রেমিট্যান্সের ডলারের নতুন দাম নির্ধারণ ক্রাইম পেট্রোল ক্রাইম পেট্রোল News প্রকাশিত: ১১:২৫ অপরাহ্ণ, নভেম্বর ৮, ২০২৩ নিজস্ব প্রতিবেদক বিদেশ থেকে রেমিট্যান্স পাঠালে সরকার আড়াই শতাংশ প্রণোদনা দেয়। সম্প্রতি এর সঙ্গে ব্যাংকগুলো বাড়তি আড়াই শতাংশ প্রণোদনা দেওয়ার ঘোষণা দেয়। তবে ব্যাংকের এই প্রণোদনা দেওয়া বাধ্যতামূলক নয়। এখন থেকে প্রবাস আয়ে ব্যাংকের নিজস্ব প্রণোদনাসহ ডলারের দাম কোনোভাবেই ১১৫ টাকার বেশি দেওয়া যাবে না। আজ বুধবার ব্যাংকের শীর্ষ নির্বাহীদের সংগঠন অ্যাসোসিয়েশন অব ব্যাংকার্স বাংলাদেশ (এবিবি) ও বাংলাদেশ ফরেন এক্সচেঞ্জ ডিলারস অ্যাসোসিয়েশনের (বাফেদা) যৌথ সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। প্রায় দুই বছর ধরে দেশে ডলার সংকট চলছে। এই সংকট সমাধানে নানা উদ্যোগ নিয়েও ব্যর্থ হয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। রিজার্ভ থেকে ধারাবাহিকভাবে ডলার বিক্রি করছে আর্থিক খাতের নিয়ন্ত্রক সংস্থাটি। চলতি অর্থবছরে এখন পর্যন্ত ৪৫০ কোটি ডলারের মতো বিক্রি করা হয়েছে। সরকারের বিদেশি কেনাকাটার দায়ও পরিশোধ করা হচ্ছে। এর ফলে রিজার্ভে ধারাবাহিক পতন অব্যাহত রয়েছে।এর আগে ১ সেপ্টেম্বর এবিবি ও বাফেদা প্রতি ডলারে ৫০ পয়সা বাড়িয়ে রপ্তানি ও রেমিট্যান্সে ১১০ টাকা ৫০ পয়সায় নির্ধারণ করে। এর সঙ্গে রেমিট্যান্সে ব্যাংকগুলো নিজেদের মতো করে প্রণোদনা দিতে পারবে বলে জানানো হয়। তবে বেশির ভাগ ব্যাংক এ দরে ডলার পাচ্ছে না। এখন ১২২ টাকা থেকে ১২৪ টাকা পর্যন্ত দরে ডলার কিনছে অনেক ব্যাংক। যদিও দুর্নীতি ও বিদেশে টাকা পাচারের কারণে ডলার সংকট দেখা দিয়েছে। বাণিজ্য ঘাটতি বাড়ছে ও প্রবাস আয় কমে যাচ্ছে। এ ছাড়া অস্বাভাবিক মুনাফা লাভের আশায় ব্যবসায়ীরা অতিরিক্ত ডলার কিনে মজুদ করে রাখছেন। এর ফলে ডলার সংকট আরো প্রকট আকার ধারণ করেছে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা। এদিকে কমতে থাকা রিজার্ভ থেকে আর কোনো খাতে বিনিয়োগ করবেন না বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর। তিনি বলেন, এখন থেকে রিজার্ভের ওপর চাপ কমাতে দেশের অভ্যন্তরে আর ডলার বিনিয়োগ করা হবে না। যেসব খাতে রিজার্ভ বিনিয়োগ করা হয় তাও কমিয়ে আনা হবে। ইতিমধ্যে সাড়ে সাত বিলিয়নের রপ্তানি উন্নয়ন তহবিল (ইডিএফ) সাড়ে তিন বিলিয়ন করা হয়েছে। পায়রা বন্দরের ঋণ আদায়ে চেষ্টা করা হচ্ছে। আগামী দুই মাসের মধ্যে নতুন ডলার আসবে। তখন রিজার্ভ বাড়বে। এ জন্য দেশের রিজার্ভ নিয়ে উদ্বিগ্ন হওয়ার কিছু নেই। অস্বাভাবিক মুনাফা লাভের আশায় অনেক ব্যবসায়ী অতিরিক্ত ডলার মজুদ করে রাখছেন। প্রতিদিন টাকার বিপরীতে ডলারের বিনিময় মূল্যে হচ্ছে নতুন নতুন রেকর্ড। খোলাবাজারে ডলারের দাম এরই মধ্যে ১২১ টাকা ছাড়িয়ে গেছে। আর সংকট কাটাতে ব্যাংকগুলো বিভিন্ন দেশ থেকে ১২২ থেকে ১২৪ টাকায় ডলার কিনছে। সংযুক্ত আরব আমিরাত থেকে সবচেয়ে বেশি দরে ডলার কেনা হচ্ছে। SHARES অর্থনৈতিক বিষয়: দাম নির্ধারণরেমিট্যান্সের ডলার
বিদেশ থেকে রেমিট্যান্স পাঠালে সরকার আড়াই শতাংশ প্রণোদনা দেয়। সম্প্রতি এর সঙ্গে ব্যাংকগুলো বাড়তি আড়াই শতাংশ প্রণোদনা দেওয়ার ঘোষণা দেয়। তবে ব্যাংকের এই প্রণোদনা দেওয়া বাধ্যতামূলক নয়। এখন থেকে প্রবাস আয়ে ব্যাংকের নিজস্ব প্রণোদনাসহ ডলারের দাম কোনোভাবেই ১১৫ টাকার বেশি দেওয়া যাবে না।
আজ বুধবার ব্যাংকের শীর্ষ নির্বাহীদের সংগঠন অ্যাসোসিয়েশন অব ব্যাংকার্স বাংলাদেশ (এবিবি) ও বাংলাদেশ ফরেন এক্সচেঞ্জ ডিলারস অ্যাসোসিয়েশনের (বাফেদা) যৌথ সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। প্রায় দুই বছর ধরে দেশে ডলার সংকট চলছে। এই সংকট সমাধানে নানা উদ্যোগ নিয়েও ব্যর্থ হয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। রিজার্ভ থেকে ধারাবাহিকভাবে ডলার বিক্রি করছে আর্থিক খাতের নিয়ন্ত্রক সংস্থাটি।
চলতি অর্থবছরে এখন পর্যন্ত ৪৫০ কোটি ডলারের মতো বিক্রি করা হয়েছে। সরকারের বিদেশি কেনাকাটার দায়ও পরিশোধ করা হচ্ছে। এর ফলে রিজার্ভে ধারাবাহিক পতন অব্যাহত রয়েছে।এর আগে ১ সেপ্টেম্বর এবিবি ও বাফেদা প্রতি ডলারে ৫০ পয়সা বাড়িয়ে রপ্তানি ও রেমিট্যান্সে ১১০ টাকা ৫০ পয়সায় নির্ধারণ করে।
এর সঙ্গে রেমিট্যান্সে ব্যাংকগুলো নিজেদের মতো করে প্রণোদনা দিতে পারবে বলে জানানো হয়। তবে বেশির ভাগ ব্যাংক এ দরে ডলার পাচ্ছে না। এখন ১২২ টাকা থেকে ১২৪ টাকা পর্যন্ত দরে ডলার কিনছে অনেক ব্যাংক। যদিও দুর্নীতি ও বিদেশে টাকা পাচারের কারণে ডলার সংকট দেখা দিয়েছে। বাণিজ্য ঘাটতি বাড়ছে ও প্রবাস আয় কমে যাচ্ছে।
এ ছাড়া অস্বাভাবিক মুনাফা লাভের আশায় ব্যবসায়ীরা অতিরিক্ত ডলার কিনে মজুদ করে রাখছেন। এর ফলে ডলার সংকট আরো প্রকট আকার ধারণ করেছে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা। এদিকে কমতে থাকা রিজার্ভ থেকে আর কোনো খাতে বিনিয়োগ করবেন না বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর। তিনি বলেন, এখন থেকে রিজার্ভের ওপর চাপ কমাতে দেশের অভ্যন্তরে আর ডলার বিনিয়োগ করা হবে না। যেসব খাতে রিজার্ভ বিনিয়োগ করা হয় তাও কমিয়ে আনা হবে। ইতিমধ্যে সাড়ে সাত বিলিয়নের রপ্তানি উন্নয়ন তহবিল (ইডিএফ) সাড়ে তিন বিলিয়ন করা হয়েছে। পায়রা বন্দরের ঋণ আদায়ে চেষ্টা করা হচ্ছে। আগামী দুই মাসের মধ্যে নতুন ডলার আসবে। তখন রিজার্ভ বাড়বে। এ জন্য দেশের রিজার্ভ নিয়ে উদ্বিগ্ন হওয়ার কিছু নেই। অস্বাভাবিক মুনাফা লাভের আশায় অনেক ব্যবসায়ী অতিরিক্ত ডলার মজুদ করে রাখছেন। প্রতিদিন টাকার বিপরীতে ডলারের বিনিময় মূল্যে হচ্ছে নতুন নতুন রেকর্ড। খোলাবাজারে ডলারের দাম এরই মধ্যে ১২১ টাকা ছাড়িয়ে গেছে। আর সংকট কাটাতে ব্যাংকগুলো বিভিন্ন দেশ থেকে ১২২ থেকে ১২৪ টাকায় ডলার কিনছে। সংযুক্ত আরব আমিরাত থেকে সবচেয়ে বেশি দরে ডলার কেনা হচ্ছে।