শিশু মারাত্মক ডেঙ্গুতে আক্রান্ত কি না, তা লক্ষণ দেখে বুঝতে হবে এবং হাসপাতালে নিয়ে চিকিৎসা দিতে হবে। বিস্তারিত জানাচ্ছেন প্রফেসর ডা. প্রণব কুমার চৌধুরী, সাবেক বিভাগীয় প্রধান, শিশুস্বাস্থ্য বিভাগ, চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল। কখন বুঝবেন মারাত্মক ডেঙ্গুতে আক্রান্ত শিশু ক্রাইম পেট্রোল ক্রাইম পেট্রোল News প্রকাশিত: ৭:৩৯ অপরাহ্ণ, সেপ্টেম্বর ৭, ২০২৩ নিজস্ব প্রতিনিধি শিশুর যদি ১০৪ ডিগ্রি ফারেনহাইটের ওপরে জ্বর থাকে, সারা শরীরে র্যাশ, মাথা ব্যথা, পেট ব্যথা উপসর্গ দেখা যায়, তবে সে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত কি না, দ্রুত নিশ্চিত হওয়া দরকার। শিশুর উল্লিখিত উপসর্গগুলোর সঙ্গে যদি হাত-পা ঠাণ্ডা, চেতনা লোপ, শরীরের যেকোনো স্থান থেকে রক্তপাত হয়, তবে শিশু ডেঙ্গু-শক নিয়ে মারাত্মক আক্রান্ত বলে ধরে নিতে হবে। এ অবস্থায় শিশুকে দ্রুত হাসপাতালে ভর্তি করে শিরায় স্যালাইন দিতে হবে। রক্তে প্লাটিলেট সংখ্যা ১০ হাজার/মিলিমিটার কিউবের নিচে নামলে প্লাটিলেট দিতে হবে। মারাত্মক লক্ষণ পেটে ব্যথা, অনবরত বমি, শরীরে পানি জমা, নাক-মাড়ি থেকে রক্ত ঝরা, খুব ক্লান্তি ভাব-অস্থিরতা, লিভার বড় হয়ে যাওয়া, রক্তে হিমাটোক্রিট বেড়ে যাওয়া ও রক্তের প্লাটিলেট বা অণুচক্রিকা দ্রুত কমতে থাকা। -রক্তচাপ কমে যাওয়া -শরীরের যেকোনো স্থান থেকে রক্তপাত -কিডনি, লিভার, স্নায়ুতন্ত্রে সমস্যা দেখা দেওয়া -ফুসফুসে ও পেটে পানি জমা -হিমাটোক্রিট বেড়ে যেতে থাকা -প্লাটিলেট বা অণুচক্রিকা ৫০ হাজার/মিলিমিটার কিউবের নিচে নামা। এসব লক্ষণ দেখলে অবশ্যই হাসপাতালে ভর্তি করাতে হবে। জটিলতাবিহীন ডেঙ্গু শিশু যদি খাবার খেতে ও পানীয় পান করতে পারে, প্রতি ছয় ঘণ্টায় একবার প্রস্রাব করে এবং তার শরীরে কোনো বিপজ্জনক লক্ষণ না থাকে, তবে তাকে বাসায় রেখে প্রাথমিক এসব চিকিৎসা দেওয়া যাবে। বেশি বেশি তরল খাবার ও পানীয় যেমন- মুখে খাবার স্যালাইন, ফলের রস খাওয়াতে হবে।জ্বর লাঘবে প্যারাসিটামল (১৫ মিলিগ্রাম/কেজি/ডোজ) দেওয়া যাবে। তবে কখনো এসপিরিনি, আইবুপ্রোফেন ইত্যাদি বা অন্য কোনো গ্রুপের ওষুধ মুখে বা সাপোজিটরি হিসেবে দেওয়া যাবে না। ঘরে শিশুর খাবারদাবার, কতবার প্রস্রাব হলো, জ্বরের মাত্রা, রক্তপাত ও জ্ঞান অবস্থা ইত্যাদি মনিটর করতে হবে। রোগ নির্ণয় জ্বর দেখা দেওয়ার দুই দিন পর থেকে ডেঙ্গু অ্যান্টিজেন এবং জ্বরের পাঁচ দিন পর থেকে ডেঙ্গু অ্যান্টিবডি টেস্টে ডেঙ্গু নির্ণয় করা হয়। ডেঙ্গুর পরিণতি পর্যাপ্ত চিকিৎসায় ডেঙ্গু আক্রান্তে মৃত্যুহার ১ শতাংশ। কিন্তু ডেঙ্গু হেমোরেজিক ফিভার, ডেঙ্গু শক সিনড্রোম, এক্সপান্ডেড ডেঙ্গু—এসব মারাত্মক ডেঙ্গুতে মৃত্যুর শঙ্কা বেড়ে (৫ শতাংশের মতো) যায়। শিশুদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কম থাকায়, ডেঙ্গু আক্রান্ত হলে তা মারাত্মক পর্যায়ে চলে যাওয়ার ঝুঁকি থাকে। তাই ১০-১৪ বছর বয়সীর তুলনায় ৩-১০ বছরের শিশুদের মধ্যে এ রোগের তীব্রতা বেশি। SHARES লাইফস্টাইল বিষয়: #ডেঙ্গু
নিজস্ব প্রতিনিধি শিশুর যদি ১০৪ ডিগ্রি ফারেনহাইটের ওপরে জ্বর থাকে, সারা শরীরে র্যাশ, মাথা ব্যথা, পেট ব্যথা উপসর্গ দেখা যায়, তবে সে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত কি না, দ্রুত নিশ্চিত হওয়া দরকার। শিশুর উল্লিখিত উপসর্গগুলোর সঙ্গে যদি হাত-পা ঠাণ্ডা, চেতনা লোপ, শরীরের যেকোনো স্থান থেকে রক্তপাত হয়, তবে শিশু ডেঙ্গু-শক নিয়ে মারাত্মক আক্রান্ত বলে ধরে নিতে হবে। এ অবস্থায় শিশুকে দ্রুত হাসপাতালে ভর্তি করে শিরায় স্যালাইন দিতে হবে। রক্তে প্লাটিলেট সংখ্যা ১০ হাজার/মিলিমিটার কিউবের নিচে নামলে প্লাটিলেট দিতে হবে।
পেটে ব্যথা, অনবরত বমি, শরীরে পানি জমা, নাক-মাড়ি থেকে রক্ত ঝরা, খুব ক্লান্তি ভাব-অস্থিরতা, লিভার বড় হয়ে যাওয়া, রক্তে হিমাটোক্রিট বেড়ে যাওয়া ও রক্তের প্লাটিলেট বা অণুচক্রিকা দ্রুত কমতে থাকা। -রক্তচাপ কমে যাওয়া -শরীরের যেকোনো স্থান থেকে রক্তপাত -কিডনি, লিভার, স্নায়ুতন্ত্রে সমস্যা দেখা দেওয়া -ফুসফুসে ও পেটে পানি জমা -হিমাটোক্রিট বেড়ে যেতে থাকা -প্লাটিলেট বা অণুচক্রিকা ৫০ হাজার/মিলিমিটার কিউবের নিচে নামা। এসব লক্ষণ দেখলে অবশ্যই হাসপাতালে ভর্তি করাতে হবে। জটিলতাবিহীন ডেঙ্গু শিশু যদি খাবার খেতে ও পানীয় পান করতে পারে, প্রতি ছয় ঘণ্টায় একবার প্রস্রাব করে এবং তার শরীরে কোনো বিপজ্জনক লক্ষণ না থাকে, তবে তাকে বাসায় রেখে প্রাথমিক এসব চিকিৎসা দেওয়া যাবে।
বেশি বেশি তরল খাবার ও পানীয় যেমন- মুখে খাবার স্যালাইন, ফলের রস খাওয়াতে হবে।জ্বর লাঘবে প্যারাসিটামল (১৫ মিলিগ্রাম/কেজি/ডোজ) দেওয়া যাবে। তবে কখনো এসপিরিনি, আইবুপ্রোফেন ইত্যাদি বা অন্য কোনো গ্রুপের ওষুধ মুখে বা সাপোজিটরি হিসেবে দেওয়া যাবে না। ঘরে শিশুর খাবারদাবার, কতবার প্রস্রাব হলো, জ্বরের মাত্রা, রক্তপাত ও জ্ঞান অবস্থা ইত্যাদি মনিটর করতে হবে।
রোগ নির্ণয় জ্বর দেখা দেওয়ার দুই দিন পর থেকে ডেঙ্গু অ্যান্টিজেন এবং জ্বরের পাঁচ দিন পর থেকে ডেঙ্গু অ্যান্টিবডি টেস্টে ডেঙ্গু নির্ণয় করা হয়। ডেঙ্গুর পরিণতি পর্যাপ্ত চিকিৎসায় ডেঙ্গু আক্রান্তে মৃত্যুহার ১ শতাংশ। কিন্তু ডেঙ্গু হেমোরেজিক ফিভার, ডেঙ্গু শক সিনড্রোম, এক্সপান্ডেড ডেঙ্গু—এসব মারাত্মক ডেঙ্গুতে মৃত্যুর শঙ্কা বেড়ে (৫ শতাংশের মতো) যায়। শিশুদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কম থাকায়, ডেঙ্গু আক্রান্ত হলে তা মারাত্মক পর্যায়ে চলে যাওয়ার ঝুঁকি থাকে। তাই ১০-১৪ বছর বয়সীর তুলনায় ৩-১০ বছরের শিশুদের মধ্যে এ রোগের তীব্রতা বেশি।