প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দিকনির্দেশনায় ‘‘ফোর্সেস গোল-২০৩০’’ বাস্তবায়নে সেনাবাহিনী।

প্রকাশিত: ৫:০৫ পূর্বাহ্ণ, অক্টোবর ৪, ২০২৩

বিশেষ প্রতিনিধি ঃ সেনাবাহিনীর চারটি ইউনিটকে রেজিমেন্টাল কালার প্রদান করা হয়েছে। মঙ্গলবার (৩ অক্টোবর) চট্টগ্রাম সেনানিবাসের ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্টাল সেন্টারে অনুষ্ঠিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল এস এম শফিউদ্দিন আহমেদ। একই দিন চট্টগ্রামে আর্মি মেডিক্যাল কলেজের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন তিনি।

এ সময় তিনি সবাইকে পেশাদারিত্বের প্রত্যাশিত মান অর্জনের মাধ্যমে অভ্যন্তরীণ ও বাহ্যিক যেকোনও হুমকি মোকাবিলায় সদা প্রস্তুত থাকার নির্দেশ দেন। পরিশেষে সেনাবাহিনী প্রধান রেজিমেন্টাল কালার প্রদান উপলক্ষে একটি সুশৃঙ্খল, মনোজ্ঞ ও বর্ণিল কুচকাওয়াজ প্রদর্শনের জন্য সংশ্লিষ্ট সবাইকে ধন্যবাদ জানান।                    আন্তবাহিনী জনসংযোগ পরিদফতর (আইএসপিআর) জানায়, গৌরবোজ্জল ঐতিহ্যের ধারক ও বাহক ইউনিটগুলো বাংলাদেশ সেনাবাহিনী তথা দেশমাতৃকার সেবায় বিশেষ অবদান এবং বিভিন্ন প্রশিক্ষণ ও অপারেশনাল কর্মকাণ্ডের সাফল্যের স্বীকৃতিস্বরূপ একটি ইউনিট বা রেজিমেন্টকে রেজিমেন্টাল কালার প্রদান করা হয়। যার ধারাবাহিকতায় বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর একটি ফিল্ড রেজিমেন্ট আর্টিলারি, একটি ইঞ্জিনিয়ার ব্যাটালিয়ন, দুটি পদাতিক ব্যাটালিয়ন মঙ্গলবার (৩ অক্টোবর) কালার প্যারেডে অংশগ্রহণ করে এবং প্রধান অতিথির কাছ থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে রেজিমেন্টাল পতাকা গ্রহণ করে। এ উপলক্ষে ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্টাল সেন্টারের এমআর চৌধুরী প্যারেড গ্রাউন্ডে সেনাবাহিনী প্রধান উপস্থিত হলে জেনারেল অফিসার কমান্ডিং আর্মি ট্রেনিং অ্যান্ড ডকট্রিন কমান্ড এবং জেনারেল অফিসার কমান্ডিং ২৪ পদাতিক ডিভিশন ও এরিয়া কমান্ডার, চট্টগ্রাম এরিয়া সেনাপ্রধানকে অভ্যর্থনা জানান।

এ সময় ১৮ ফিল্ড রেজিমেন্ট আর্টিলারির অধিনায়কের নেতৃত্বে একটি চৌকস দল কুচকাওয়াজ প্রদর্শন এবং সেনাবাহিনী প্রধানকে সালাম দেয়।

সেনাবাহিনী প্রধান রেজিমেন্টাল কালার প্রাপ্ত ইউনিটগুলোকে অভিনন্দন জানিয়ে বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দিকনির্দেশনায় ‘ফোর্সেস গোল-২০৩০’ বাস্তবায়নে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী সম্প্রসারণ ও আধুনিকায়ন হচ্ছে।

তিনি আরও বলেন, সেনাবাহিনীর সামরিক ঐতিহ্য অনুযায়ী যেকোনও ইউনিটের জন্য রেজিমেন্টাল কালার প্রাপ্তি অত্যন্ত গৌরবের বিষয়। এ ছাড়া তিনি সবাইকে ঊর্ধ্বতন নেতৃত্বের প্রতি আস্থা, পারস্পরিক বিশ্বাস, সহমর্মিতা ও ভ্রাতৃত্ববোধ বজায় রেখে প্রশিক্ষণের মাধ্যমে সুশৃঙ্খল, দক্ষ ও যোগ্য সেনা সদস্য হিসেবে গড়ে ওঠার নির্দেশ দেন।

পরে চট্টগ্রামে সেনাবাহিনী প্রধান আর্মি মেডিক্যাল কলেজের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন। এ সময় তিনি বলেন, দেশের চিকিৎসা ব্যবস্থার যুগান্তকারী উন্নয়নের লক্ষ্যে ১০ জানুয়ারি বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবসে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ৫টি আর্মি মেডিক্যাল কলেজ এবং ৬টি সরকারি মেডিক্যাল কলেজের কার্যক্রম একযোগে শুভ উদ্বোধন ঘোষণা করেন। যার ধারাবাহিকতায় সেনাবাহিনী প্রধান চট্টগ্রামে আর্মি মেডিক্যাল কলেজের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন।

অনুষ্ঠানে জেনারেল অফিসার কমান্ডিং আর্মি ট্রেনিং অ্যান্ড ডকট্রিন কমান্ড এবং জেনারেল অফিসার কমান্ডিং ২৪ পদাতিক ডিভিশন ও এরিয়া কমান্ডার চট্টগ্রাম এরিয়া, চেয়ারম্যান গভর্নিং বডি, আর্মি মেডিক্যাল কলেজ চট্টগ্রামসহ সেনা এবং নৌবাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ও স্থানীয় বেসামরিক প্রশাসনের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা এবং বিভিন্ন পদবির সেনা সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।