বিদেশিদের হস্তক্ষেপ জিনের মধ্যে ঢুকে গেছে : প্রতিমন্ত্রী ক্রাইম পেট্রোল ক্রাইম পেট্রোল News প্রকাশিত: ৮:২৮ অপরাহ্ণ, নভেম্বর ১৯, ২০২৩ নিজস্ব প্রতিনিধি বাংলাদেশের নির্বাচনে বিদেশিদের প্রভাব প্রসঙ্গে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম বলেছেন, ‘দুই শ বছরের বেশি সময় উপনিবেশিক শাসনের কারণে বিদেশিদের হস্তক্ষেপ আমাদের জিনের (বংশাণু) মধ্যে ঢুকে গেছে। বিদেশিদের ছাড়া আমরা চলতে পারি না, বলতে পারি না, কাজ করতে পারি না। কিন্তু দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে আমরা অন্যতম গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র। আমাদের গণতন্ত্রের অন্যতম মূল উপাদান নির্বাচন। যারা এখন গণতন্ত্র, মানবাধিকার নিয়ে কথা বলছে; তাদের নির্বাচন নিয়েও প্রশ্ন আছে।’ আজ রবিবার জাতীয় প্রেসক্লাবে ‘নির্বাচন ও গণতন্ত্র : প্রেক্ষাপট দক্ষিণ এশিয়া’ শীর্ষক সেমিনারে দেওয়া বক্তব্যে প্রতিমন্ত্রী এসব কথা বলেন। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সব দল অংশগ্রহণ করবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন প্রতিমন্ত্রী। বলেছেন, নির্বাচন কারো জন্য অপেক্ষা করবে না। ঘোষিত তফশিলেই নির্বাচন হবে। অংশগ্রহণের সিদ্ধান্ত রাজনৈতিক দলগুলোর নিজস্ব বিষয়। জনগণ ভোটের জন্য উন্মুখ হয়ে আছে উল্লেখ করে প্রতিমন্ত্রী আরো বলেন, ‘অংশ না নিলেও কেউ নির্বাচন বাধাগ্রস্থ করতে পারবে না।’ বিএনপির সমালোচনা করে শাহরিয়ার আলম বলেন, ‘বিএনপির নির্বাচন বর্জনের ভুলের সমালোচনা দেশ-বিদেশে হয়েছে। এমনকি তাদের বিদেশি প্রভুরাও ব্যাপক সমালোচনা করেছে। দলটির কিছু সমর্থক গভীরভাবে হতাশ এবং তারা দলের অগণতান্ত্রিক দৃষ্টিভঙ্গিতে কোনো ভবিষ্যৎ দেখতে পাচ্ছেন না। রাজনীতিতে টিকে থাকলে তাদের নির্বাচনে আসতে হবে।’ ইউজিসির সাবেক চেয়ারম্যান অধ্যাপক আব্দুল মান্নান সেমিনারে বলেন, নির্বাচন হবে সংবিধান ও আইন অনুযায়ী। নির্বাচন কমিশন সেখানে প্রধান দায়িত্ব পালন করবে। অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচানের স্বার্থে নির্বাচন কমিশনকে সহযোগিতার জন্য সরকারসহ রাজনৈতিক দলগুলোকে এগিয়ে আসতে হবে। সেমিনার সঞ্চালনা করেন জাতীয় প্রেসক্লাবের সম্পাদক শ্যমল দত্ত। সূচনা বক্তব্যে তিনি বলেন, তিনটি প্রতিষ্ঠান এখন বড় চ্যালেঞ্জের মুখোমুখী। নির্বাচন কমিশনের চ্যালেঞ্জ হচ্ছে সুষ্ঠ নির্বাচন করা, আওয়ামী লীগের চ্যালেঞ্জ ভোটারদের ভোট কেন্দ্রে নিয়ে আসা এবং বিএনপির চ্যালেঞ্জ বিভিন্ন রাজনৈতিক কর্মসূচি দিয়ে টিকে থাকা। ভারতের জাতীয় প্রেসক্লাবের সভাপতি গৌতম লাহিড়ী সেমিনারে বলেন, এখানে কীভাবে নির্বাচন হবে, তা বাংলাদেশের জনগণ ঠিক করবে। এ বিষয়ে বাইরের কারো কিছু বলার সুযোগ নেই। নির্বাচনে জনগণের অংশগ্রহণই গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। SHARES জাতীয় বিষয়: #প্রতিমন্ত্রী
নিজস্ব প্রতিনিধি বাংলাদেশের নির্বাচনে বিদেশিদের প্রভাব প্রসঙ্গে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম বলেছেন, ‘দুই শ বছরের বেশি সময় উপনিবেশিক শাসনের কারণে বিদেশিদের হস্তক্ষেপ আমাদের জিনের (বংশাণু) মধ্যে ঢুকে গেছে। বিদেশিদের ছাড়া আমরা চলতে পারি না, বলতে পারি না, কাজ করতে পারি না। কিন্তু দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে আমরা অন্যতম গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র। আমাদের গণতন্ত্রের অন্যতম মূল উপাদান নির্বাচন।
যারা এখন গণতন্ত্র, মানবাধিকার নিয়ে কথা বলছে; তাদের নির্বাচন নিয়েও প্রশ্ন আছে।’ আজ রবিবার জাতীয় প্রেসক্লাবে ‘নির্বাচন ও গণতন্ত্র : প্রেক্ষাপট দক্ষিণ এশিয়া’ শীর্ষক সেমিনারে দেওয়া বক্তব্যে প্রতিমন্ত্রী এসব কথা বলেন। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সব দল অংশগ্রহণ করবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন প্রতিমন্ত্রী। বলেছেন, নির্বাচন কারো জন্য অপেক্ষা করবে না।
ঘোষিত তফশিলেই নির্বাচন হবে। অংশগ্রহণের সিদ্ধান্ত রাজনৈতিক দলগুলোর নিজস্ব বিষয়। জনগণ ভোটের জন্য উন্মুখ হয়ে আছে উল্লেখ করে প্রতিমন্ত্রী আরো বলেন, ‘অংশ না নিলেও কেউ নির্বাচন বাধাগ্রস্থ করতে পারবে না।’ বিএনপির সমালোচনা করে শাহরিয়ার আলম বলেন, ‘বিএনপির নির্বাচন বর্জনের ভুলের সমালোচনা দেশ-বিদেশে হয়েছে।
এমনকি তাদের বিদেশি প্রভুরাও ব্যাপক সমালোচনা করেছে। দলটির কিছু সমর্থক গভীরভাবে হতাশ এবং তারা দলের অগণতান্ত্রিক দৃষ্টিভঙ্গিতে কোনো ভবিষ্যৎ দেখতে পাচ্ছেন না। রাজনীতিতে টিকে থাকলে তাদের নির্বাচনে আসতে হবে।’ ইউজিসির সাবেক চেয়ারম্যান অধ্যাপক আব্দুল মান্নান সেমিনারে বলেন, নির্বাচন হবে সংবিধান ও আইন অনুযায়ী। নির্বাচন কমিশন সেখানে প্রধান দায়িত্ব পালন করবে।
অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচানের স্বার্থে নির্বাচন কমিশনকে সহযোগিতার জন্য সরকারসহ রাজনৈতিক দলগুলোকে এগিয়ে আসতে হবে। সেমিনার সঞ্চালনা করেন জাতীয় প্রেসক্লাবের সম্পাদক শ্যমল দত্ত। সূচনা বক্তব্যে তিনি বলেন, তিনটি প্রতিষ্ঠান এখন বড় চ্যালেঞ্জের মুখোমুখী। নির্বাচন কমিশনের চ্যালেঞ্জ হচ্ছে সুষ্ঠ নির্বাচন করা, আওয়ামী লীগের চ্যালেঞ্জ ভোটারদের ভোট কেন্দ্রে নিয়ে আসা এবং বিএনপির চ্যালেঞ্জ বিভিন্ন রাজনৈতিক কর্মসূচি দিয়ে টিকে থাকা। ভারতের জাতীয় প্রেসক্লাবের সভাপতি গৌতম লাহিড়ী সেমিনারে বলেন, এখানে কীভাবে নির্বাচন হবে, তা বাংলাদেশের জনগণ ঠিক করবে। এ বিষয়ে বাইরের কারো কিছু বলার সুযোগ নেই। নির্বাচনে জনগণের অংশগ্রহণই গুরুত্বপূর্ণ বিষয়।