বিএনপির ৯ নেতাকে কারাগারে পাঠানোয় ফখরুলের নিন্দা ক্রাইম পেট্রোল ক্রাইম পেট্রোল News প্রকাশিত: ৭:৩৮ অপরাহ্ণ, সেপ্টেম্বর ১১, ২০২৩ নিজস্ব প্রতিনিধি লক্ষ্মীপুরে পুলিশের দায়ের করা দুই মামলায় ৯ নেতাকে কারাগারে পাঠানোর ঘটনায় বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর নিন্দা জানিয়ে বিবৃতি দিয়েছেন। আজ রবিবার বিকেলে কেন্দ্রীয় বিএনপির সহ-দপ্তর সম্পাদক মুহম্মদ মুনির হোসেন স্বাক্ষরিত প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়। অবিলম্বে মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারসহ কারাবন্দি নেতাদের নিঃশর্ত মুক্তির দাবি জানান দলটির মহাসচিব। মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বিবৃতিতে বলেন, ‘দুঃশাসনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদী বিএনপির নেতৃত্ব ধ্বংস করতেই অবৈধ মিডনাইট সরকার মিথ্যা মামলায় লক্ষ্মীপুরে বিএনপির ৯ জনকে কারাগারে পাঠিয়েছে। এটি ভয়াবহ দুঃশাসনের আরেকটি নগ্ন বহিঃপ্রকাশ। গণতান্ত্রিক ও মৌলিক অধিকার এ সরকারের দমন-পীড়নে ক্ষতবিক্ষত। আইনের শাসন না থাকায় ঘরে-বাইরে কারো জীবনের নিরাপত্তা নেই। কোনো অপরাধ না করলেও নির্দোষ লোককে অপরাধী সাজানো হচ্ছে। সাজানো মামলা দিয়ে গ্রেপ্তার করে কারান্তরীন ও হয়রানি করা হচ্ছে।’ বিবৃতিতি তিনি আরো বলেন, ‘বিরোধী দলের আন্দোলনকে স্তব্ধ করতে ও সাধারণ নাগরিকের মনে ভীতি সঞ্চার করতেই ধারাবাহিক ভাবে ফ্যাসিবাদী সরকারি জুলুম-নির্যাতন চলমান রেখেছে। নিশি রাতের আওয়ামী সরকার এসব নির্মম কর্মকাণ্ড সংঘটিত করে নিজেদের রক্ষা করতে পারবে না। জনগণ এখন কর্তৃত্ববাদী আওয়ামী সরকারের নিষ্ঠুর শাসনের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়িয়েছে। অবৈধ সরকারের পদত্যাগ ও নির্বাচনকালীন নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকার ব্যবস্থার এক দফা আদায় না হওয়া পর্যন্ত জনগণ রাজপথ ত্যাগ করবে না।’ কারাবন্দি নেতারা হলেন লক্ষ্মীপুর জেলা বিএনপির যুগ্ম-আহ্বায়ক হাছিবুর রহমান হাছিব, জেলা ছাত্রদলের সভাপতি হাসান মাহমুদ ইব্রাহিম, সহসভাপতি আব্দুর রহিম রাজন, নাদিম মাহমুদ জুয়েল, সাধারণ সম্পাদক আব্দুল্লাহ আল মামুন, লক্ষ্মীপুর পৌর ছাত্রদলের আহ্বায়ক আবুল বারাকাত সৌরভ বুলেট, সদর উপজেলা ছাত্রদলের সদস্য সচিব বায়জিদ হোসেন ভূঁইয়া, বিএনপি নেতা বাবুল হোসেন, যুবদল কর্মী মো. সোহেল। আজ দুপুরে অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ সৈয়দা আমিনা ফারহিন পুলিশের দায়ের করা দুই মামলায় জামিন আবেদন না মঞ্জুর করে ওই ৯ জনকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। একই মামলায় বিএনপির প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আবুল খাঁয়ের ভূঁইয়া, জেলা বিএনপি সদস্য সচিব সাহাব উদ্দিন সাবুর বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারী পরোয়ানা জারি করেছে আদালত। এরমধ্যে খায়ের ভূঁইয়া অসুস্থ অবস্থায় রাজধানীর একটি হাসপাতালে ও ডেঙ্গু আক্রান্ত সাবুকে ঢাকায় উন্নত চিকিৎসার জন্য নেওয়া হয়েছে। জামিন শুনানিতে অংশ নেওয়ার জন্য এ্যানি লক্ষ্মীপুরে আসলেও আদালতে উপস্থিত হননি। সকালে তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েছেন বলে জানিয়েছেন আসামিপক্ষের আইনজীবী ও জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি আহমেদ ফেরদৌস মানিক। প্রসঙ্গত, গত ১৮ জুলাই পদযাত্রা কর্মসূচিতে দায়িত্ব পালন কাজে বাধাসহ পুলিশকে আহত করার ঘটনায় সদর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মোজাম্মেল হোসেন বাদী হয়ে বিএনপি নেতা এ্যানি চৌধুরীকে প্রধান করে ২৫ জনের নাম উল্লেখ ও অজ্ঞাত ১৫০০ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছেন। বিস্ফোরক ও নাশকতার ঘটনায় বিশেষ ক্ষমতা আইনে সদর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) আনিছুর রহমান বাদী হয়ে আরো একটি মামলা দায়ের করেন। এ মামলাতেও বিএনপি নেতা এ্যানি চৌধুরীকে প্রধান করে ৩০ জনের নাম উল্লেখ ও অজ্ঞাত ১৫০০ জনকে আসামি করা হয়েছে। ২৭ জুলাই উচ্চ আদালত এ দুই মামলায় এ্যানিসহ ১২ জনকে জামিন দেন। SHARES রাজনীতি বিষয়: #মির্জাফখরুল
লক্ষ্মীপুরে পুলিশের দায়ের করা দুই মামলায় ৯ নেতাকে কারাগারে পাঠানোর ঘটনায় বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর নিন্দা জানিয়ে বিবৃতি দিয়েছেন। আজ রবিবার বিকেলে কেন্দ্রীয় বিএনপির সহ-দপ্তর সম্পাদক মুহম্মদ মুনির হোসেন স্বাক্ষরিত প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়। অবিলম্বে মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারসহ কারাবন্দি নেতাদের নিঃশর্ত মুক্তির দাবি জানান দলটির মহাসচিব। মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বিবৃতিতে বলেন, ‘দুঃশাসনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদী বিএনপির নেতৃত্ব ধ্বংস করতেই অবৈধ মিডনাইট সরকার মিথ্যা মামলায় লক্ষ্মীপুরে বিএনপির ৯ জনকে কারাগারে পাঠিয়েছে।
এটি ভয়াবহ দুঃশাসনের আরেকটি নগ্ন বহিঃপ্রকাশ। গণতান্ত্রিক ও মৌলিক অধিকার এ সরকারের দমন-পীড়নে ক্ষতবিক্ষত। আইনের শাসন না থাকায় ঘরে-বাইরে কারো জীবনের নিরাপত্তা নেই। কোনো অপরাধ না করলেও নির্দোষ লোককে অপরাধী সাজানো হচ্ছে।
সাজানো মামলা দিয়ে গ্রেপ্তার করে কারান্তরীন ও হয়রানি করা হচ্ছে।’ বিবৃতিতি তিনি আরো বলেন, ‘বিরোধী দলের আন্দোলনকে স্তব্ধ করতে ও সাধারণ নাগরিকের মনে ভীতি সঞ্চার করতেই ধারাবাহিক ভাবে ফ্যাসিবাদী সরকারি জুলুম-নির্যাতন চলমান রেখেছে। নিশি রাতের আওয়ামী সরকার এসব নির্মম কর্মকাণ্ড সংঘটিত করে নিজেদের রক্ষা করতে পারবে না। জনগণ এখন কর্তৃত্ববাদী আওয়ামী সরকারের নিষ্ঠুর শাসনের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়িয়েছে।
অবৈধ সরকারের পদত্যাগ ও নির্বাচনকালীন নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকার ব্যবস্থার এক দফা আদায় না হওয়া পর্যন্ত জনগণ রাজপথ ত্যাগ করবে না।’ কারাবন্দি নেতারা হলেন লক্ষ্মীপুর জেলা বিএনপির যুগ্ম-আহ্বায়ক হাছিবুর রহমান হাছিব, জেলা ছাত্রদলের সভাপতি হাসান মাহমুদ ইব্রাহিম, সহসভাপতি আব্দুর রহিম রাজন, নাদিম মাহমুদ জুয়েল, সাধারণ সম্পাদক আব্দুল্লাহ আল মামুন, লক্ষ্মীপুর পৌর ছাত্রদলের আহ্বায়ক আবুল বারাকাত সৌরভ বুলেট, সদর উপজেলা ছাত্রদলের সদস্য সচিব বায়জিদ হোসেন ভূঁইয়া, বিএনপি নেতা বাবুল হোসেন, যুবদল কর্মী মো. সোহেল। আজ দুপুরে অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ সৈয়দা আমিনা ফারহিন পুলিশের দায়ের করা দুই মামলায় জামিন আবেদন না মঞ্জুর করে ওই ৯ জনকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। একই মামলায় বিএনপির প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আবুল খাঁয়ের ভূঁইয়া, জেলা বিএনপি সদস্য সচিব সাহাব উদ্দিন সাবুর বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারী পরোয়ানা জারি করেছে আদালত। এরমধ্যে খায়ের ভূঁইয়া অসুস্থ অবস্থায় রাজধানীর একটি হাসপাতালে ও ডেঙ্গু আক্রান্ত সাবুকে ঢাকায় উন্নত চিকিৎসার জন্য নেওয়া হয়েছে।
জামিন শুনানিতে অংশ নেওয়ার জন্য এ্যানি লক্ষ্মীপুরে আসলেও আদালতে উপস্থিত হননি। সকালে তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েছেন বলে জানিয়েছেন আসামিপক্ষের আইনজীবী ও জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি আহমেদ ফেরদৌস মানিক। প্রসঙ্গত, গত ১৮ জুলাই পদযাত্রা কর্মসূচিতে দায়িত্ব পালন কাজে বাধাসহ পুলিশকে আহত করার ঘটনায় সদর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মোজাম্মেল হোসেন বাদী হয়ে বিএনপি নেতা এ্যানি চৌধুরীকে প্রধান করে ২৫ জনের নাম উল্লেখ ও অজ্ঞাত ১৫০০ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছেন। বিস্ফোরক ও নাশকতার ঘটনায় বিশেষ ক্ষমতা আইনে সদর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) আনিছুর রহমান বাদী হয়ে আরো একটি মামলা দায়ের করেন। এ মামলাতেও বিএনপি নেতা এ্যানি চৌধুরীকে প্রধান করে ৩০ জনের নাম উল্লেখ ও অজ্ঞাত ১৫০০ জনকে আসামি করা হয়েছে। ২৭ জুলাই উচ্চ আদালত এ দুই মামলায় এ্যানিসহ ১২ জনকে জামিন দেন।