শেখ হাসিনা ও নরেন্দ্র মোদী দুই রাষ্ট্রপ্রধান আলোচনার মাধ্যমে অমীমাংসিত সমস্যা সমাধানে একমত।

প্রকাশিত: ১০:৪০ পূর্বাহ্ণ, সেপ্টেম্বর ৯, ২০২৩

বিশেষ প্রতিনিধি : আনুষ্ঠানিক পর্যায়ে আলোচনার মাধ্যমে, ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে অমীমাংসিত সমস্যাগুলো সমাধানের ওপর জোর দিয়েছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। শুক্রবার (৮ সেপ্টেম্বর নরেন্দ্র মোদী ও বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মধ্যে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক সম্পর্কে এক সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন এ কথা জানান। নয়াদিল্লিতে ভারতের প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবনে এই দ্বিপক্ষীয় বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।

আব্দুল মোমেন বলেন, “ভারতের প্রধানমন্ত্রী তার দেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চলে বিদ্যমান শান্তিপূর্ণ পরিস্থিতি নিশ্চিত করতে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অবদানের জন্য গভীর কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন। উভয় দেশের প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে বিদ্যমান গভীর সম্পর্কের বিষয়ে সন্তোষ প্রকাশ করেন এবং তারা এই সম্পর্ক আরো এগিয়ে নিতে কার্যকর পদক্ষেপ নিতে একমত হয়েছেন।”

আব্দুল মোমেন জানান, বৈঠকে শেখ হাসিনা উল্লেখ করেন, গত বছরের ৪ থেকে ৮ সেপ্টেম্বর নয়াদিল্লিতে তার রাষ্ট্রীয় সফরের পর, দ্বিপক্ষীয় স্বার্থের বিভিন্ন ক্ষেত্রে দৃশ্যমান অগ্রগতি হয়েছে। বৈঠকে শেখ হাসিনা বিভিন্ন আর্থ-সামাজিক ক্ষেত্রে বাংলাদেশের অর্জিত সাফল্য সম্পর্কে ভারতের প্রধানমন্ত্রীকে অবহিত করেন; উল্লেখ করেন বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী।

ড:মোমেন আরো জানান, ভারতের প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশের অসাধারণ অগ্রগতির জন্য প্রধানমন্ত্রীর বলিষ্ঠ নেতৃত্বের প্রশংসা করেছেন। তিনি বলেন, “নয়াদিল্লি ঢাকার দ্বিতীয় বৃহত্তম ব্যবসায়িক অংশীদার হওয়ায়, ভারত থেকে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের নিরবচ্ছিন্ন সরবরাহ নিশ্চিত করতে শেখ হাসিনা ভারত সরকারকে অনুরোধ করেছেন “

তিনি আরো বলেন, “উভয় প্রধানমন্ত্রী রেল ও সড়ক যোগাযোগসহ ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের দ্বিপক্ষীয় ও আঞ্চলিক সংযোগ বাড়ানোর জন্য, চলমান প্রচেষ্টা ও কার্যক্রমকে ত্বরান্বিত করতে সম্মত হয়েছেন।”

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রোহিঙ্গাদের দ্রুত তাদের মাতৃভূমি মিয়ানমারে প্রত্যাবাসনের জন্য মোদীর সহযোগিতা চেয়েছেন বলে জানান আব্দুল মোমেন। তিনি বলেন, “আমরা বিশ্বাস করি অত্যন্ত সৌহার্দ্যপূর্ণ পরিবেশে দুই প্রধানমন্ত্রীর মধ্যে এই ফলপ্রসূ ও উন্মুক্ত আলোচনা, দুই পক্ষের মধ্যে অমীমাংসিত সমস্যা সমাধানে গতি আনবে এবং উভয় দেশের জনগণের জন্য উপকার বয়ে আনবে।”

উভয় প্রধানমন্ত্রী একটি রুদ্ধদ্বার বৈঠক করেছেন বলেও জানান বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী। বিশ্বের অনুন্নত অংশ, বিশেষ করে ‘গ্লোবাল সাউথ’-এর স্বার্থের সঙ্গে সম্পর্কিত বিষয়গুলোকে জি-২০ এর মতো প্লাটফর্মে উত্থাপন করে ‘গ্লোবাল সাউথ’-এর স্বার্থ রক্ষায় প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নেয়ায়, ভারতের প্রধানমন্ত্রীর প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন শেখ হাসিনা, জানান পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্দুল মোামেন।