পোশাক শ্রমিকের ন্যূনতম মজুরি ১৭৫৬৮ টাকা করার প্রস্তাব সিপিডির

প্রকাশিত: ৫:৪৩ অপরাহ্ণ, অক্টোবর ৮, ২০২৩
নিজস্ব প্রতিনিধি

তৈরি পোশাক খাতে শ্রমিকদের ন্যূনতম মজুরি ১৭ হাজার ৫৬৮ টাকা করার প্রস্তাব করেছে সেন্টার ফর পলিসি ডায়লগ (সিপিডি)। পোশাক খাতের মালিকপক্ষের প্রতিনিধি বিজিএমইএ সাবেক সভাপতি মো. সিদ্দিকুর রহমান জানিয়েছেন তাদেরও আরো বেশি দেওয়ার আগ্রহ রয়েছে।

গার্মেন্টস খাতে ন্যূনতম মজুরি পুনঃনির্ধারণ ও পর্যবেক্ষণ শীর্ষক জরিপ আলোচনায় বক্তারা এসব কথা বলেন।

পোশাক শ্রমিকদের ন্যূনতম মজুরি সর্বশেষ ২০১৮ সালে নির্ধারণ করা হয়।

সে সময় মজুরি নির্ধারিত হয় ৮ হাজার টাকা। মূল্যস্ফীতি, শ্রমিকের আর্থিক নিরাপত্তা বিবেচনায় সিপিডি ৯ হাজার ৫৬৮ টাকা বাড়িয়ে নতুন এই ন্যূনতম মজুরির প্রস্তাব দিয়েছে। 

রবিবার (৮ অক্টোবর) রাজধানীর গুলশানে একটি হোটেলে সিপিডি এই সেমিনারের আয়োজন করে। সিপিডি গবেষণা পরিচালক খন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেমের সঞ্চালনায় এতে সম্মানিত অতিথি ছিলেন নিম্নতম মজুরি বোর্ডের চেয়ারম্যান লিয়াকত আলী মোল্লা, বিজিএমইএর সভাপতি মো. ফারুক হাসান, বিকেএমইএ নির্বাহী সভাপতি মোহাম্মদ হাতেম, নিম্নতম মজুরি বোর্ডের শ্রমিক পক্ষে প্রতিনিধি শ্রমিক নেতা সিরাজুল ইসলাম রনি।

এতে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন সিপিডির সিনিয়র রিসার্চ অ্যাসোসিয়েট তামিম আহমেদ। 

শ্রমিকদের জন্য ন্যূনতম মজুরি প্রস্তাব করে খন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম বলেন, আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থা আইএলও-এর মজুরি নির্ধারণ পদ্ধতি অনুসারে সিপিডি মনে করে পোশাক খাতে শ্রমিকদের ন্যূনতম মজুরি ১৭ হাজার ৫৬৮ টাকা হতে পারে।

তবে জরিপে উঠে এসেছে ২৮ শতাংশ কারখানার মালিকরা মনে করেন ১২ হাজার টাকা পর্যন্ত দেওয়ার সামর্থ্য রয়েছে তাদের। কেউ কেউ ২১ হাজার টাকা পর্যন্ত দেওয়ার সমর্থ্য রাখেন।

আর শ্রমিকরা মনে করেন, কমপক্ষে ১৮ হাজার টাকার নিচে দিলে তাদের জীবন চলে না। এদিকে শ্রমিক সংগঠনগুলোর আলোচনায় প্রস্তাবনা রয়েছে ২২ থেকে ২৫ হাজার টাকা। 

বিজিএমইএ-এর সাবেক সভাপতি মো. সিদ্দিকুর রহমান বলেন, সিপিডির দেওয়া তথ্য ও উপাত্ত নিয়ে আমাদের দ্বিমত রয়েছে। এসব তথ্য উপস্থাপনের আগে মালিকপক্ষের সংগঠন বিজিএমইএ ও বিকেএমইএ সঙ্গে যাচাই-বাছাই করে নিলে আজকের এই আলোচনা আরো কার্যকর হতো।  সিপিডির জরিপের যে সেম্পল সাইজ দেওয়া হয়েছে সেটা নিয়েও আমাদের প্রশ্ন রয়েছে।

তবে আমরা শ্রমিকদের ভালো মজুরি দিতে চাই। সেটা সিপিডির প্রস্তাবের চেয়েও বেশি দেওয়ার আগ্রহ রয়েছে। এজন্য মালিকদের সক্ষমতার বিষয়টিও বিবেচনায় নিতে হবে। এ ছাড়া আগামী নভেম্বরের মধ্যে নতুন মজুরি নির্ধারণের আশ্বাস দিয়েছেন তিনি।