‘লৌহ কপাট’ গান বিতর্কে এ আর রহমানকে যা বললেন কবীর সুমন ক্রাইম পেট্রোল ক্রাইম পেট্রোল News প্রকাশিত: ১১:১৯ অপরাহ্ণ, নভেম্বর ১৭, ২০২৩ কবীর সুমন ও এ আর রহমান নিজস্ব প্রতিবেদক বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের কাহিনি অবলম্বনে বলিউডে নির্মিত করা হয়েছে ‘পিপ্পা’ নামক সিনেমা। সেই সিনেমার জন্য এ আর রহমানের করা কাজী নজরুল ইসলামের ‘লৌহ কপাট’ গানটি নিয়ে চলছে তুমুল বিতর্ক। দুই দেশেই রহমানকে বেশ তুলোধুনো করা হয়েছে। গানটি নিয়ে শ্রোতাদের তীব্র অভিযোগ থাকলেও বিষয়টি নিয়ে এখনও কোনো কথা বলেননি অস্কারজয়ী এ শিল্পী। তবে নতুন করে এ বিতর্কে এবার যোগ দিলেন কলকাতার গুণী শিল্পী কবীর সুমন। এ আর রহমানের উদ্দেশে সুমন বলেন, রহমানকে ক্ষমা চাইতে হবে না, বরং তিনি জানুন এই গানের ইতিহাস। কাজী নজরুল ইসলামের ‘লৌহ কপাট’ গানের সুর বদলে, তাল বদলে বাঙালির আবেগকে আঘাত দিয়েছেন এ আর রহমান। বাংলার মানুষ, শিল্পীরা একজোটে বলছেন, নজরুলের এই গানের আত্মাকে ‘খুন’ করেছেন রহমান। ‘লৌহ কপাটে’র রিমেক নিয়ে চলছে সামাজিক মাধ্যমে তীব্র নিন্দা। এমনকী, এ গানের স্বত্ত্ব বিক্রি নিয়ে নজরুল পরিবারের মধ্য়েও কোন্দল শুরু হয়েছে। গোটা বিতর্কে ক্ষমা চেয়েছে ‘পিপ্পা’ ছবির নির্মাতারা। তবে এখনও এই বিতর্কে কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি সঙ্গীত পরিচালক এ আর রহমানের পক্ষ থেকে। অনেকের দাবি, রহমানের ক্ষমা চাওয়া উচিত। কিন্তু ‘লৌহ কপাট’ বিতর্কে কবীর সুমনের দাবি ‘রহমানকে ক্ষমা চাইতে হবে না, বরং তিনি জানুন এই গানের ইতিহাস।’ শুক্রবার সকালে ফেসবুক লাইভে আসেন কবীর সুমন। এই মুহূর্তে বাংলাদেশে রয়েছেন তিনি। আর বাংলায় বসেই ফেসবুক লাইভে ‘লৌহ কপাট’ বিতর্কে তাঁর অবস্থান স্পষ্ট করলেন। লাইভের শুরুর দিকে ‘রোজা’ ছবির ‘দিল হ্যায় ছোটা সা’ গাইতে শুরু করেন সুমন। তারপর বাংলাদেশের এক শিল্পীর গাওয়া ‘যদি সুন্দর’ গানটি গান। সঙ্গে হিন্দি ছবি ‘আয়ি মিলন কি বেলার’, ‘তুম তুম কামসিন হো’ গানটিও শোনান অনুরাগীদের। রহমানের তৈরি ‘দিল হ্যায় ছোটাসা’র সঙ্গে এই দুই গানের অদ্ভুত মিল খুঁজে পান সুমন। তিনি জানান, ‘রোজা’র এই গান শুনে তাঁর ভালো লাগার কথা। এ আর রহমানের প্রতি তাঁর অনুরাগের কথা। কিন্তু এই এ আর রহমানই ‘লৌহ কপাটে’র এমন সুর দিলেন! কবীর সুমন হতবাক! ‘লৌহ কপাট’ রিমেকের প্রসঙ্গে ফেসবুক লাইভে সুমন বলেন, “যারা গানের লিরিক দিলেন, তাঁরা টাকা পেলেন। খুব ভালো কথা। টাকা সবার দরকার। এখানে কোনও অসুবিধা নেই। কিন্তু কেউ কি একবারও রহমানকে বলে দেননি, কোন গানের রিমেক তিনি করেছেন! এই গানের ইতিহাস রহমান জানেন? গানের অর্থটা জানার চেষ্টা করেছেন রহমান? ধরে নিন, এটা কাজী নজরুল ইসলামের লেখা নয়। তবু কি গানের কথাগুলোর মানে বোঝা উচিত ছিল না? লিরিক শুনেই তো সুরটা দিতে হবে। তবে আজকাল এমনই গান হচ্ছে। যা শুনলে মনে হয়, মিক্সারের ভিতর সিমেন্ট, পাথর সব একসঙ্গে ঘুরছে। লৌহ কপাটের রিমেকও তাই! তবে ইনিই তো দিল হ্যায় ছোটা সা তৈরি করেছিলেন, সেই মানুষটা লৌহ কপাটের এমন সুর দিলেন! বিশ্বাস হচ্ছে না রহমান সাহেব। কেউ কি ছিলেন না, যে লৌহ কপাটের ইতিহাস রহমানকে বলে দেবেন, যে এই গানটার সঙ্গে একটা জাতির সংগ্রাম জড়িয়ে রয়েছে!” শুধু এ আর রহমানকেই নয়, ফেসবুক লাইভে বাংলাদেশের মানুষদের কাছেও একটা আবেদন রাখলেন শিল্পী। তিনি বলেন, ‘যে দেশ নজরুল ইসলামকে জাতীয় কবি হিসেবে সম্মান দিয়েছে, দয়া করে তাঁরা একটা সাংবাদিক বৈঠক করুন। রহমানের সঙ্গে দেখা করুন। তাঁকে লৌহ কপাটের ইতিহাসটা বলুন। রহমানকে বলুন, ক্ষমা চাইতে হবে না। শুধু ইতিহাসটা জেনে SHARES বিনোদন বিষয়: কবীর সুমন‘লৌহ কপাট’
নিজস্ব প্রতিবেদক বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের কাহিনি অবলম্বনে বলিউডে নির্মিত করা হয়েছে ‘পিপ্পা’ নামক সিনেমা। সেই সিনেমার জন্য এ আর রহমানের করা কাজী নজরুল ইসলামের ‘লৌহ কপাট’ গানটি নিয়ে চলছে তুমুল বিতর্ক। দুই দেশেই রহমানকে বেশ তুলোধুনো করা হয়েছে। গানটি নিয়ে শ্রোতাদের তীব্র অভিযোগ থাকলেও বিষয়টি নিয়ে এখনও কোনো কথা বলেননি অস্কারজয়ী এ শিল্পী।
তবে নতুন করে এ বিতর্কে এবার যোগ দিলেন কলকাতার গুণী শিল্পী কবীর সুমন। এ আর রহমানের উদ্দেশে সুমন বলেন, রহমানকে ক্ষমা চাইতে হবে না, বরং তিনি জানুন এই গানের ইতিহাস। কাজী নজরুল ইসলামের ‘লৌহ কপাট’ গানের সুর বদলে, তাল বদলে বাঙালির আবেগকে আঘাত দিয়েছেন এ আর রহমান। বাংলার মানুষ, শিল্পীরা একজোটে বলছেন, নজরুলের এই গানের আত্মাকে ‘খুন’ করেছেন রহমান।
‘লৌহ কপাটে’র রিমেক নিয়ে চলছে সামাজিক মাধ্যমে তীব্র নিন্দা। এমনকী, এ গানের স্বত্ত্ব বিক্রি নিয়ে নজরুল পরিবারের মধ্য়েও কোন্দল শুরু হয়েছে। গোটা বিতর্কে ক্ষমা চেয়েছে ‘পিপ্পা’ ছবির নির্মাতারা। তবে এখনও এই বিতর্কে কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি সঙ্গীত পরিচালক এ আর রহমানের পক্ষ থেকে।
অনেকের দাবি, রহমানের ক্ষমা চাওয়া উচিত। কিন্তু ‘লৌহ কপাট’ বিতর্কে কবীর সুমনের দাবি ‘রহমানকে ক্ষমা চাইতে হবে না, বরং তিনি জানুন এই গানের ইতিহাস।’ শুক্রবার সকালে ফেসবুক লাইভে আসেন কবীর সুমন। এই মুহূর্তে বাংলাদেশে রয়েছেন তিনি। আর বাংলায় বসেই ফেসবুক লাইভে ‘লৌহ কপাট’ বিতর্কে তাঁর অবস্থান স্পষ্ট করলেন।
লাইভের শুরুর দিকে ‘রোজা’ ছবির ‘দিল হ্যায় ছোটা সা’ গাইতে শুরু করেন সুমন। তারপর বাংলাদেশের এক শিল্পীর গাওয়া ‘যদি সুন্দর’ গানটি গান। সঙ্গে হিন্দি ছবি ‘আয়ি মিলন কি বেলার’, ‘তুম তুম কামসিন হো’ গানটিও শোনান অনুরাগীদের। রহমানের তৈরি ‘দিল হ্যায় ছোটাসা’র সঙ্গে এই দুই গানের অদ্ভুত মিল খুঁজে পান সুমন। তিনি জানান, ‘রোজা’র এই গান শুনে তাঁর ভালো লাগার কথা। এ আর রহমানের প্রতি তাঁর অনুরাগের কথা। কিন্তু এই এ আর রহমানই ‘লৌহ কপাটে’র এমন সুর দিলেন! কবীর সুমন হতবাক! ‘লৌহ কপাট’ রিমেকের প্রসঙ্গে ফেসবুক লাইভে সুমন বলেন, “যারা গানের লিরিক দিলেন, তাঁরা টাকা পেলেন। খুব ভালো কথা। টাকা সবার দরকার। এখানে কোনও অসুবিধা নেই। কিন্তু কেউ কি একবারও রহমানকে বলে দেননি, কোন গানের রিমেক তিনি করেছেন! এই গানের ইতিহাস রহমান জানেন? গানের অর্থটা জানার চেষ্টা করেছেন রহমান? ধরে নিন, এটা কাজী নজরুল ইসলামের লেখা নয়। তবু কি গানের কথাগুলোর মানে বোঝা উচিত ছিল না? লিরিক শুনেই তো সুরটা দিতে হবে। তবে আজকাল এমনই গান হচ্ছে। যা শুনলে মনে হয়, মিক্সারের ভিতর সিমেন্ট, পাথর সব একসঙ্গে ঘুরছে। লৌহ কপাটের রিমেকও তাই! তবে ইনিই তো দিল হ্যায় ছোটা সা তৈরি করেছিলেন, সেই মানুষটা লৌহ কপাটের এমন সুর দিলেন! বিশ্বাস হচ্ছে না রহমান সাহেব। কেউ কি ছিলেন না, যে লৌহ কপাটের ইতিহাস রহমানকে বলে দেবেন, যে এই গানটার সঙ্গে একটা জাতির সংগ্রাম জড়িয়ে রয়েছে!” শুধু এ আর রহমানকেই নয়, ফেসবুক লাইভে বাংলাদেশের মানুষদের কাছেও একটা আবেদন রাখলেন শিল্পী। তিনি বলেন, ‘যে দেশ নজরুল ইসলামকে জাতীয় কবি হিসেবে সম্মান দিয়েছে, দয়া করে তাঁরা একটা সাংবাদিক বৈঠক করুন। রহমানের সঙ্গে দেখা করুন। তাঁকে লৌহ কপাটের ইতিহাসটা বলুন। রহমানকে বলুন, ক্ষমা চাইতে হবে না। শুধু ইতিহাসটা জেনে