► বৈদেশিক ঋণের সুদ পরিশোধে ৪১৪৭ কোটি টাকা বেশি ব্যয় ► প্রতিশ্রুতি সাত গুণ বেড়েছে ► সুদ ও আসল মিলিয়ে বৈদেশিক ঋণ পরিশোধ ৬৫.৫% বেড়েছে ► ঋণের অর্থছাড় কমেছে ৫ শতাংশ টাকার অবমূল্যায়নে সুদ ব্যয় বেড়েছে তিন গুণ ক্রাইম পেট্রোল ক্রাইম পেট্রোল News প্রকাশিত: ১০:২৬ পূর্বাহ্ণ, অক্টোবর ৩১, ২০২৩ নিজস্ব প্রতিবেদন স্থানীয় মুদ্রা বা টাকার অবমূল্যায়নের প্রভাব দেশের বৈদেশিক ঋণ পরিশোধের ওপর প্রভাব পড়েছে। চলতি অর্থবছরের জুলাই-সেপ্টেম্বর প্রান্তিকে কেবল বৈদেশিক ঋণের সুদ বাবদই চার হাজার ১৪৭ কোটি টাকা বা ৩৭৮ মিলিয়ন ডলারের বেশি পরিশোধ করেছে সরকার। আগের অর্থবছরের তুলনায় চলতি অর্থবছরের পরিশোধিত এই সুদ তিন গুণেরও বেশি। অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের রবিবার (ইআরডি) প্রকাশিত প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে এসেছে। ইআরডির তথ্য অনুযায়ী, সরকার আগের বছরের একই সময় সুদ বাবদ পরিশোধ করেছিল এক হাজার ২৯৭ কোটি টাকা বা প্রায় ১৩৭ মিলিয়ন ডলার। জুলাই-সেপ্টেম্বর প্রান্তিকে বিদেশি ঋণের প্রতিশ্রুতি সাত গুণ বেড়ে ২.৮৮ বিলিয়ন ডলার হয়েছে, যা আগের বছরের একই সময় ছিল মাত্র ৪০৫ মিলিয়ন ডলার। উন্নয়ন সহযোগীদের প্রতিশ্রুতি বাড়লেও উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়নে সক্ষমতার অভাবে অর্থছাড় বাড়ানি, বরং বৈদেশিক ঋণের অর্থছাড় কমেছে গত বছরের একই সময়ের তুলনায় ৫ শতাংশ। চলতি অর্থবছরের প্রথম প্রান্তিকে উন্নয়ন সহযোগীরা ছাড় করেছে ১.২৮ বিলিয়ন ডলার, যা গত অর্থবছরের একই সময়ে ছিল ১.৩৫ বিলিয়ন ডলার। প্রথম প্রান্তিকে উন্নয়ন সহযোগীদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি অর্থছাড় করেছে জাপান। সংস্থাটি প্রথম প্রান্তিকে ছাড় করেছে ৪২৭.৮ মিলিয়ন ডলার। এ ছাড়া এডিবি ২২৫.৬ মিলিয়ন ডলার, বিশ্বব্যাংক ২১৮.৮৯ মিলিয়ন ডলার এবং রাশিয়া ছাড় করেছে ২১০.৯২ মিলিয়ন ডলার। ইআরডি কর্মকর্তারা জানান, কর্ণফুলী টানেলসহ কিছু বড় ঋণের গ্রেস পিরিয়ড শেষ যাওয়ায় আসল পরিশোধ শুরু হয়েছে। এ ছাড়া সরকারের বাজারভিত্তিক ঋণের পরিমাণ বেড়েছে। এর মধ্যে বাজারভিত্তিক ঋণে ফ্লোটিং ইন্টারেস্ট রেটও বেড়েছে। দুই বছর আগেও বাজারভিত্তিক ঋণে এসওএফআর (সিকিউরড ওভারনাইট ফিন্যান্সিং রেট) সুদহার ১ শতাংশের কম ছিল, তা এখন ৫ শতাংশের বেশি। গত অর্থবছরের প্রথম প্রান্তিকের চেয়ে চলতি বছরের প্রথম প্রান্তিকে কেবল সুদ পরিশোধ বেড়েছে ১৭৬ শতাংশ। এ কারণে বৈদেশিক ঋণ পরিশোধে চাপ বেড়েছে। ইআরডির তথ্য অনুযায়ী, ডলার হিসাবে সুদ ও আসল মিলিয়ে বৈদেশিক ঋণ পরিশোধ ৬৫.৫ শতাংশ বেড়েছে। কর্মকর্তারা জানান, অর্থনৈতিক পরিস্থিতি বিবেচনায় গেল অর্থবছরে বাজেট সহায়তার ওপর জোর দেওয়া হয়েছিল, সে কারণে উন্নয়ন প্রকল্পে ঋণ কম গেছে। কিন্তু এবার পরিকল্পনা অনুযায়ী প্রকল্প ঋণ নেওয়ার কৌশল নিয়েছে সরকার। চলতি অর্থবছরে ৮.৯৭৭ বিলিয়ন ডলার ঋণের প্রতিশ্রুতি আদায়ের লক্ষ্য রয়েছে, যার এক-তৃতীয়াংশ প্রথম কোয়ার্টারে আদায় করা সম্ভব হয়েছে। এ কারণে অর্থবছরের জুলাই-সেপ্টেম্বর সময়ে প্রতিশ্রুতি বেড়েছে ৬১০.৫ শতাংশ। ইআরডির কর্মকর্তারা জানান, প্রথম প্রান্তিকে বাংলাদেশ সবচেয়ে বেশি প্রতিশ্রুতি পেয়েছে জাপানের কাছ থেকে। এখান থেকে ১.৫ বিলিয়ন ডলারের প্রতিশ্রুতি পাওয়া গেছে। জাপানের মতোই অবস্থা এশীয় উন্নয়ন ব্যাংকের (এডিবি)। গত অর্থবছরের প্রথম কোয়ার্টারে এডিবির সঙ্গে কোনো ঋণ চুক্তি ছিল না। কিন্তু চলতি অর্থবছরে সেপ্টেম্বরের মধ্যে এই সংস্থার সঙ্গে সরকার ৭৯০ মিলিয়ন ডলারের ঋণ চুক্তি করেছে। SHARES অর্থনৈতিক বিষয়: বৈদেশিক ঋণ
নিজস্ব প্রতিবেদন স্থানীয় মুদ্রা বা টাকার অবমূল্যায়নের প্রভাব দেশের বৈদেশিক ঋণ পরিশোধের ওপর প্রভাব পড়েছে। চলতি অর্থবছরের জুলাই-সেপ্টেম্বর প্রান্তিকে কেবল বৈদেশিক ঋণের সুদ বাবদই চার হাজার ১৪৭ কোটি টাকা বা ৩৭৮ মিলিয়ন ডলারের বেশি পরিশোধ করেছে সরকার। আগের অর্থবছরের তুলনায় চলতি অর্থবছরের পরিশোধিত এই সুদ তিন গুণেরও বেশি। অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের রবিবার (ইআরডি) প্রকাশিত প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে এসেছে।
জুলাই-সেপ্টেম্বর প্রান্তিকে বিদেশি ঋণের প্রতিশ্রুতি সাত গুণ বেড়ে ২.৮৮ বিলিয়ন ডলার হয়েছে, যা আগের বছরের একই সময় ছিল মাত্র ৪০৫ মিলিয়ন ডলার। উন্নয়ন সহযোগীদের প্রতিশ্রুতি বাড়লেও উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়নে সক্ষমতার অভাবে অর্থছাড় বাড়ানি, বরং বৈদেশিক ঋণের অর্থছাড় কমেছে গত বছরের একই সময়ের তুলনায় ৫ শতাংশ। চলতি অর্থবছরের প্রথম প্রান্তিকে উন্নয়ন সহযোগীরা ছাড় করেছে ১.২৮ বিলিয়ন ডলার, যা গত অর্থবছরের একই সময়ে ছিল ১.৩৫ বিলিয়ন ডলার।
প্রথম প্রান্তিকে উন্নয়ন সহযোগীদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি অর্থছাড় করেছে জাপান। সংস্থাটি প্রথম প্রান্তিকে ছাড় করেছে ৪২৭.৮ মিলিয়ন ডলার। এ ছাড়া এডিবি ২২৫.৬ মিলিয়ন ডলার, বিশ্বব্যাংক ২১৮.৮৯ মিলিয়ন ডলার এবং রাশিয়া ছাড় করেছে ২১০.৯২ মিলিয়ন ডলার। ইআরডি কর্মকর্তারা জানান, কর্ণফুলী টানেলসহ কিছু বড় ঋণের গ্রেস পিরিয়ড শেষ যাওয়ায় আসল পরিশোধ শুরু হয়েছে।
এ ছাড়া সরকারের বাজারভিত্তিক ঋণের পরিমাণ বেড়েছে। এর মধ্যে বাজারভিত্তিক ঋণে ফ্লোটিং ইন্টারেস্ট রেটও বেড়েছে। দুই বছর আগেও বাজারভিত্তিক ঋণে এসওএফআর (সিকিউরড ওভারনাইট ফিন্যান্সিং রেট) সুদহার ১ শতাংশের কম ছিল, তা এখন ৫ শতাংশের বেশি। গত অর্থবছরের প্রথম প্রান্তিকের চেয়ে চলতি বছরের প্রথম প্রান্তিকে কেবল সুদ পরিশোধ বেড়েছে ১৭৬ শতাংশ। এ কারণে বৈদেশিক ঋণ পরিশোধে চাপ বেড়েছে।
ইআরডির কর্মকর্তারা জানান, প্রথম প্রান্তিকে বাংলাদেশ সবচেয়ে বেশি প্রতিশ্রুতি পেয়েছে জাপানের কাছ থেকে। এখান থেকে ১.৫ বিলিয়ন ডলারের প্রতিশ্রুতি পাওয়া গেছে। জাপানের মতোই অবস্থা এশীয় উন্নয়ন ব্যাংকের (এডিবি)। গত অর্থবছরের প্রথম কোয়ার্টারে এডিবির সঙ্গে কোনো ঋণ চুক্তি ছিল না। কিন্তু চলতি অর্থবছরে সেপ্টেম্বরের মধ্যে এই সংস্থার সঙ্গে সরকার ৭৯০ মিলিয়ন ডলারের ঋণ চুক্তি করেছে।