‘ফ্লাইট মিস করায়’ এজেন্সির মালিককে পিটিয়ে হত্যা! ক্রাইম পেট্রোল ক্রাইম পেট্রোল News প্রকাশিত: ৬:১৩ অপরাহ্ণ, অক্টোবর ১৫, ২০২৩ নিজস্ব প্রতিনিধি রাজধানীর রমনা থানার কাকরাইল এলাকায় নিজ অফিসে স্ত্রী-সন্তানের সামনে এক ট্রাভেল এজেন্সির মালিককে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ পাওয়া গেছে। শনিবার (১৪ অক্টোবর) বিকেলে এ ঘটনা ঘটে। নিহতের নাম মো. বাহার (৪৫)। তিনি রমনা এলকার ‘এম বাহার ওভারসিজ’ নামে একটি ট্রাভেল এজেন্সির মালিক ছিলেন। ঘটনার পর আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে জরুরি বিভাগে নেওয়া হলে সন্ধ্যা ৬টার দিকে দায়িত্বরত চিকিত্সক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। পুলিশ ও পারিবারিক সূত্রে এসব তথ্য জানা যায়। ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিহতের স্ত্রী জয়নব বেগম দাবি করেন, তার স্বামীকে পরিবারের লোকজন পিটিয়ে হত্যা করেছে। এ ঘটনায় জড়িতদের সম্পর্কে তিনি বলেন, ‘আমার বোনের জামাই জাকের, আমার আপন ছোট ভাই ইউনুস ও আমার বোন ফাতেমা বেগম মিলে আমার স্বামীকে পিটিয়ে হত্যা করেছে। তারা তিনজন আমার স্বামীর মাথায় কিল ঘুসি ও লাঠি দিয়ে আঘাত করে। এরপর গলাচিপে ধরে দেয়ালের সঙ্গে ধরে রাখে আমার চোখের সামনে স্বামীকে মারধর করে। পরে আমার স্বামী নিস্তেজ হয়ে যায়।’মারধরের কারণ জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আমার বোনের জামাইয়ের দেশের বাইরে যাওয়ার কথা ছিল। আজ (শনিবার) ভোর ৫টায় ফ্লাইট। এয়ারপোর্টে তিন ঘণ্টা আগে আসতে বলা হয় তাকে। কিন্তু তিনি ভেবেছেন বিকেল ৫টায় ফ্লাইট। এই নিয়ে অফিসের মধ্যে আমার বোনের জামাই, বোন ও আমার ছোট ভাইয়ের সঙ্গে বাকবিতণ্ডা হয়। এক পর্যায়ে তারা কিল ঘুষি, পিটিয়ে আমার স্বামীকে মেরে ফেলে।’ জানতে চাইলে ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী নিহত বাহারের অফিসের স্টাফ মনিরুজ্জামান বলেন, ‘ঘটনাটি আমার চোখের সামনেই ঘটেছে। পরিবারের লোকজনই স্যারকে পিটিয়ে হত্যা করেছে। তারা খুব অন্যায় করেছে। তাদের শাস্তি হওয়া দরকার।’ এ বিষয়ে জানতে চাইলে রমনা থানার পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ উপপরিদর্শক মো. শহিদুল ওসমান মাসুম বলেন, ‘ঘটনার খবর পেয়ে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে এসে তার লাশ পাই। ঘটনার তদন্ত চলছে। মামলা প্রক্রিয়াধীন।’ SHARES অপরাধ/দূর্নীতি বিষয়: #অপরাধ
রাজধানীর রমনা থানার কাকরাইল এলাকায় নিজ অফিসে স্ত্রী-সন্তানের সামনে এক ট্রাভেল এজেন্সির মালিককে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ পাওয়া গেছে। শনিবার (১৪ অক্টোবর) বিকেলে এ ঘটনা ঘটে। নিহতের নাম মো. বাহার (৪৫)। তিনি রমনা এলকার ‘এম বাহার ওভারসিজ’ নামে একটি ট্রাভেল এজেন্সির মালিক ছিলেন।
ঘটনার পর আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে জরুরি বিভাগে নেওয়া হলে সন্ধ্যা ৬টার দিকে দায়িত্বরত চিকিত্সক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। পুলিশ ও পারিবারিক সূত্রে এসব তথ্য জানা যায়। ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিহতের স্ত্রী জয়নব বেগম দাবি করেন, তার স্বামীকে পরিবারের লোকজন পিটিয়ে হত্যা করেছে। এ ঘটনায় জড়িতদের সম্পর্কে তিনি বলেন, ‘আমার বোনের জামাই জাকের, আমার আপন ছোট ভাই ইউনুস ও আমার বোন ফাতেমা বেগম মিলে আমার স্বামীকে পিটিয়ে হত্যা করেছে।
তারা তিনজন আমার স্বামীর মাথায় কিল ঘুসি ও লাঠি দিয়ে আঘাত করে। এরপর গলাচিপে ধরে দেয়ালের সঙ্গে ধরে রাখে আমার চোখের সামনে স্বামীকে মারধর করে। পরে আমার স্বামী নিস্তেজ হয়ে যায়।’মারধরের কারণ জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আমার বোনের জামাইয়ের দেশের বাইরে যাওয়ার কথা ছিল।
আজ (শনিবার) ভোর ৫টায় ফ্লাইট। এয়ারপোর্টে তিন ঘণ্টা আগে আসতে বলা হয় তাকে। কিন্তু তিনি ভেবেছেন বিকেল ৫টায় ফ্লাইট। এই নিয়ে অফিসের মধ্যে আমার বোনের জামাই, বোন ও আমার ছোট ভাইয়ের সঙ্গে বাকবিতণ্ডা হয়। এক পর্যায়ে তারা কিল ঘুষি, পিটিয়ে আমার স্বামীকে মেরে ফেলে।’
জানতে চাইলে ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী নিহত বাহারের অফিসের স্টাফ মনিরুজ্জামান বলেন, ‘ঘটনাটি আমার চোখের সামনেই ঘটেছে। পরিবারের লোকজনই স্যারকে পিটিয়ে হত্যা করেছে। তারা খুব অন্যায় করেছে। তাদের শাস্তি হওয়া দরকার।’ এ বিষয়ে জানতে চাইলে রমনা থানার পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ উপপরিদর্শক মো. শহিদুল ওসমান মাসুম বলেন, ‘ঘটনার খবর পেয়ে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে এসে তার লাশ পাই। ঘটনার তদন্ত চলছে। মামলা প্রক্রিয়াধীন।’