নির্বাচন নিয়ে ফের অনড় অবস্থানের কথা জানালেন আইনমন্ত্রী ক্রাইম পেট্রোল ক্রাইম পেট্রোল News প্রকাশিত: ৭:০৫ অপরাহ্ণ, নভেম্বর ৪, ২০২৩ নিজস্ব প্রতিনিধি সরকারের পদত্যাগ ও নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবিতে বিএনপিসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের আন্দোলনের মধ্যে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে ফের অনড় অবস্থানের জানান দিলেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে ইঙ্গিত করে তিনি বলেছেন, ‘আগামীতে যা কিছু হবে, সংবিধান ও আইনের মধ্যে থেকেই হতে হবে।’ আজ শনিবার সংবিধান দিবস উপলক্ষ্যে রাজধানীর একটি হোটেলে আইন মন্ত্রণালয় সেমিনারের আয়োজন করে। সে সেমিনারে সভাপতির বক্তব্যে একথা বলেন আইনমন্ত্রী। সেমিনারে প্রধান অতিথি ছিলেন জাতীয় সংসদের স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী। আইনমন্ত্রী বলেন, ‘যখনই দেশ বঙ্গবন্ধু প্রবর্তিত সাংবিধানিক শাসন থেকে বিচ্যুত হয়েছে, তখনই দেশে আইনের শাসন ও ন্যায়বিচার ব্যাহত হয়েছে। দেশে অরাজক ও নৈরাজ্যকর পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে এবং মৌলিক মানবাধিকার ভুলুণ্ঠিত হয়েছে। সর্বোপরি দেশের উন্নয়ন ব্যাহত হয়েছে। তাই অতীতের অভিজ্ঞতা থেকে শিক্ষা নিয়ে সামনের দিকে এগিয়ে যেতে হবে। আগামীতে যা-কিছু হবে, সংবিধান ও আইনের মধ্যে থেকেই হতে হবে। এর ব্যত্যয় হলে আবারও জাতি পিছিয়ে পড়বে।’ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের রাজনৈতিক জীবনের নানা দিক তুলে ধরে আইনমন্ত্রী বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু তাঁর সুদীর্ঘ রাজনৈতিক জীবনে সবসময় নিয়মতান্ত্রিক আন্দোলন করেছেন। দাবি আদায়ে জনগণকে সম্পৃক্ত করেছেন। ছয় দফার সমর্থনে জনমত তৈরি করতে টেকনাফ থেকে তেঁতুলিয়া, বেনাপোল থেকে তামাবিল পর্যন্ত দিনরাত গণসংযোগ করেছিলেন। তিনি কখনো জ্বালাও-পোড়াও কিংবা সন্ত্রাসী কায়দায় দাবি আদায়ের রাজনীতি করেননি। পাকিস্তানি সামরিক শাসক তাঁকে বারবার মিথ্যা মামলায় কারাগারে পাঠালেও তিনি কখনোই সহিংস পন্থা অবলম্বন করেননি। অধিকার আদায়ে তিনি অহিংস আন্দোলনের পাশাপাশি আদালতের আশ্রয় নিয়েছিলেন। তিনি নিজেকে কখনোই বিচ্ছিন্নতাবাদী নেতা হিসেবে পরিচিতি পাওয়ার সুযোগ দেননি।’ সঠিক ব্যাখ্যার মাধমে সাধারণ মানুষের জীবনে সংবিধানের সমতার দর্শন পৌঁছে দিতে সেমিনারে আহ্বান জানান স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের উক্তি উদ্বৃত করে তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের সংবিধান কারো দান, অনুকম্পা, সন্ধি-আলোচনা বা চুক্তির মাধ্যমে আমরা পাইনি। রক্তের বিনিময়ে তা আমাদের অর্জন করতে হয়েছে, সৃষ্টি করতে হয়েছে। যে কারণে এ সংবিধান বিশ্বের অন্য যেকোনো সংবিধানের চাইতে আলাদা।’ স্বাধীনতার পর দেশ পুনর্গঠেনে বঙ্গবন্ধুর ভূমিকা বর্ণনা করতে গিয়ে স্পিকার বলেন, ‘স্বাধীন বাংলাদেশে ফেরার পর দিনই তিনি সংবিধান প্রণয়নের কাজ হাতে নিয়েছিলেন। সব কাজের মধ্যে সংবিধান প্রণয়নকেই তিনি সবচেয়ে বেশি প্রধান্য দিয়েছেন। তাই জনগণের কল্যাণে এই সংবিধানের সঠিক প্রয়োগ ঘটিয়ে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা এবং প্রধানমন্ত্রীর স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যয়ে সবাইকে আত্মনিয়োগ করতে হবে।’ সেমিনারে আরো বক্তব্য দেন আইন কমিশনের সদস্য, সাবেক বিচারপতি এটিএম ফজলে কবীর, আইন সচিব মো. গোলাম সারওয়ার। এতে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন অনুষদের ডিন অধ্যাপক এস এম মাসুম বিল্লাহ। মুক্তিযুদ্ধের মধ্যদিয়ে ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর দেশ স্বাধীনের পর ১৯৭২ সালের ৪ নভেম্বর গণপরিষদে স্বাধীন-সার্বভৌম বাংলাদেশের সংবিধান গৃহীত হয়। গত বছর সংবিধান প্রণয়নের সুবর্ণজয়ন্তীতে ৪ নভেম্বরকে ‘জাতীয় সংবিধান দিবস’ হিসেবে ঘোষণা করে সরকার। সে ধারাবাহিকতায় দিবসটি পালনে বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করে সরকার। সংবিধান দিবস উপলক্ষে প্রথক বাণী দিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। দিবসটি উদযাপনে শনিবার বিকেলে আলোচনা অনুষ্ঠান করেছে বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন মালদ্বীপের প্রধান বিচারপতি উজ. আহমেদ মুথাসিম আদনান। প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান আলোচনা অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন। SHARES জাতীয় বিষয়: #আইনমন্ত্রী
সরকারের পদত্যাগ ও নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবিতে বিএনপিসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের আন্দোলনের মধ্যে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে ফের অনড় অবস্থানের জানান দিলেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে ইঙ্গিত করে তিনি বলেছেন, ‘আগামীতে যা কিছু হবে, সংবিধান ও আইনের মধ্যে থেকেই হতে হবে।’ আজ শনিবার সংবিধান দিবস উপলক্ষ্যে রাজধানীর একটি হোটেলে আইন মন্ত্রণালয় সেমিনারের আয়োজন করে। সে সেমিনারে সভাপতির বক্তব্যে একথা বলেন আইনমন্ত্রী।
সেমিনারে প্রধান অতিথি ছিলেন জাতীয় সংসদের স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী। আইনমন্ত্রী বলেন, ‘যখনই দেশ বঙ্গবন্ধু প্রবর্তিত সাংবিধানিক শাসন থেকে বিচ্যুত হয়েছে, তখনই দেশে আইনের শাসন ও ন্যায়বিচার ব্যাহত হয়েছে। দেশে অরাজক ও নৈরাজ্যকর পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে এবং মৌলিক মানবাধিকার ভুলুণ্ঠিত হয়েছে। সর্বোপরি দেশের উন্নয়ন ব্যাহত হয়েছে।
তাই অতীতের অভিজ্ঞতা থেকে শিক্ষা নিয়ে সামনের দিকে এগিয়ে যেতে হবে। আগামীতে যা-কিছু হবে, সংবিধান ও আইনের মধ্যে থেকেই হতে হবে। এর ব্যত্যয় হলে আবারও জাতি পিছিয়ে পড়বে।’ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের রাজনৈতিক জীবনের নানা দিক তুলে ধরে আইনমন্ত্রী বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু তাঁর সুদীর্ঘ রাজনৈতিক জীবনে সবসময় নিয়মতান্ত্রিক আন্দোলন করেছেন।
দাবি আদায়ে জনগণকে সম্পৃক্ত করেছেন। ছয় দফার সমর্থনে জনমত তৈরি করতে টেকনাফ থেকে তেঁতুলিয়া, বেনাপোল থেকে তামাবিল পর্যন্ত দিনরাত গণসংযোগ করেছিলেন। তিনি কখনো জ্বালাও-পোড়াও কিংবা সন্ত্রাসী কায়দায় দাবি আদায়ের রাজনীতি করেননি। পাকিস্তানি সামরিক শাসক তাঁকে বারবার মিথ্যা মামলায় কারাগারে পাঠালেও তিনি কখনোই সহিংস পন্থা অবলম্বন করেননি। অধিকার আদায়ে তিনি অহিংস আন্দোলনের পাশাপাশি আদালতের আশ্রয় নিয়েছিলেন।
তিনি নিজেকে কখনোই বিচ্ছিন্নতাবাদী নেতা হিসেবে পরিচিতি পাওয়ার সুযোগ দেননি।’ সঠিক ব্যাখ্যার মাধমে সাধারণ মানুষের জীবনে সংবিধানের সমতার দর্শন পৌঁছে দিতে সেমিনারে আহ্বান জানান স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের উক্তি উদ্বৃত করে তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের সংবিধান কারো দান, অনুকম্পা, সন্ধি-আলোচনা বা চুক্তির মাধ্যমে আমরা পাইনি। রক্তের বিনিময়ে তা আমাদের অর্জন করতে হয়েছে, সৃষ্টি করতে হয়েছে। যে কারণে এ সংবিধান বিশ্বের অন্য যেকোনো সংবিধানের চাইতে আলাদা।’ স্বাধীনতার পর দেশ পুনর্গঠেনে বঙ্গবন্ধুর ভূমিকা বর্ণনা করতে গিয়ে স্পিকার বলেন, ‘স্বাধীন বাংলাদেশে ফেরার পর দিনই তিনি সংবিধান প্রণয়নের কাজ হাতে নিয়েছিলেন। সব কাজের মধ্যে সংবিধান প্রণয়নকেই তিনি সবচেয়ে বেশি প্রধান্য দিয়েছেন। তাই জনগণের কল্যাণে এই সংবিধানের সঠিক প্রয়োগ ঘটিয়ে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা এবং প্রধানমন্ত্রীর স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যয়ে সবাইকে আত্মনিয়োগ করতে হবে।’ সেমিনারে আরো বক্তব্য দেন আইন কমিশনের সদস্য, সাবেক বিচারপতি এটিএম ফজলে কবীর, আইন সচিব মো. গোলাম সারওয়ার। এতে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন অনুষদের ডিন অধ্যাপক এস এম মাসুম বিল্লাহ। মুক্তিযুদ্ধের মধ্যদিয়ে ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর দেশ স্বাধীনের পর ১৯৭২ সালের ৪ নভেম্বর গণপরিষদে স্বাধীন-সার্বভৌম বাংলাদেশের সংবিধান গৃহীত হয়। গত বছর সংবিধান প্রণয়নের সুবর্ণজয়ন্তীতে ৪ নভেম্বরকে ‘জাতীয় সংবিধান দিবস’ হিসেবে ঘোষণা করে সরকার। সে ধারাবাহিকতায় দিবসটি পালনে বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করে সরকার। সংবিধান দিবস উপলক্ষে প্রথক বাণী দিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। দিবসটি উদযাপনে শনিবার বিকেলে আলোচনা অনুষ্ঠান করেছে বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন মালদ্বীপের প্রধান বিচারপতি উজ. আহমেদ মুথাসিম আদনান। প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান আলোচনা অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন।