সড়ক দুর্ঘটনায় নিহতের পরিবারকে ১০ লাখ টাকা দেওয়ার দাবি ক্রাইম পেট্রোল ক্রাইম পেট্রোল News প্রকাশিত: ৬:২৯ অপরাহ্ণ, অক্টোবর ২১, ২০২৩ নিজস্ব প্রতিনিধি দেশে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহতের পরিবারকে সরকারের পক্ষ থেকে ১০ লাখ টাকা এবং আহতকে পাঁচ লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়ার দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতি। আজ শনিবার সকালে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে সংবাদ সম্মেলনে সংগঠনের মহাসচিব মোজাম্মেল হক চৌধুরী এ দাবি জানান। ২০১৮ সালের সড়ক পরিবহন আইনে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ব্যক্তির পরিবারকে পাঁচ লাখ এবং আহত, অঙ্গহানি বা পঙ্গু হলে তিন লাখ টাকা ক্ষতিপূরণের বিধান রয়েছে জানিয়ে মোজাম্মলে হক বলেন, আইন কার্যকরের পাঁচ বছরের মাথায় গত তিন দিন আগে নামে মাত্র ১৬২ জনকে ক্ষতিপূরণ দেওয়া হয়েছে। মোজাম্মেল হক চৌধুরী বলেন, সড়ক নিরাপত্তায় দৃশ্যমান কোনো কার্যক্রম নেই। সড়ক পরিবহন মন্ত্রণালয়ে নানা ইউনিট এবং প্রতিবছর ৩০ থেকে ৩৫ হাজার কোটি টাকার বাজেট বরাদ্দ থাকলেও সড়ক দুর্ঘটনা থেকে দেশ ও দেশের মানুষকে রক্ষায় কোনো বাজেট নেই। ফলে প্রতিবছর সড়কে দুর্ঘটনা ও প্রাণহানি বাড়ছেই। প্রতিবছর সড়ক দুর্ঘটনায় প্রায় আট হাজার মানুষের প্রাণহানির তথ্য মিলেছে। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, সড়কে প্রতিদিন ৬৪ জন মানুষের প্রাণহানি ঘটছে। সে হিসাবে দেশে প্রতিবছর সড়ক দুর্ঘটনায় ২৩ হাজার ৩৬০ জন মারা যায়। আহন হয় প্রায় সাড়ে তিন লাখ মানুষ। প্রতিবছর সড়ক দুর্ঘটনায় প্রায় ৮০ হাজার মানুষ প্রতিবন্ধী হয়ে পড়ে। এর মধ্যে ১২ হাজারের বেশি শিশু। প্রতিদিন গড়ে ২২০ জন মানুষ প্রতিবন্ধী হচ্ছে কেবল সড়ক দুর্ঘটনার কারণে। অন্যদিকে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলছে, সারা বিশ্বে প্রতিবছর সড়ক দুর্ঘটনায় ১৩ লাখ মানুষ মারা যায়। বাংলাদেশে মারা যায় ২৪ হাজার ৯৫৪ জন। হতাহতদের ৬৭ শতাংশই ১৫ থেকে ৬৪ বছর বয়সী। মৃত্যুর ঝুঁকিতে আছেন ১৫ থেকে ৪৯ বছর বয়সী ব্যক্তিরা। সংস্থাটির দাবি, বাংলাদেশে সড়ক দুর্ঘটনাজনিত মোট দেশজ উৎপাদনের (জিডিপি) ক্ষতি ৫.৩ শতাংশ। সড়কে শৃঙ্খলার দাবি তুলে ধরে যাত্রী কল্যাণ সমিতির মহাসচিব বলেন, সড়ক দুর্ঘটনার মামলা বিশেষ গুরুত্বের সঙ্গে নথিভুক্ত করা, বিশেষ নজরদারিতে তদন্ত করা, দ্রুত তদন্ত সম্পন্ন ও বিচার নিষ্পতি করা গেলে এই সেক্টরে আইনের শাসন বাস্তবায়ন করা সক্ষম হবে। অনেক ক্ষেত্রে দূর-দূরান্তের যাত্রীরা সড়ক দুর্ঘটনায় মারা গেলে বা আহত হলে যানবাহন শনাক্ত করা সম্ভব হচ্ছে না। সারা দেশে সিসিটিভি ক্যামেরার মাধ্যমে ট্রাফিক নেটওয়ার্ক গড়ে তোলা গেলে প্রতিটি মামলায় আসামি শনাক্ত করা সহজ হবে। বর্তমান সরকারের নির্বাচনী ইশতেহারে নিরাপদ সড়কের অঙ্গীকার থাকলেও বাস্তবে তেমন কোনো অগ্রগতি নেই বলে সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়। ই-ট্রাফিকিং সিস্টেম চালু করা গেলে সড়কে দুর্ঘটনা ৮০ শতাংশ কমে আসবে। বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) অ্যাক্সিডেন্ট রিসার্চ ইনস্টিটিউটের (এআরআই) হিসাব বলছে, গত তিন বছরে সড়ক দুর্ঘটনায় ক্ষতির পরিমাণ প্রায় এক লাখ ৯ হাজার কোটি টাকা। সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের ২০১৭ সালের এক গবেষণা প্রতিবেদন তুলে ধরে মোজাম্মেল হক বলেন, সড়ক দুর্ঘটনায় একজন কর্মক্ষম ব্যক্তি প্রাণ হারানোর কারণে ২৪ লাখ ৬২ হাজার ১০৬ টাকার আর্থিক ক্ষতি হয়। সেই হিসাবে জাতীয় অর্থনীতিতে প্রতিবছর এক হাজার ৯৭০ কোটি টাকার আর্থিক ক্ষতি হচ্ছে। বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআরটিএ) পরিসংখ্যানের বরাত দিয়ে সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত চার হাজার ১৬টি সড়ক দুর্ঘটনায় তিন হাজার ৭২৭ জন নিহত ও পাঁচ হাজার ৭৮১ জন আহত হয়েছে। সেই হিসাবে নিহত ব্যক্তির উত্তরাধিকারীরা ১৮৬ কোটি ৩৫ লাখ টাকা এবং আহত ব্যক্তিরা ১৭৩ কোটি ৪৩ লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ পাওয়ার দাবিদার। অথচ গত বৃহস্পতিবার সরকারের পক্ষ থেকে নামে মাত্র ১৬২ জনকে সাত কোটি আট লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়া হয়েছে। SHARES জাতীয় বিষয়: সড়ক দুর্ঘটনা
দেশে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহতের পরিবারকে সরকারের পক্ষ থেকে ১০ লাখ টাকা এবং আহতকে পাঁচ লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়ার দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতি। আজ শনিবার সকালে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে সংবাদ সম্মেলনে সংগঠনের মহাসচিব মোজাম্মেল হক চৌধুরী এ দাবি জানান। ২০১৮ সালের সড়ক পরিবহন আইনে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ব্যক্তির পরিবারকে পাঁচ লাখ এবং আহত, অঙ্গহানি বা পঙ্গু হলে তিন লাখ টাকা ক্ষতিপূরণের বিধান রয়েছে জানিয়ে মোজাম্মলে হক বলেন, আইন কার্যকরের পাঁচ বছরের মাথায় গত তিন দিন আগে নামে মাত্র ১৬২ জনকে ক্ষতিপূরণ দেওয়া হয়েছে। মোজাম্মেল হক চৌধুরী বলেন, সড়ক নিরাপত্তায় দৃশ্যমান কোনো কার্যক্রম নেই।
সড়ক পরিবহন মন্ত্রণালয়ে নানা ইউনিট এবং প্রতিবছর ৩০ থেকে ৩৫ হাজার কোটি টাকার বাজেট বরাদ্দ থাকলেও সড়ক দুর্ঘটনা থেকে দেশ ও দেশের মানুষকে রক্ষায় কোনো বাজেট নেই। ফলে প্রতিবছর সড়কে দুর্ঘটনা ও প্রাণহানি বাড়ছেই। প্রতিবছর সড়ক দুর্ঘটনায় প্রায় আট হাজার মানুষের প্রাণহানির তথ্য মিলেছে। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, সড়কে প্রতিদিন ৬৪ জন মানুষের প্রাণহানি ঘটছে।
সে হিসাবে দেশে প্রতিবছর সড়ক দুর্ঘটনায় ২৩ হাজার ৩৬০ জন মারা যায়। আহন হয় প্রায় সাড়ে তিন লাখ মানুষ। প্রতিবছর সড়ক দুর্ঘটনায় প্রায় ৮০ হাজার মানুষ প্রতিবন্ধী হয়ে পড়ে। এর মধ্যে ১২ হাজারের বেশি শিশু।
প্রতিদিন গড়ে ২২০ জন মানুষ প্রতিবন্ধী হচ্ছে কেবল সড়ক দুর্ঘটনার কারণে। অন্যদিকে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলছে, সারা বিশ্বে প্রতিবছর সড়ক দুর্ঘটনায় ১৩ লাখ মানুষ মারা যায়। বাংলাদেশে মারা যায় ২৪ হাজার ৯৫৪ জন। হতাহতদের ৬৭ শতাংশই ১৫ থেকে ৬৪ বছর বয়সী। মৃত্যুর ঝুঁকিতে আছেন ১৫ থেকে ৪৯ বছর বয়সী ব্যক্তিরা।
সংস্থাটির দাবি, বাংলাদেশে সড়ক দুর্ঘটনাজনিত মোট দেশজ উৎপাদনের (জিডিপি) ক্ষতি ৫.৩ শতাংশ। সড়কে শৃঙ্খলার দাবি তুলে ধরে যাত্রী কল্যাণ সমিতির মহাসচিব বলেন, সড়ক দুর্ঘটনার মামলা বিশেষ গুরুত্বের সঙ্গে নথিভুক্ত করা, বিশেষ নজরদারিতে তদন্ত করা, দ্রুত তদন্ত সম্পন্ন ও বিচার নিষ্পতি করা গেলে এই সেক্টরে আইনের শাসন বাস্তবায়ন করা সক্ষম হবে। অনেক ক্ষেত্রে দূর-দূরান্তের যাত্রীরা সড়ক দুর্ঘটনায় মারা গেলে বা আহত হলে যানবাহন শনাক্ত করা সম্ভব হচ্ছে না। সারা দেশে সিসিটিভি ক্যামেরার মাধ্যমে ট্রাফিক নেটওয়ার্ক গড়ে তোলা গেলে প্রতিটি মামলায় আসামি শনাক্ত করা সহজ হবে। বর্তমান সরকারের নির্বাচনী ইশতেহারে নিরাপদ সড়কের অঙ্গীকার থাকলেও বাস্তবে তেমন কোনো অগ্রগতি নেই বলে সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়। ই-ট্রাফিকিং সিস্টেম চালু করা গেলে সড়কে দুর্ঘটনা ৮০ শতাংশ কমে আসবে। বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) অ্যাক্সিডেন্ট রিসার্চ ইনস্টিটিউটের (এআরআই) হিসাব বলছে, গত তিন বছরে সড়ক দুর্ঘটনায় ক্ষতির পরিমাণ প্রায় এক লাখ ৯ হাজার কোটি টাকা। সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের ২০১৭ সালের এক গবেষণা প্রতিবেদন তুলে ধরে মোজাম্মেল হক বলেন, সড়ক দুর্ঘটনায় একজন কর্মক্ষম ব্যক্তি প্রাণ হারানোর কারণে ২৪ লাখ ৬২ হাজার ১০৬ টাকার আর্থিক ক্ষতি হয়। সেই হিসাবে জাতীয় অর্থনীতিতে প্রতিবছর এক হাজার ৯৭০ কোটি টাকার আর্থিক ক্ষতি হচ্ছে। বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআরটিএ) পরিসংখ্যানের বরাত দিয়ে সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত চার হাজার ১৬টি সড়ক দুর্ঘটনায় তিন হাজার ৭২৭ জন নিহত ও পাঁচ হাজার ৭৮১ জন আহত হয়েছে। সেই হিসাবে নিহত ব্যক্তির উত্তরাধিকারীরা ১৮৬ কোটি ৩৫ লাখ টাকা এবং আহত ব্যক্তিরা ১৭৩ কোটি ৪৩ লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ পাওয়ার দাবিদার। অথচ গত বৃহস্পতিবার সরকারের পক্ষ থেকে নামে মাত্র ১৬২ জনকে সাত কোটি আট লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়া হয়েছে।