আন্দোলন করুক, কিন্তু দুর্বৃত্তায়ন করলে ছাড় দেব না : প্রধানমন্ত্রী ক্রাইম পেট্রোল ক্রাইম পেট্রোল News প্রকাশিত: ৫:৫৭ অপরাহ্ণ, অক্টোবর ২১, ২০২৩ নিজস্ব প্রতিনিধি আন্দোলনের নামে অগ্নিসংযোগ বা নাশকতামূলক কর্মকাণ্ডে লিপ্ত হলে বিএনপি-জামায়াত চক্রের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে বঙ্গবন্ধু আওয়ামী আইনজীবী পরিষদের আয়োজনে শনিবার (২১ অক্টোবর) সকালে বাংলাদেশ বার কাউন্সিল ভবন উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির ভাষণে এ হুঁশিয়ারি দেন তিনি। প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আন্দোলনের নামে বিএনপি-জামায়াতসহ আরো অনেকেই মাঠে নামতে চায়। আন্দোলন করুক, এই ব্যাপারে আমাদের কোনো কথা নাই। কিন্তু তারা যদি আবার ওই রকম অগ্নিসন্ত্রাস বা কোনো ধ্বংসাত্মক কাজ করে বা কোনো ধরনের দুর্বৃত্তপরায়ণতায় জড়ায়, আমরা কিন্তু ছাড় দেব না। এটাই বাস্তবতা।’দেশব্যাপী অগ্নিসন্ত্রাসের মামলাগুলো দ্রুত নিষ্পত্তির জন্য আইনজীবীদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, ‘আপনারা জানেন এই বিএনপি আমাদের কত নেতাকর্মীকে হত্যা করেছে। চোখ তুলে নিয়েছে। ২০০১ সালে ক্ষমতায় এসে হাতুড়ি দিয়ে পিটিয়ে পিটিয়ে তাদের হাড় গুঁড়ো গুঁড়ো করে হত্যা করেছে। এরপর আরো ভয়াবহ পরিস্থিতির সৃষ্ট করল ২০১৩, ১৪ ও ১৫ সালে অগ্নিসন্ত্রাস করে। তারা সে সময় ২৯ জন পুলিশ সদস্যকে হত্যা করেছে। তিন হাজার ২২৫ জন লোককে অগ্নিদগ্ধ করেছে, ৫০০ জনকে পুড়িয়ে হত্যা করেছে। ৩৮৮টি গাড়ি, সাধারণ মানুষের প্রাইভেট কার, সিএনজি, ২৯টি রেল, ৯টি লঞ্চে অগ্নিসংযোগ করেছে। চলমান প্রাইভেট গাড়ি, বাস ও ট্রাকে অগ্নিসংযোগ করে মানুষ হত্যা করেছে। এই অগ্নিসন্ত্রাসের সঙ্গে যারা জড়িত, জেলায় জেলায় যাদের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে এবং মামলা চলমান রয়েছে, সে মামলাগুলো দ্রত সম্পন্ন করতে হবে।’ এসব অপরাধী যেন যথাযথ শাস্তি পায় তার ব্যবস্থা করার জন্য আইনজীবীদের কাছে দাবি জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘বিচারহীনতা যেন এ দেশে আর না চলে। ন্যায়বিচার যেন মানুষ পায়। স্বজন হারিয়ে বেঁচে থাকা যে কী কষ্টের, যারা আমরা আপনজন হারিয়েছি তারা তা বুঝি।’ শেখ হাসিনা বলেন, ‘বাংলাদেশের মানুষের ভাগ্য নিয়ে কেউ যেন ছিনিমিনি খেলতে না পারে, যেটা আগে করেছিল। সেটা যেন আর করতে না পারে সেদিকে লক্ষ রেখেই আমার একটা অনুরোধ আপনাদের কাছে, কোথাও যেন এক ইঞ্চি জমিও অনাবাদি না থাকে। যে যা পারেন তাই উৎপাদন করেন।’ অনুষ্ঠানে ‘বঙ্গবন্ধুর আইনি দর্শন’ শীর্ষক একটি বইয়ের মোড়ক উন্মোচন করেন প্রধানমন্ত্রী। আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন। ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশেনের মেয়র ও বঙ্গবন্ধু আওয়ামী আইনজীবী পরিষদের সদস্যসচিব ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তৃতা করেন। আরো বক্তৃতা করেন বঙ্গবন্ধু আওয়ামী আইনজীবী পরিষদের আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট ইউসুফ হোসেন হুমায়ুন, অ্যাটর্নি জেনারেল ও বাংলাদেশ বার কাউন্সিলের চেয়ারম্যান এ এম আমিন উদ্দিন, বাংলাদেশ বার কাউন্সিলের ভাইস চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট সৈয়দ রেজাউর রহমান, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের আইন বিষয়ক সম্পাদক কাজী মো. নজীবুল্লাহ হিরু প্রমুখ। আইন ও বিচার বিভাগের সচিব মো. গোলাম সারোয়ার স্বাগত বক্তব্য দেন। সূত্র : বাসস SHARES জাতীয় বিষয়: #শেখহাসিনা
নিজস্ব প্রতিনিধি আন্দোলনের নামে অগ্নিসংযোগ বা নাশকতামূলক কর্মকাণ্ডে লিপ্ত হলে বিএনপি-জামায়াত চক্রের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে বঙ্গবন্ধু আওয়ামী আইনজীবী পরিষদের আয়োজনে শনিবার (২১ অক্টোবর) সকালে বাংলাদেশ বার কাউন্সিল ভবন উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির ভাষণে এ হুঁশিয়ারি দেন তিনি। প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আন্দোলনের নামে বিএনপি-জামায়াতসহ আরো অনেকেই মাঠে নামতে চায়। আন্দোলন করুক, এই ব্যাপারে আমাদের কোনো কথা নাই।
কিন্তু তারা যদি আবার ওই রকম অগ্নিসন্ত্রাস বা কোনো ধ্বংসাত্মক কাজ করে বা কোনো ধরনের দুর্বৃত্তপরায়ণতায় জড়ায়, আমরা কিন্তু ছাড় দেব না। এটাই বাস্তবতা।’দেশব্যাপী অগ্নিসন্ত্রাসের মামলাগুলো দ্রুত নিষ্পত্তির জন্য আইনজীবীদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, ‘আপনারা জানেন এই বিএনপি আমাদের কত নেতাকর্মীকে হত্যা করেছে। চোখ তুলে নিয়েছে।
২০০১ সালে ক্ষমতায় এসে হাতুড়ি দিয়ে পিটিয়ে পিটিয়ে তাদের হাড় গুঁড়ো গুঁড়ো করে হত্যা করেছে। এরপর আরো ভয়াবহ পরিস্থিতির সৃষ্ট করল ২০১৩, ১৪ ও ১৫ সালে অগ্নিসন্ত্রাস করে। তারা সে সময় ২৯ জন পুলিশ সদস্যকে হত্যা করেছে। তিন হাজার ২২৫ জন লোককে অগ্নিদগ্ধ করেছে, ৫০০ জনকে পুড়িয়ে হত্যা করেছে।
৩৮৮টি গাড়ি, সাধারণ মানুষের প্রাইভেট কার, সিএনজি, ২৯টি রেল, ৯টি লঞ্চে অগ্নিসংযোগ করেছে। চলমান প্রাইভেট গাড়ি, বাস ও ট্রাকে অগ্নিসংযোগ করে মানুষ হত্যা করেছে। এই অগ্নিসন্ত্রাসের সঙ্গে যারা জড়িত, জেলায় জেলায় যাদের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে এবং মামলা চলমান রয়েছে, সে মামলাগুলো দ্রত সম্পন্ন করতে হবে।’ এসব অপরাধী যেন যথাযথ শাস্তি পায় তার ব্যবস্থা করার জন্য আইনজীবীদের কাছে দাবি জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘বিচারহীনতা যেন এ দেশে আর না চলে। ন্যায়বিচার যেন মানুষ পায়।
স্বজন হারিয়ে বেঁচে থাকা যে কী কষ্টের, যারা আমরা আপনজন হারিয়েছি তারা তা বুঝি।’ শেখ হাসিনা বলেন, ‘বাংলাদেশের মানুষের ভাগ্য নিয়ে কেউ যেন ছিনিমিনি খেলতে না পারে, যেটা আগে করেছিল। সেটা যেন আর করতে না পারে সেদিকে লক্ষ রেখেই আমার একটা অনুরোধ আপনাদের কাছে, কোথাও যেন এক ইঞ্চি জমিও অনাবাদি না থাকে। যে যা পারেন তাই উৎপাদন করেন।’ অনুষ্ঠানে ‘বঙ্গবন্ধুর আইনি দর্শন’ শীর্ষক একটি বইয়ের মোড়ক উন্মোচন করেন প্রধানমন্ত্রী। আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন। ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশেনের মেয়র ও বঙ্গবন্ধু আওয়ামী আইনজীবী পরিষদের সদস্যসচিব ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তৃতা করেন। আরো বক্তৃতা করেন বঙ্গবন্ধু আওয়ামী আইনজীবী পরিষদের আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট ইউসুফ হোসেন হুমায়ুন, অ্যাটর্নি জেনারেল ও বাংলাদেশ বার কাউন্সিলের চেয়ারম্যান এ এম আমিন উদ্দিন, বাংলাদেশ বার কাউন্সিলের ভাইস চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট সৈয়দ রেজাউর রহমান, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের আইন বিষয়ক সম্পাদক কাজী মো. নজীবুল্লাহ হিরু প্রমুখ। আইন ও বিচার বিভাগের সচিব মো. গোলাম সারোয়ার স্বাগত বক্তব্য দেন। সূত্র : বাসস