গলে যাচ্ছে পশ্চিম অ্যান্টার্কটিকার বরফের স্তূপ

প্রকাশিত: ৬:৪০ অপরাহ্ণ, অক্টোবর ২৪, ২০২৩

নিজস্ব প্রতিনিধি

যুক্তরাজ্যের বিজ্ঞানীদের একটি দল দীর্ঘদিন ধরে পশ্চিম অ্যান্টার্কটিকার বরফের চাঁই নিয়ে কাজ করছে। সম্প্রতি তারা জানিয়েছে, যে বিপুল পরিমাণ বরফ সেখানে জমে ছিল, তা ক্রমেই গলতে শুরু করেছে। চলতি শতাব্দীর শেষ পর্যন্ত তা গলতে থাকবে। যার জেরে সমুদ্রে পানির উচ্চতা ক্রমেই বাড়বে।

সমুদ্র গবেষক কেইটলিন নটেন গবেষণাপত্রে লিখেছেন, ‘আমাদের গবেষণা একটি প্রশ্নকে সামনে রেখে এগিয়েছে। বরফ গলাকে কি কোনোভাবে আটকানো যায়? আদৌ কি তা সম্ভব?’ তিনি জানিয়েছেন, তাঁদের গবেষণায় যে তথ্য উঠে এসেছে তা খুব সুখকর নয়। পৃথিবীর সার্বিক তাপমাত্রা ইতিমধ্যে যতটা বেড়েছে, তাতে আর চেষ্টা করেও বরফ গলা বন্ধ করা সম্ভব নয়। তাঁদের গবেষণা বলছে, পুরো বরফ গলতে হয়তো একটা গোটা শতাব্দী লেগে যাবে, যার জেরে সমুদ্রে পানির স্তর অন্তত ছয় ফুট বেড়ে যাবে।

তবে আগামী কয়েক দশকে বরফ গলার পরিমাণ ক্রমেই বাড়বে। ফলে সমুদ্রপৃষ্ঠ ক্রমেই ফুলতে শুরু করবে। ফলে আগামী কয়েক দশকের মধ্যেই সভ্যতা সংকটের মুখে পড়বে। 

যুক্তরাজ্যের বিজ্ঞানীদের এই দলটি প্রথম অত্যাধুনিক কম্পিউটারের সাহায্যে সাম্প্রতিক পরীক্ষাটি করেছে।

তারা বরফের চাদরের নিচে গিয়ে সমুদ্রের পানির তাপমাত্রা পরীক্ষা করেছে। সমুদ্রের পানি থেকে কত পরিমাণ কার্বন ডাই-অক্সাইড নিঃসৃত হচ্ছে, তা-ও পরীক্ষা করে দেখেছে তারা। জানা গেছে, সার্বিকভাবে তাপমাত্রা বাড়ছে। যদি তার গতি কমানোও সম্ভব হয়, পানির তাপমাত্রা বৃদ্ধি কমানো সম্ভব হবে না। ফলে গলতে গলতে বরফের চাদরটি একসময় ভেঙে পড়বে।
আর তখনই ভয়াবহ এক সমস্যার মুখে পড়বে সভ্যতা। ২০০৯ সালে বিজ্ঞানীরা প্রথম জানিয়েছিলেন, পশ্চিম অ্যান্টার্কটিকার বরফের চাদর ক্রমেই গলতে শুরু করেছে। তবে সম্প্রতি যুক্তরাজ্যের বিজ্ঞানীরা যে গবেষণা করেছেন, এত আধুনিক যন্ত্র এর আগে ওই অঞ্চলে ব্যবহৃত হয়নি।