অতি শীঘ্রই আন্তর্জাতিক বিমান চলাচলের কেন্দ্র হবে বাংলাদেশ: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

প্রকাশিত: ১০:১৭ অপরাহ্ণ, অক্টোবর ৭, ২০২৩

স্টাফ রিপোর্টার :প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, “ভৌগোলিক অবস্থানের কারণে, বাংলাদেশের পর্যটন নগর কক্সবাজার বা ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর শিগগিরই আন্তর্জাতিক বিমান পরিবহনের কেন্দ্রে পরিণত হতে পারে।”

শনিবার (৭ অক্টোবর) হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের তৃতীয় টার্মিনাল-এর সফট ওপেনিং উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন। শেখ হাসিনা বলেন, “সরকার সেই লক্ষ্যকে সামনে রেখে দেশের বিমানবন্দরগুলোর রূপান্তর করছে।”

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, “সময়ে সময়ে বিমান পরিবহন হাব পরিবর্তন হয়। এক সময় ছিলো হংকং, তারপর সিঙ্গাপুর, থাইল্যান্ড; এখন দুবাই। আমি বিশ্বাস করি একদিন বাংলাদেশ, আমাদের কক্সবাজার বা হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর আন্তর্জাতিক হাব-এ পরিণত হবে।”

বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী বলেন, “ক্রমবর্ধমান যাত্রী ও ফ্লাইট নিয়ে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে একটি নতুন রানওয়ে প্রস্তুত করার পরিকল্পনা রয়েছে সরকারের।” তিনি আরো বলেন, “আকাশপথের নিরাপত্তা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এবং সে কারণে সরকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অত্যাধুনিক রাডার ও নেভিগেশন ব্যবস্থা স্থাপন করতে যাচ্ছে।”

শেখ হাসিনা জানান যে এসব স্থাপনের কাজ পুরোদমে চলছে। ফরাসি কোম্পানি থ্যালেস এই রাডার স্থাপন করছে। তিনি আরো জানান, আগের রাডারও, একই ফরাসি কোম্পানি ‘থ্যালেস এলএএস’-এর মাধ্যমে স্থাপন করা হয়েছে,পরে এটা সংস্কার করা হয়।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, “দেশের পর্যটন উন্নয়নের লক্ষ্যে জেলা থেকে জেলায় বিমান যোগাযোগ সহজতর করার লক্ষ্যে সরকার কিছু নতুন বিমান কিনতে যাচ্ছে। আর, আমরা ইতোমধ্যে এয়ারবাসের সঙ্গে চুক্তি সই করেছি।”

তিনি আরও বলেন, “সরকার ব্যবসা-বাণিজ্য ও পর্যটনের যোগাযোগ সহজ করতে , আধুনিক প্রযুক্তির মাধ্যমে সড়ক, রেল, নৌ ও বিমান যোগাযোগের উন্নয়ন করবে। আন্তর্জাতিক ব্যবসা-বাণিজ্য বৃদ্ধির জন্য বিমান যোগাযোগ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এবং সময়ের চাহিদা পূরণে সরকার এ খাতকে অগ্রাধিকার দিয়েছে।”

শেখ হাসিনা জানান, সিলেটের হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর, চট্টগ্রাম, সৈয়দপুর বিমানবন্দর এবং রাজশাহী ও বরিশাল বিমানবন্দরের মতো সব বড় বিমানবন্দর সম্প্রসারণ ও আধুনিকায়ন করা হচ্ছে।বিমানবন্দরে সরাসরি জেট ফুয়েল আনার জন্য পাইপলাইন বসানোর কাজ শুরু হয়েছে বলেও জানান তিনি।

শেখ হাসিনা বলেন, “উন্নত পরিষেবা নিশ্চিত করতে একটি মহাপরিকল্পনা প্রণয়ন করা হয়েছে এবং এটি বাস্তবায়নের জন্য পরামর্শক নিয়োগ করা হয়েছে।” তিনি আশা প্রকাশ করেন যে বাংলাদেশ একদিন চাঁদ জয় করবে।

“সরকার নাগরিকদের বর্তমান ও ভবিষ্যৎ নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে কাজ করে যাচ্ছে;” উল্লেখ করেন  প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।