যমুনা নদী ছোট করার প্রকল্পের সকল নথি সহ আগামী ১১ জুনের মধ্যে পানি উন্নয়ন বোর্ডকে তলব করেছেন হাইকোর্ট।

প্রকাশিত: ৫:০৫ অপরাহ্ণ, মে ২৯, ২০২৩

স্টাফ রিপোর্টার : যমুনা নদী ছোট করার প্রকল্পের সকল নথি তলব করেছেন হাইকোর্ট। আগামী ১১ জুনের মধ্যে পানি উন্নয়ন বোর্ডকে (পাউবো) এসব নথি আদালতে দাখিল করতে নির্দেশ দেয়া হয়েছে। রবিবার (২৮ মে) জনস্বার্থে করা এক রিটের প্রাথমিক শুনানির পর, বিচারপতি ফারাহ মাহবুব ও বিচারপতি মোহাম্মদ মাহবুবউল ইসলামের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।

আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী মনজিল মোরসেদ; রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল আবুল কালাম খান দাউদ।

‘যমুনা নদী ছোট করার চিন্তা’ শিরোনামে গত ১১ মার্চ প্রতিবেদন প্রকাশ করে একটি দৈনিক পত্রিকা। এই প্রতিবেদন যুক্ত করে, চলতি মাসের প্রথম সপ্তাহে হাইকোর্টে জনস্বার্থে রিট করা হয়। মানবাধিকার ও পরিবেশবাদী সংগঠন হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড পিস ফর বাংলাদেশের (এইচআরপিবি) পক্ষে রিট আবেদন করেন সুপ্রিম কোর্টের কয়েকজন আইনজীবী।

আবেদনে বলা হয়, যমুনা নদী ছোট করার প্রকল্প নেয়ার সঙ্গে জড়িত কর্মকর্তারা সরকারি কর্মচারী (শৃঙ্খলা ও আপিল) বিধিমালা, ২০১৮-এর বিধি ২ অনুসারে অসদাচরণ করেছেন। তাই, বিধি ৩ অনুসারে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার নির্দেশনা চাওয়া হয় রিটে। সেই সঙ্গে রুল চাওয়া হয়।

আইনজীবী মনজিল মোরসেদ বলেন, “সরকারি কর্মচারী (শৃঙ্খলা ও আপিল) বিধিমালা, ২০১৮ বিধান অনুসারে, এই প্রকল্পের সঙ্গে জড়িত কর্মকর্তারা অসদাচরণ করেছেন। তাই, তাদের বিরুদ্ধে অসদাচরণের অভিযোগ এনে ব্যবস্থা নেয়ার নির্দেশনা চেয়েছিলাম। গত ২১ মে হাইকোর্ট প্রকল্পের সঙ্গে জড়িত কর্মকর্তাদের তালিকা চান। সেই সঙ্গে, প্রকল্পটি চূড়ান্ত করা হয়েছে কিনা এবং প্রকাশিত প্রতিবেদনটির সত্যতা কতটুকু, তা জানতে চেয়েছিলেন। রবিবার রাষ্ট্রপক্ষ এসব তথ্য জানাতে সময় চাইলে, হাইকোর্ট প্রকল্পের নথি তলব করেন।”

আইনজীবী মনজিল মোরসেদ বলেন, “নদী খনন করে প্রবাহ ঠিক রাখতে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা আছে, একনেকের সিদ্ধান্ত আছে। আরেকটা সিদ্ধান্ত আছে, নদী-খাল-জলাশয় দখল করে কোনো প্রকল্প নেয়া যাবে না। ফলে, যেসব কর্মকর্তা এই প্রকল্প নিয়েছেন, তারা সরকারের সিদ্ধান্ত অমান্য করেছেন। এটা অসদাচরণ। তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া যেতে পারে।”

প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, যমুনা নদীকে ছোট করতে চায় পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো)। আপাতত দেশের দু’টি স্থানে পরীক্ষামূলকভাবে গ্রোয়েন বাঁধ দিয়ে নদী ছোট করা হবে।

যমুনা নদীকে ছোট করার পেছনে যুক্তি তুলে ধরে পাউবো বলছে, প্রতিবছর বর্ষা মৌসুমে যমুনা নদী চওড়া হচ্ছে। নদী কোথাও কোথাও ১০ থেকে ১৫ কিলোমিটার প্রশস্ত হচ্ছে। এতে নদীভাঙন বাড়ছে।