহাসড়কে, ২২.৯৭ শতাংশ আঞ্চলিক মহাসড়কে, ৩১.৩৯ শতাংশ সংযোগ সড়কে সংঘটিত হয়। ০.৩২ শতাংশ রেলক্রসিং, এ ছাড়া সারা দেশে সংঘটিত মোট দুর্ঘটনার ৪.৮৫ শতাংশ ঢাকা মহানগরীতে ও ০.৩২ শতাংশ চট্টগ্রাম মহানগরীতে সংঘটিত হয়েছে। এবার ঈদে সড়ক দুর্ঘটনার পেছনে কারণ বলা হচ্ছে; ঈদের তিন দিন আগে থেকে জাতীয় মহাসড়কে ট্রাক ও কাভার্ড ভ্যান চলাচলের নিষেধাজ্ঞা অমান্য। দেশের সড়ক-মহাসড়কে মোটরসাইকেল, ইজিবাইক ও অটোরিকশা অবাধে চলাচল। অতিরিক্ত গতি, মহাসড়কের নির্মাণত্রুটি, যানবাহনের ত্রুটি, ট্রাফিক আইন অমান্য করার প্রবণতা। উল্টোপথে যানবাহন চালানো, সড়কে চাঁদাবাজি, পণ্যবাহী যানে যাত্রী পরিবহন এবং অদক্ষ চালক, ফিটনেসবিহীন যানবাহন, অতিরিক্ত যাত্রী বহন অন্যতম।