রোজার মাসে কঠোর অবস্থানে থাকবে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতর।

প্রকাশিত: ১০:২৭ পূর্বাহ্ণ, ফেব্রুয়ারি ৭, ২০২৩
নিজস্ব প্রতিবেদক : পণ্য মজুত করে কেউ যাতে বাজার অস্থিতিশীল করতে না পারে, সেজন্য রোজার মাসে কঠোর অবস্থানে থাকবে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতর। সোমবার (৬ ফেব্রুয়ারি) অধিদফতরের প্রধান কার্যালয়ে মসলা ব্যবসায়ীদের অংশগ্রহণে এক মতবিনিময় সভায় এসব কথা বলেন অধিদফতরের মহাপরিচালক এ এইচ এম সফিকুজ্জামান।
তিনি বলেন, ‘বাজার অস্থিতিশীল করতে যারা পণ্য মজুত করবে, তাদের বিরুদ্ধে ফৌজদারি অপরাধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
মহাপরিচালক বলেন, ‘মূল্য তালিকা নিশ্চিত করবে বাজার কমিটি। নিশ্চিত করতে না পারলে বাজার কমিটির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
সফিকুজ্জামান বলেন, ‘এবার রমজানে কঠোর অবস্থানে যাবে ভোক্তা অধিকার অধিদফতর। গোয়েন্দা সংস্থা দিয়ে তথ্য নেওয়া হচ্ছে। তবে শুধু আইন প্রয়োগ করে সম্ভব না, নিজেরা সচেতন হতে হবে।’
ডিজি বলেন, ‘গরম মসলার বাজার বেশ কয়েকদিন ধরে অস্থির দেখা যাচ্ছে। আসন্ন রমজান মাসকে কেন্দ্র করে গরম মসলার বাজার যেন অস্থির না হয়, সেই লক্ষ্যে এই সভার আয়োজন করা হয়েছে। আমরা দেখছি, ইতোমধ্যে জিরার দাম অস্বাভাবিকভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। আসন্ন রমজান মাসকে কেন্দ্র করে গরম মসলার বাজার স্থিতিশীল রাখতে হবে।’
তিনি বলেন, ‘অসাধু ব্যবসায়ীরা যদি রমজানে গরম মসলার দাম বৃদ্ধি করেন, তাহলে আমরা অভিযানের পাশাপাশি কঠোর আইনি ব্যবস্থা নেবো। এছাড়া ফুডগ্রেড রঙয়ের পরিবর্তে যদি গার্মেন্টসের রঙ খাবারে মেশানো হয়, তাহলেও আমরা কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করবো। এছাড়া বাজারে পণ্য বিক্রির ক্ষেত্রে মূল্য তালিকা থাকতে হবে।’
ডিজি জানান, আসন্ন রমজানে নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের মূল্য স্থিতিশীল ও সরবরাহ স্বাভাবিক রাখার লক্ষ্যে সবার সঙ্গে সমন্বয় করে নিবিড়ভাবে বাজার অভিযান পরিচালনা জোরদার করা হবে। এলসি খোলার ক্ষেত্রে যে জায়গায় জটিলতা হচ্ছে, তা অধিদফতরকে জানালে অধিদফতর সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দৃষ্টিতে বিষয়টি আনবে।’

তিনি বলেন, ‘পণ্য মজুত রেখে বাজার অস্থিতিশীল করা হলে অসাধু ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে অধিদফতর কঠোর ব্যবস্থা নেবে। প্রতিটি বাজার কমিটিকে নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের মূল্য তালিকা প্রদর্শন নিশ্চিত করতে হবে। এক্ষেত্রে যেসব বাজারে মূল্য তালিকা প্রদর্শন করা হবে না, সেক্ষেত্রে অধিদফতর ওই বাজার কমিটিকে বিলুপ্ত করার বিষয়ে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে প্রস্তাব করবে।’ তাছাড়া ব্যবসায়ীদের পবিত্র রমজানকে হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করে নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের মূল্য অস্থিতিশীল করা থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানান।
এলসির জটিলতা নিয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের সঙ্গে কাজ করা হচ্ছে জানিয়ে এ এইচ এম সফিকুজ্জামান বলেন, ‘আশা করা যায়, এলসির জটিলতা কেটে যাবে। রাজস্বের ক্ষেত্রে একটি স্থির রেট ধরে দেওয়ার বিষয়টি বিবেচনা করা যায়।’
ভোক্তা অধিকারের পরিচালক মনজুর মোহাম্মদ শাহরিয়ার বলেন, ‘ক্রয় ও বিক্রয়ের রশিদ রাখতে হবে। সম্মিলিত প্রচেষ্টা থাকলে বাজার নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব।’
আলোচনা শেষে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতরের ডিজি আসন্ন রমজান উপলক্ষে মসলাসহ নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের মূল্য যেন বৃদ্ধি না পায়, সে বিষয়ে সবার সমন্বিতভাবে কাজ করার আশাবাদ ব্যক্ত করেন।