আমার এলাকার কেউ কষ্টে নেই, নারীরা দিনে তিনবার করে লিপস্টিক লাগাচ্ছে : বাণিজ্যমন্ত্রী ক্রাইম পেট্রোল ক্রাইম পেট্রোল News প্রকাশিত: ১১:৩৫ অপরাহ্ণ, নভেম্বর ৮, ২০২৩ সংগৃহীত ছবি নিজস্ব প্রতিবেদক দিনমজুর, নিম্ন শ্রেণির মানুষের খুব কষ্ট হচ্ছে জানিয়ে বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বলেছেন, ‘তবে আমার এলাকার কেউ কোনো কষ্টে নেই। সেখানকার কৃষকরা আলুর দাম পাচ্ছে। এ জন্য নারীরা দিনে তিনবার করে লিপস্টিক লাগাচ্ছে এবং চারবার করে স্যান্ডেল বদলাচ্ছে।’ আজ বুধবার (৮ নভেম্বর) দুপুরে সচিবালয়ে নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে মন্ত্রী এসব কথা বলেন। এর আগে তিনি ন্যাশনাল ট্যারিফ পলিসি মনিটরিং ও রিভিউ কমিটির সভায় যোগ দেন।টিপু মুনশি দাবি করেন, ‘আমার এলাকা আলুভিত্তিক, কৃষিভিত্তিক। তাদের কোনো কষ্ট নেই। সেখানকার নারীরা দিনে তিনবার করে লিপস্টিক লাগাচ্ছে, চারবার করে স্যান্ডেল বদলাচ্ছে। আমি খুব ভালো জানি, আমার কোনো সমস্যা নেই। কিন্তু সারা দেশের অবস্থাটা ভিন্ন। শহরের যারা দিনমজুর, নিম্ন শ্রেণির তাদের খুব কষ্ট হচ্ছে।’ ‘সব কিছুর দাম বেড়ে যাওয়ার পর আপনারা আমদানির সিদ্ধান্ত নেন। কিন্তু বাজার মনিটরিং করার কারণে আগে থেকেই তো জানেন, তাহলে সিদ্ধান্তটা আগে নেন না কেন’―এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, ‘আপনি সাংবাদিক, যথেষ্ট বুদ্ধিমান। যেমন ধরেন, আলু আমদানি করতে হলে কৃষি মন্ত্রণালয়ের অনুমতি লাগে। আমরা যে দুই মাস আগে আলু আমদানির অনুমতি দিয়েছি, তখন তাদের অনুমতি নিয়েছি। তারাও এটা চিন্তা করে। একইভাবে ডিমের জন্য মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের অনুমতি নিতে হয়। যদি পেছনের সমর্থন না পাই, তাহলে আমরা অনেক সময় করতে পারি না। সংকট যখন প্রকট হয়ে যায়, তখন তারা মেনে নেন, কিন্তু তখন আবার অনেক দেরি হয়ে যায়।’ আলু ও ডিমে ছাড়াও সারা বছর বাজারে অসস্তি থেকে যাচ্ছে, এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘সরবরাহ যদি ভালো থাকে, তাহলে সমস্যা হয় না। আবার আলু যদি অতিরিক্ত থেকে যায়, তখন প্রশ্ন করা হয়, কৃষকরা আলুর দাম পাচ্ছেন না, আপনি কী ব্যবস্থা করেছেন? দুইভাবেই সমস্যা। উৎপাদন যাতে বাড়ে, সেই প্রচারটা করেন।’ সব কিছুর দাম বেড়ে যাওয়ার প্রেক্ষাপটে মানুষের জন্য বাণিজ্যমন্ত্রীর কোনো সুখবর আছে কি না, প্রশ্নে তিনি বলেন, ‘একটা হলো আমাদের দেশের উৎপাদন, আরেকটি আমদানি করে আনা। বিভিন্ন জিনিসের বিভিন্ন রকম অবস্থা। পেঁয়াজের দাম কবে কমবে? এটা আমরা সবাই বুঝি যে যখন নতুন পেঁয়াজ বাজারে উঠবে, কৃষক যখন ফসল ঘরে তুলবে। হয়তো আগামী মাসে মুড়িকাটা পেঁয়াজটা বাজারে উঠবে, তখন হয়তো পেঁয়াজর দাম কমবে। আবার আলু যেমন ডিসেম্বরের শেষের দিকে বাজারে উঠতে শুরু করবে, তখন দাম কমবে। এখন এটা গেল নিজেদের উৎপাদনের বিষয়। আবার যখন আমরা তেল ও চিনির কথা বলি, তখন আন্তর্জাতিক বাজারে কী দাম আছে, সেটার ওপর নির্ভর করে। প্রেক্ষাপট অনুযায়ী দাম বাড়বে বা কমবে। পেঁয়াজের কথা বলি, আমাদের যা প্রয়োজন, তার চেয়ে ২০ শতাংশ ঘাটতি আছে। এটা আমরা আমদানি করে পূরণ করি, যার ৯০ শতাংশই আসে ভারত থেকে। সেখানেও দাম বেড়ে গেছে।’ তিনি আরো বলেন, ‘এই মুহূর্তে ভারতীয় বাজারে ৮০ রুপি প্রতি কেজি পেঁয়াজ, যা আমাদের টাকায় ১০৫ বা ১১০ টাকা। গতকাল দেখলাম, ওরা ২৫ রুপি ভর্তুকি দরে মানুষকে দিতে শুরু করেছে। আমাদের পেঁয়াজ প্রায় শেষ। যে কারণে পেঁয়াজর দামটা অনেকখানি নির্ভর করে আমাদের নিজস্ব উৎপাদনের ওপরে। পাশাপাশি, পেঁয়াজর ন্যূনতম দাম নির্ধারণ করে দিয়েছে ভারত, ৮০০ ডলার। যেটা আমাদের টাকায় প্রতি কেজি প্রায় ৯৫ টাকা পড়ে। সেটার নিচে ওরা রপ্তানি করতে পারবে না। ওই টাকায় আমরা আমদানি করলে প্রতি কেজি পেঁয়াজ ১২০ কিংবা ১২৫ টাকা পড়ে যাবে। এখন আমাদের নিজেদের উৎপাদনের ওপর নির্ভর করতে হবে।’ ‘আমাদের দেশীয় পণ্যের দাম বাড়ে কেন’ জানতে চাইলে মন্ত্রী বলেন, সবজির দাম বাড়ছে কখনো। এ ছাড়া বৃষ্টি, পরিবহন ও পথে পথে চাঁদাবাজির কারণে দাম বাড়ছে। তবে গত দুই-তিন ধরে ২০-২৫ টাকা করে সবজির দাম কমতে শুরু করেছে। আর পাঁচ-সাত দিনের মধ্যে শীতের সবজির দাম কমে যাবে বলে জানান মন্ত্রী। SHARES অর্থনৈতিক বিষয়: বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশ
দিনমজুর, নিম্ন শ্রেণির মানুষের খুব কষ্ট হচ্ছে জানিয়ে বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বলেছেন, ‘তবে আমার এলাকার কেউ কোনো কষ্টে নেই। সেখানকার কৃষকরা আলুর দাম পাচ্ছে। এ জন্য নারীরা দিনে তিনবার করে লিপস্টিক লাগাচ্ছে এবং চারবার করে স্যান্ডেল বদলাচ্ছে।’ আজ বুধবার (৮ নভেম্বর) দুপুরে সচিবালয়ে নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
এর আগে তিনি ন্যাশনাল ট্যারিফ পলিসি মনিটরিং ও রিভিউ কমিটির সভায় যোগ দেন।টিপু মুনশি দাবি করেন, ‘আমার এলাকা আলুভিত্তিক, কৃষিভিত্তিক। তাদের কোনো কষ্ট নেই। সেখানকার নারীরা দিনে তিনবার করে লিপস্টিক লাগাচ্ছে, চারবার করে স্যান্ডেল বদলাচ্ছে।
আমি খুব ভালো জানি, আমার কোনো সমস্যা নেই। কিন্তু সারা দেশের অবস্থাটা ভিন্ন। শহরের যারা দিনমজুর, নিম্ন শ্রেণির তাদের খুব কষ্ট হচ্ছে।’ ‘সব কিছুর দাম বেড়ে যাওয়ার পর আপনারা আমদানির সিদ্ধান্ত নেন।
কিন্তু বাজার মনিটরিং করার কারণে আগে থেকেই তো জানেন, তাহলে সিদ্ধান্তটা আগে নেন না কেন’―এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, ‘আপনি সাংবাদিক, যথেষ্ট বুদ্ধিমান। যেমন ধরেন, আলু আমদানি করতে হলে কৃষি মন্ত্রণালয়ের অনুমতি লাগে। আমরা যে দুই মাস আগে আলু আমদানির অনুমতি দিয়েছি, তখন তাদের অনুমতি নিয়েছি। তারাও এটা চিন্তা করে। একইভাবে ডিমের জন্য মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের অনুমতি নিতে হয়।
যদি পেছনের সমর্থন না পাই, তাহলে আমরা অনেক সময় করতে পারি না। সংকট যখন প্রকট হয়ে যায়, তখন তারা মেনে নেন, কিন্তু তখন আবার অনেক দেরি হয়ে যায়।’ আলু ও ডিমে ছাড়াও সারা বছর বাজারে অসস্তি থেকে যাচ্ছে, এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘সরবরাহ যদি ভালো থাকে, তাহলে সমস্যা হয় না। আবার আলু যদি অতিরিক্ত থেকে যায়, তখন প্রশ্ন করা হয়, কৃষকরা আলুর দাম পাচ্ছেন না, আপনি কী ব্যবস্থা করেছেন? দুইভাবেই সমস্যা। উৎপাদন যাতে বাড়ে, সেই প্রচারটা করেন।’ সব কিছুর দাম বেড়ে যাওয়ার প্রেক্ষাপটে মানুষের জন্য বাণিজ্যমন্ত্রীর কোনো সুখবর আছে কি না, প্রশ্নে তিনি বলেন, ‘একটা হলো আমাদের দেশের উৎপাদন, আরেকটি আমদানি করে আনা। বিভিন্ন জিনিসের বিভিন্ন রকম অবস্থা। পেঁয়াজের দাম কবে কমবে? এটা আমরা সবাই বুঝি যে যখন নতুন পেঁয়াজ বাজারে উঠবে, কৃষক যখন ফসল ঘরে তুলবে। হয়তো আগামী মাসে মুড়িকাটা পেঁয়াজটা বাজারে উঠবে, তখন হয়তো পেঁয়াজর দাম কমবে। আবার আলু যেমন ডিসেম্বরের শেষের দিকে বাজারে উঠতে শুরু করবে, তখন দাম কমবে। এখন এটা গেল নিজেদের উৎপাদনের বিষয়। আবার যখন আমরা তেল ও চিনির কথা বলি, তখন আন্তর্জাতিক বাজারে কী দাম আছে, সেটার ওপর নির্ভর করে। প্রেক্ষাপট অনুযায়ী দাম বাড়বে বা কমবে। পেঁয়াজের কথা বলি, আমাদের যা প্রয়োজন, তার চেয়ে ২০ শতাংশ ঘাটতি আছে। এটা আমরা আমদানি করে পূরণ করি, যার ৯০ শতাংশই আসে ভারত থেকে। সেখানেও দাম বেড়ে গেছে।’ তিনি আরো বলেন, ‘এই মুহূর্তে ভারতীয় বাজারে ৮০ রুপি প্রতি কেজি পেঁয়াজ, যা আমাদের টাকায় ১০৫ বা ১১০ টাকা। গতকাল দেখলাম, ওরা ২৫ রুপি ভর্তুকি দরে মানুষকে দিতে শুরু করেছে। আমাদের পেঁয়াজ প্রায় শেষ। যে কারণে পেঁয়াজর দামটা অনেকখানি নির্ভর করে আমাদের নিজস্ব উৎপাদনের ওপরে। পাশাপাশি, পেঁয়াজর ন্যূনতম দাম নির্ধারণ করে দিয়েছে ভারত, ৮০০ ডলার। যেটা আমাদের টাকায় প্রতি কেজি প্রায় ৯৫ টাকা পড়ে। সেটার নিচে ওরা রপ্তানি করতে পারবে না। ওই টাকায় আমরা আমদানি করলে প্রতি কেজি পেঁয়াজ ১২০ কিংবা ১২৫ টাকা পড়ে যাবে। এখন আমাদের নিজেদের উৎপাদনের ওপর নির্ভর করতে হবে।’ ‘আমাদের দেশীয় পণ্যের দাম বাড়ে কেন’ জানতে চাইলে মন্ত্রী বলেন, সবজির দাম বাড়ছে কখনো। এ ছাড়া বৃষ্টি, পরিবহন ও পথে পথে চাঁদাবাজির কারণে দাম বাড়ছে। তবে গত দুই-তিন ধরে ২০-২৫ টাকা করে সবজির দাম কমতে শুরু করেছে। আর পাঁচ-সাত দিনের মধ্যে শীতের সবজির দাম কমে যাবে বলে জানান মন্ত্রী।